রঘুনাথ মুর্মু
পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু | |
---|---|
জন্ম | ডহরাডিহি,ময়ুরভঞ্জ জেলা, ওড়িশা, ভারত | ৫ মে ১৯০৫
মৃত্যু | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | (বয়স ৭৬)
পেশা | ভাবাদর্শী, নাট্যকার, ও লেখক |
বিষয় | লেখক ও ভাষাতত্ত্ববিদ |
পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু (৫ মে ১৯০৫ – ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২)[১] একজন ভাষাতত্ত্ববিদ, লেখক, নাট্যকার ও সাঁওতালি ভাষায় ব্যবহৃত "অলচিকি" লিপির উদ্ভাবক ছিলেন।[২][৩][৪]
জীবন সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]মুর্মূ ১৯০৫ সালের ৫ মে এক পূর্ণিমা তিথিতে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ময়ুরভঞ্জ জেলার রায়রঙ্গপুর থানার অন্তর্গত ডহরাডিহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম সিদো(নন্দলাল) মুর্মু ও মাতার নাম সলমা(সুমি) হাঁসদা। তিনি ১৯২৫ সালে অলচিকি লিপি উদ্ভবনের পর সেই লিপিতেই সাঁওতালি ভাষায় বিভিন্ন নাটক, কবিতা ও বই লেখেন। ১৯৭৭ সালে ঝাড়গ্রামের বেতাকুন্দরিডিহিতে তিনি একটি সাঁওতালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেন।[৫][৬] রাঁচির ধুমকুরিয়া কর্তৃক তার আদিবাসী সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে ডি. লিট উপাধি প্রদান করা হয়। চারুলাল মুখোপাধ্যায় মুর্মূকে একজন ধার্মিক এবং আরেকজন আদিবাসী লেখক মার্টিন ওঁরাও তার দি সান্থাল - এ ট্রাইব ইন সার্চ অব দি গ্রেট ট্রাডিশন গ্রন্থে তাকে সাঁওতালদের মহান শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করেন। সেই থেকে তিনি আদিবাসীদের কাছে গুরু গোমকে[৭] (অর্থাৎ "মহান শিক্ষক") নামে খ্যাতি অর্জন করেন। রঘুনাথ মুর্মূ ১৯৮১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন।[৮]
উল্লেখ্য রচনা
[সম্পাদনা]- বিদু চাঁদান(নাটক)
- দাড়ে গে ধন(নাটক)
- খেরওয়ার বীর(নাটক)
- সিদো কানহু সান্তাড় হুল(নাটক)
- হড় সেরেঞ (কাব্য)
- হিতলৗয়(কাব্য)
- বাহা সেরেঞ (কাব্য)
- এলখা পতব
- অল উপরুম (বর্ণ-পরিচয়)
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ওড়িশা সাহিত্য অ্যাকাডেমি সংবর্ধনা[৭] (১৯৭৮)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Pandit Raghunath Murmu"। anagrasarkalyan.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Published Book ALANG GAR
- ↑ http://orissa.gov.in/e-magazine/Orissareview/2010/August/engpdf/47-49.pdf
- ↑ http://orissa.gov.in/e-magazine/Orissareview/2011/aug/engpdf/51-52.pdf
- ↑ "সাঁওতালি বিশ্ববিদ্যালয়" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ସମ୍ବାଦ ୧୯/୦୪/୨୦୧୩ ପୃଷ୍ଠା ୪ରେ ପ୍ରକାଶିତ ଖବର, ଅଲଚିକି ସ୍ରଷ୍ଟାଙ୍କ ସ୍ମୃତିରକ୍ଷା : ଓଡ଼ିଶାଠାରୁ ପଶ୍ଚିମବଙ୍ଗ ଆଗରେ
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০২০।
- ↑ "ସାନ୍ତାଳୀ ଭାଷାର ପ୍ରଜ୍ଞାପୁରୁଷ"। ସମ୍ବାଦ ୦୧/୦୨/୨୦୧୬ ଭୁବନେଶ୍ଵର ସଂସ୍କରଣ ପୃଷ୍ଠା ୪ (ওড়িয়া ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- সংক্ষিপ্ত জীবনী তথ্য (ইংরেজি)
- পূর্ব ভারতের শান্তিপূর্ণ সাঁওতালগণ (ইংরেজি)