রজার ওলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রজার উলি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রজার ওলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরজার ডগলাস ওলি
জন্ম (1954-09-16) ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪ (বয়স ৬৯)
হোবার্ট, তাসমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩১৯)
২২ এপ্রিল ১৯৮৩ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট৭ এপ্রিল ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭৭)
১৩ এপ্রিল ১৯৮৩ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই৩০ এপ্রিল ১৯৮৩ বনাম শ্রীলঙ্কা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৭/৭৮-১৯৮৭/৮৮তাসমানিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮৫ ২৯
রানের সংখ্যা ২১ ৩১ ৪,৭৮১ ৫২৬
ব্যাটিং গড় ১০.৫০ ৩১.০০ ৪০.১৭ ২৫.০৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৭/৩০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ১৩ ১৬* ১৪৪ ৮০*
বল করেছে ৭৬
উইকেট
বোলিং গড় ০.০০ ০.০০ ০.০০ ০.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ০/০ ০/০ ০/৩৩ ০/০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/– ১/১ ১৪৫/১৬ ২০/২
উৎস: ক্রিকইনফো, ২২ মার্চ ২০১৭

রজার ডগলাস ওলি (ইংরেজি: Roger Woolley; জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪) তাসমানিয়ার হোবার্টে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুই টেস্ট ও চারটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। শুরুতে তিনি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে অবতীর্ণ হন রজার ওলি

১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের জিলেট কাপের শিরোপা প্রথমবারের মতো জয় করে তাসমানিয়া দল। ঐ দলেরই অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম দুই খেলায় হেরে যাওয়া দলে তিনি খেলার সুযোগ না পেলেও পরের খেলায় মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে ৪৯, ৫৫, ১০৩, ১, ২৯ ও অপরাজিত ৩২* করলে তাসমানিয়া পরের তিন খেলায় ড্র করতে সক্ষম হয়। তার সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ২৩ বছর বয়সে হোবার্টের বীমা দালাল রজার ওলি পৌনে তিন ঘণ্টায় মনোরম ১০৩ রানে তুলে তার প্রারম্ভিক প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছেন। কাট ও ড্রাইভের ফুলঝুরি ছড়িয়ে এবং সঠিকভাবে বলকে সপাটে আঘাত করে ব্যাটিংয়েও পরিপক্বতা আনেন। এরফলে প্রথম তাসমানীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়ী হিসেবে শেফিল্ডে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।[২] তার তৃতীয় খেলায় উইকেট-রক্ষণেও অগ্রসর হন। কেবলমাত্র তিনটি বাই রান দেন। এছাড়াও চারটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত তাসমানিয়ার উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে হাঁটুর আঘাতের কারণে তাকে অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।[৩] ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ডেভনপোর্টে অনুষ্ঠিত খেলায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় অবদান রাখেন। ৩৫৭ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে তাসমানিয়ার সংগ্রহ ১৮৭/৬ হলে অধিনায়ক জ্যাক সিমন্সের সাথে জুটি গড়েন ও সপ্তম উইকেট জুটিতে নিরবচ্ছিন্ন ১৭২ রান তুলে শিল্ডে তাসমানিয়াকে প্রথম জয়ের আস্বাদন দেন। ঐ খেলায় তিনি অপরাজিত ৯৯* রান তুলেন।[৪]

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ওলিকে ভালোমানের উইকেট-রক্ষক হিসেবে কঠিন পরীক্ষায় অগ্রসর হতে হয়েছে। তবে রড মার্শের দূর্দান্ত দাপটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কম খেলায় অংশ নিতে দেখা যায়। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে ৪২.৩৮ গড়ে ৫৫১ রান তুলেন এবং ৩৯ ক্যাচসহ দুই স্ট্যাম্পিং করেছিলেন। এপ্রিল, ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে মার্শের অনুপস্থিতির ফলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার সুযোগ পান। সিরিজের চার ওডিআইয়ের প্রত্যেকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়াও একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। এরফলে শেফিল্ড শিল্ডে তাসমানিয়ার অন্তর্ভূক্তির পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দূর্দান্ত প্রতাপে প্রভাববিস্তার করায় তাকে আর ব্যাটিং করার প্রয়োজন হয়নি। তবে, ইনিংসের ব্যবধানে জয়ী হওয়া খেলায় তিনি পাঁচ ক্যাচ নিয়েছিলেন।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ওয়েন ফিলিপসকে সহায়তার লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য মনোনীত হন। সেন্ট জোন্সে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলার সুযোগ লাভ করেন। তিনি উইকেট রক্ষণে ও ফিলিপস ইনিংস উদ্বোধনে নামেন। তবে তিনি ১৩ ও ৮ রান তুলেন। ঐ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়। অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক পিটার ম্যাকফারলিন এ প্রসঙ্গে তার উইকেট-রক্ষণ সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন যে, সাধারণভাবে প্রতীয়মান হয় যে তার মানদণ্ড বেশ দূর্বল ও তাকে বহুদূর পাড়ি দিতে হবে।[৫]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে তার সর্বাপেক্ষা সফল সময় কাটে। ৫১.২১ গড়ে ৭১৭ রান তুলেন ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করেন। পার্থে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬১ করেছিলেন। কিন্তু, তাসমানিয়া দলের অধিনায়করূপে দশ খেলার কোনটিতেই জয়ের সন্ধান পায়নি তার দল। শিল্ডে তার দল সর্বশেষ স্থান পায়। ফলশ্রুতিতে ওলি’র উইকেট-রক্ষণের বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। উইজডেনের জন ম্যাককিনন মন্তব্য করেন যে, তার উইকেট-রক্ষণের বিষয়টি বিভ্রান্তিমূলক ও তার অধিনায়কত্বে দলে আত্মবিশ্বাসের অভাব ফুটে উঠে।[৬] খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন ও ১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে দুই খেলায় অংশগ্রহণের পর অবসর নেন।

১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত তাসমানিয়ার একদিনের দলে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২৮টি খেলায় নেতৃত্ব দেন। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কখনো অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

অবসর নেয়ার পর আবাসন শিল্পে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।[৭] তাসমানিয়ার খেলাগুলোয় এবিসি রেডিওতে নিয়মিতভাবে সম্প্রচারকার্যে অংশগ্রহণ করতেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cricinfo Tasmanian Players"। ২৬ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৭ 
  2. Wisden 1979, p. 996.
  3. Wisden 1982, p. 1002.
  4. Wisden 1980, pp. 1053-54.
  5. Peter McFarline, 'Carl and Co Stem the Windies', The Age, 11 April 1984 accessed 23 July 2012
  6. Wisden 1986, p. 999.
  7. roger woolley pmm real estate rosny park[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
ব্রায়ান ডেভিসন
তাসমানিয়ার একদিনের ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৮২/৮৩-১৯৮৫/৮৬
উত্তরসূরী
ডেভিড বুন