য়েল-পা-য়ে-শেস-ব্র্ত্সেগ্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

য়েল-পা-য়ে-শেস-ব্র্ত্সেগ্স (ওয়াইলি: yel pa ye shes brtsegs) (১১৩৪-১১৯৪) ছিলেন তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মসম্প্রদায় ব্কা'-ব্র্গ্যুদ ধর্মসম্প্রদায়ের য়েল-পা-ব্কা'-ব্র্গ্যুদ (ওয়াইলি: yel pa bka' brgyud) ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

য়েল-পা-য়ে-শেস-ব্র্ত্সেগ্স ১১৩৪ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতের খাম্স অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল স্গোম-পা-আ-'বার (ওয়াইলি: sgom pa a 'bar) এবং মাতার নাম ছিল গোং-পা-ব্জা'-ব্ত্সুন-মা-ল্চাম (ওয়াইলি: gong pa bza' btsun ma lcam)। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় ফুর-পা-স্ক্যাব্স (ওয়াইলি: phur pa skyabs)। উনিশ বছর বয়সে তিনি র্বা-ম্দা' (ওয়াইলি: rba mda') নামক স্থানে শিক্ষার্থীর শপথ গ্রহণ করেন এবং কুড়ি বছর বয়সে ভিক্ষুর শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ফ্যা-পা-ছোস-ক্যি-সেং-গে (ওয়াইলি: phya pa chos kyi seng+ge) নামক গ্সাং-ফু (ওয়াইলি: gsang phu) বৌদ্ধবিহারের ষষ্ঠ প্রধানের নিকট মধ্যমক সম্বন্ধে, র্ঙ্গোগ-ম্দো-স্দে (ওয়াইলি: rngog mdo sde) নামক বৌদ্ধ সাধকের নিকট তন্ত্র সম্বন্ধে এবং পার-ফু-বা-ব্লো-গ্রোস-সেং-গে নামক পন্ডিতের নিকট দোঁহা সম্বন্ধে অধ্যয়ন করেন। ১১৬২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরবর্তী সাত বছর ফাগ-মো-গ্রু-পা-র্দো-র্জে-র্গ্যাল-পো নামক বিখ্যাত পন্ডিতের নিকট তিনি শিক্ষালাভ করেন।[১]

পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

১১৭১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি য়েল-ফুগ (ওয়াইলি: yel phug) বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠা করেন ও ঐ বিহারের প্রধান হিসেবে আঠারো বছর অতিবাহিত করেন। ১১৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দ্গোন-লুং (ওয়াইলি: dgon lung) বৌদ্ধবিহার ও ১১৯২ খ্রিষ্টাব্দে স্তোদ-'জাং (ওয়াইলি: stod 'jang) বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এই সকল বৌদ্ধবিহারে তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন, কিন্তু সেই সমস্ত রচনার খুব কম অংশেরই বর্তমানে অস্তিত্ব রয়েছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Martin, Dan (2008-08)। "Yelpa Yeshe Tsek"The Treasury of Lives: Biographies of Himalayan Religious Masters। সংগ্রহের তারিখ 2013-04-18  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Roerich, George, trans. 1996. The Blue Annals. 2nd ed. Delhi: Motilal Banarsidas, pp. 566–8