রংপুর-৩ উপনির্বাচন, ২০১৯

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৩ আসনে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ বিজয়ী হয়, ঐক্যফ্রন্টের রিটা রহমান দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে এ আসনের বর্তমান নির্বাচিত সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যু বরণ করলে আসনটি শূন্য হয়।

পটভূমি[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ভোট পান, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।

২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদ সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে, ১৬ জুলাই সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।

১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুন্য আসনে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে। তফসিলে, ৯ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন, ১১ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে এবং ৫ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।

প্রার্থী[সম্পাদনা]

উপনির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছে ৯ জন।[১] নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে ৬ জন। ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে এবং একজন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়।

রাহাগির আল মাহি সাদ এরশাদ, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। সাদ পূর্ব থেকে রাজনীতিতে যুক্ত না থাকায় স্থানীয় লোকজন তার বিরোধিতা করে।

রিটা রহমান, বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

ফলাফল[সম্পাদনা]

২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর আসনের ১৭৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।[২][৩] সাদ এরশাদ ৪১,৯১৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়। মোট ভোট পড়ে ৯৩,৯৮৩টি, তার মধ্যে ১৫ টি ভোট নষ্ট বা বাতিল হয়।[৪]

২০১৯: রংপুর-৩ উপনির্বাচন[৩][৪]
দল প্রার্থী ভোট % ±%
জাতীয় পার্টি সাদ এরশাদ ৫৮,৮৭৬ ৬৩.৫০ নতুন
বিএনপি রিটা রহমান ১৬,৯৪৭ ১৮.১৫ প্রত্যাখ্যান
স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ১৪,৯৪৮ ১৬.০০
গণফ্রন্ট কাজী মোঃ শহীদুল্লাহ বায়েজিদ ১৬৬২ ০.৯৮
খেলাফত মজলিস তৌহিদুর রহমান মন্ডল ৯২৪ ০.৭২
এনপিপি শফিউল আলম ৬১১ ০.৬৫
সংখ্যাগরিষ্ঠতা
ভোটার উপস্থিতি ৯৩,৯৮৩ ২১.৩১
জাতীয় পার্টি নির্বাচনী এলাকা ধরে রাখে

নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপি সমর্থিত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রিটা রহমান নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যায়িত করে ফলাফল প্রতাখ্যান করেন। রিটা দাবী করেন নির্বাচনে ৯/১০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রযোগ করেছে।[৫] রিটা ছাড়াও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ফলাফল প্রতাখ্যান করেছেন।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রংপুর-৩ উপনির্বাচন : জাপা আ'লীগ বিএনপিসহ ৯ জনের মনোনয়ন দাখিল"নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "আজ রংপুর-৩ সদর আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ"দৈনিক সংগ্রাম। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "উৎসাহবিহীন নির্বাচনে শাদ এরশাদ নির্বাচিত"বিএন‌এ নিউজ। জাকির হোসেন। ৫ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "জাপার সা'দ ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত"দৈনিক সংগ্রাম। ৬ অক্টোবর ২০১৯। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. "রংপুর উপনির্বাচনের ফলাফল প্রতাখ্যান করলেন রিটা রহমান"এনটিভি। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  6. "রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করলেন রিটা ও আসিফ"banglatribune.com। ২০১৯-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৭