রঙ্গিয়া
রঙ্গিয়া ৰঙিয়া Rangia | |
---|---|
Town | |
Location in Assam, India | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°২৮′ উত্তর ৯১°৩৮′ পূর্ব / ২৬.৪৭° উত্তর ৯১.৬৩° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৬°২৮′ উত্তর ৯১°৩৮′ পূর্ব / ২৬.৪৭° উত্তর ৯১.৬৩° পূর্ব | |
Country | ![]() |
প্রদেশ | Assam |
Region | Western Assam |
জেলা | কামরূপ |
সরকার | |
• শাসক | Rangiya Municipality Board |
উচ্চতা | ৩৯ মিটার (১২৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৬,৩৮৯ |
Languages | |
• Official | Assamese |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | 781354 |
Telephone code | 03621 |
যানবাহন নিবন্ধন | AS 01 & AS 25 |
Sex ratio | 1.17:1 (male:female) ♂/♀ |
ওয়েবসাইট | kamrup |
রঙ্গিয়া (অসমীয়া: ৰঙিয়া) আসামের কামরূপ জেলার অন্তর্গত একটি নগর। এটি রঙ্গিয়া মহকুমার সদর ও নর্থ ফ্রন্ট রেলওয়েজ (উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল)-এর ডিভিজনেল হেড কোয়াটার। নগর থেকে ৩কিঃমিঃ দূরত্বে অবস্থিত ভারতীয় স্থলসেনার রেডহর্ণ ডিভিসন। অঞ্চলটি গুয়াহাটি থেকে ৫২কিঃমিঃ দুরত্বে অবস্থিত। রঙ্গিয়া এক গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। এই জংশনকে কেন্দ্র করে নগরটি গড়ে উঠেছে।
ভৌগোলিক বিবরন[সম্পাদনা]
রঙ্গিয়া অঞ্চলের স্থানাংক ২৬°২৮′ উত্তর ৯১°৩৮′ পূর্ব / ২৬.৪৭° উত্তর ৯১.৬৩° পূর্ব। সাগরপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩৯ মিটার। নগরটির মাঝে দিয়ে বয়েছে বরলীয়া নদী।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
রণ ও দিয়া এই শব্দ দুইটির সংযোগে রঙ্গিয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে এখানে বিভিন্ন শাসক গোষ্ঠী যেমন: আহোম, কোচ রাজবংশ, গৌড়, মোগল ইত্যাদি শাসকগোষ্ঠীরা নিজের শক্তির পরীক্ষা করেছেন। গৌড়ের সেনাপতি আহোম সাম্রাজ্য আক্রমণের সময় নগর থেকে ৫কিঃমিঃ দূরত্বে একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। এই দুর্গটি গৌরীয়াকোঠ নামে পরিচিত। নগর থেকে ৩কিঃমিঃ দূরত্বে ছিল রাজা আরিমত্তের রাজধানী। চতুর্দিকে দুর্গ নির্মাণ করে রাজা নিজের রাজধানী সুরক্ষিত রেখেছিল। দুর্গটির নাম হচ্ছে বৈদ্যর গড়। এই বৈদ্যর গড় আজও বিরাজমান। বৈদ্যর গড় নাম সমন্ধে বিভিন্ন মতভেদ দেখা যায়। এক কিংবদন্তি মতে দুর্গটি নির্মাণের সময় অসংখ্য পিঁপড়া নির্মাণের কার্যে বাধাস্বরুপ হয়েছিল। এক নিসন্তান বৈদ্য মন্ত্রবলে পিঁপড়া দূর করে নির্মাণ কার্য সফল করে তোলে। ফলে দুর্গটির নাম বৈদ্যর গড় হয়। আরেকটি প্রবাদমতে রাজা আরিমত্তের অপরনাম বৈদ্যদেব। আবার কয়েকজনের মতে বঙ্গের সেনাপতির নাম বৈদ্যদেব। তিনি দুর্গটি নির্মাণ করেন। রাজা আরিমত্ত দুর্গটিকে পুনঃনির্মাণ করেছিলেন। ইতিহাসের এক বিখ্যাত চরিত্র রাজা আরিমত্তের সহিত রঙ্গিয়ার সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
২০১১ সনের জনগননা অনুযায়ী রঙ্গিয়া নগরের জনসংখ্যা ২০,৭১২জন।[১]
যাতায়ত[সম্পাদনা]
৩১নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথ দ্বারা রঙ্গিয়া নগর অসমের বিভিন্ন প্রান্তের সহিত সংযুক্ত। অঞ্চলটির আরেকটি প্রধানপথ হচ্ছে ভারত ও ভুটান সংযোগকারী পথ। পথটি ভুটানের ফুন্টশোলিং নগরকে সংযুক্ত করেছে। রঙ্গিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন। এই জংশন থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রধান মহানগর যেমন কলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, ইত্যাদি স্থানে যাতায়ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০১৩ সনের ৪জানুয়ারী থেকে ডেকারগাঁও-কামাখ্যা নামক রেল চালু করা হয়।[২] যা তেজপুর, রঙ্গিয়া ও গুয়াহাটি নগরকে সংযুক্ত করেছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Population of Rangia Town"। Kamrup District Authority। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৯, ২০১১।
- ↑ "কামাখ্যা ষ্টেচনর পরা তেজপুরলৈ নীরবে আরম্ভ হ'ল ঐতিহাসিক রেল যাত্রা, অসমীয়া প্রতিদিন"। ৫ জানুৱারী ২০১৪। পৃষ্ঠা ১, ১০। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য);