রবার্ট অল্টম্যান
রবার্ট অল্টম্যান | |
---|---|
![]() ১৯৮৩ সালে অল্টম্যান | |
জন্ম | রবার্ট বার্নার্ড অল্টম্যান ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ কানসাস সিটি, মিসৌরি, যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | নভেম্বর ২০, ২০০৬ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮১)
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৪৭–২০০৬ |
পরিচিতির কারণ | সম্পূর্ণ তালিকা |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৬ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন স্টিফেন এবং রবার্ট রিড |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | ![]() |
সেবা/ | ![]() |
কার্যকাল | ১৯৪৩–১৯৪৭ |
পদমর্যাদা | ![]() |
ইউনিট | থার্টিনথ এয়ার ফোর্স ৩০৭তম বোম্বার্ডমেন্ট গ্রুপ |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | |
পুরস্কার | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
রবার্ট বার্নার্ড অল্টম্যান (ইংরেজি: Robert Bernard Altman; ২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৯২৫ – ২০শে নভেম্ব, ২০০৬) একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন। তিনি অস্কার বা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে পাঁচবার সেরা পরিচালকের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। তাঁকে নব্য হলিউড যুগের একজন দীর্ঘস্থায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়। পরিচালক হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলি হল এম*এ*এস*এইচ (১৯৭০), ম্যাকাবি অ্যান্ড মিসেস মিলার (১৯৭১), দ্য লং গুডবাই (১৯৭৩), ন্যাশভিল (১৯৭৫), থ্রি উইমেন (১৯৭৭), দ্য প্লেয়ার (১৯৯২), শর্ট কাটস (১৯৯৩), গসফোর্ড পার্ক (২০০১) এবং দ্য কোম্পানি (২০০৩)।
অল্টম্যানের চলচ্চিত্র নির্মাণশৈলী অনেকগুলি বর্গে (জনরা) বিস্তৃত, তবে প্রায়শই সেগুলিতে এক ধরনের নষ্টকারক বা হলিউড-বিরোধী প্যাঁচ থাকে, যেগুলিতে ব্যঙ্গ বা হাস্যরসের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ পায়। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাঁর পরিচালনায় কাজ করতে পছন্দ করতেন, কারণ তিনি তাদেরকে তাৎক্ষণিক প্রত্যুৎপন্নমতিমূলক অভিনয়ে উৎসাহ দিতেন। তিনি তাঁর চলচ্চিত্রগুলির জন্য বৃহৎ একাধিক মূল ভূমিকাবিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দল নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করতেন। তিনি একাধিক ট্র্যাকে ধ্বনি যন্ত্রধারণ কৌশল উদ্ভাবন করেন, যাতে একাধিক অভিনেতার কথোপকথনগুলিতে একটির উপরে আরেকটিকে বসানো যায়। এর ফলে দর্শকশ্রোতার জন্য আরও স্বাভাবিক, আরও গতিময় ও আরও জটিল অভিজ্ঞতা প্রদান করা সম্ভব হয়। এছাড়া তিনি বেশিমাত্রায় চলমান ক্যামেরার কাজ ও বিবর্ধক পরকলা (জুম লেন্স) ব্যবহার করে পর্দায় ঘটমান কর্মকাণ্ডগুলিকে আরও বলবান করেন। চলচ্চিত্র সমালোচক পলিন কেল অল্টম্যানের পরিচালকীয় শৈলী বিষয়ে বলেন যে অল্টম্যান "প্রায় শূন্য থেকে চলচ্চিত্রে আতশবাজি বানাতে পারেন।"[১]
২০০৬ সালে অ্যাকাডেমি অভ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস অল্টম্যানের সৃষ্টিকর্ম সমগ্রের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে সম্মানসূচক অস্কার পুরস্কার প্রদান করে। এর আগে সাতবার মনোনয়ন পেলেও তিনি কখনও প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে পুরস্কারটি জেতেননি। তাঁর নির্মিত এম*এ*এস*এইচ, ম্যাকাবি অ্যান্ড মিসেস মিলার, দ্য লং গুডবাই ও ন্যাশভিল চলচ্চিত্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় চলচ্চিত্র নিবন্ধনখানাতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয়। অল্টম্যানের চলচ্চিত্রগুলি বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সোনালী ভল্লুক, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের সোনালী সিংহ এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবের সোনালী পাম - এই তিনটি সম্মানেই ভূষিত হয়েছে। তিনি ছাড়া কেবলমাত্র অঁরি জর্জ ক্লুজো ও মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনি এই বিরল সম্মানের অধিকারী।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ John Wakeman, ed. World Film Directors – Vol. 2, H. W. Wilson Co., N.Y. (1988) pp. 29–39