যমেশ্বর মন্দির

স্থানাঙ্ক: ২০°১৪′২৫″ উত্তর ৮৫°৪৯′৫৩″ পূর্ব / ২০.২৪০২৮° উত্তর ৮৫.৮৩১৩৯° পূর্ব / 20.24028; 85.83139
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যমেশ্বর মন্দির
Collage of Jameswar Temple.jpg
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
ঈশ্বরShiva
উৎসবসমূহজিউন্তিয়া বা পুজিউন্তিয়া উৎসব
অবস্থান
অবস্থানভুবনেশ্বর
রাজ্যওড়িশা
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২০°১৪′২৫″ উত্তর ৮৫°৪৯′৫৩″ পূর্ব / ২০.২৪০২৮° উত্তর ৮৫.৮৩১৩৯° পূর্ব / 20.24028; 85.83139
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীপূর্ব গঙ্গা রাজবংশ
সম্পূর্ণ হয়১৩তম - ১৪ তম শতাব্দী

যমেশ্বর বা জেমসওয়ার মন্দিরটি অত্যন্ত প্রাচীন মন্দির যা শিবকে উৎসর্গ করা হয়েছে এবং যম দ্বারা পূজা করা। ভারতবর্ষের ওড়িশা রাজ্যে ভুবনেশ্বরের কাছে যমেশ্বর পাটনায় এটি অবস্থিত। এটি ওড়িশার শিব মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম শিব মন্দির। ওড়িশার এই শিব মন্দিরটি ৭০০ থেকে ৬০০ বছরের প্রাচীন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

যমেশ্বর বা জেমসওয়ার মন্দিরটি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যে গড়ে ওঠে শিব পুজার উদ্দেশ্য। মন্দিরটি আজ থেকে প্রায় ৭০০-৬০০ বছর পূর্বে ১৩ তম থেকে ১৪ তম শতাব্দীতে নির্মান করা হয়েছিল। মন্দিরটি নির্মান করেছিল সেই সময়ের পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের রাজত্ব কালে রাজ বংশের রাজাদের দ্বারা। মন্দিরটিতে সেই সময় থেকেই ভগবান শিবের পূজা হয়ে আসছে এই মন্দিরে। কথিত আছে এই মন্দিরে যমের দ্বারা শিবের পূজা হয়ে থাকে।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

যমেশ্বর মন্দিরটিতে প্রাচীন দেউল স্থাপত্য লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরে প্রধানত ভীমানা রেখা দেউল শৈলীতে রয়েছে, জগ মোহন, পাধা দেউল শৈলীতে রয়েছে এবং একটি পৃথক মন্ডপ রয়েছে। [১] মন্দিরের অনেক অংশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মন্দিরটি বেলেপাথর দ্বারা নির্মিত। বাইরের প্রকারটি ল্যটেরাইট দ্বারা নির্মিত। মন্দিরের চারপাশের আইকনগুলির মধ্যে রয়েছে দিক্লালাস, অমর দম্পতি, নায়েক, বিদালাস, ইরিটিক্স, হাতি মিছিল ইত্যাদি। [১] অভ্যন্তরীণ গড়াগড়ের একটি বৃত্তাকার ইউনিপিথের মধ্যে শিবলিঙ্গকে ঘিরে রয়েছে। [১] প্রাচীর পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের সময় ১৩ তম থেকে ১৪ তম শতাব্দীতে মন্দির নির্মিত হয়েছিল। [১]

মন্দির স্থাপত্য ও শিল্পকলা গুলি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

উৎসব[সম্পাদনা]

এই মন্দিরের সাথে অমিতাভ অবস্থায় প্রধান উৎসব হল যন্তিয়া বা পূজিয়াটিয়া উৎসব যা দস্ত্রিভন ওশা নামে পরিচিত।এই উৎসব খুব জাঁকজম ভাবে পালিত হয় মন্দিরটিতে। অন্য উৎসবগুলি হচ্ছে শিবরাত্রি এবং কার্তিক পূর্ণিমা। এই মন্দিরে সমস্ত সোমবার এবং সংকরানা দিন গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনগুলিতে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভেরানী নকশার সময় এই মন্দিরটি পরিদর্শন করে এমন সব মানুষকে বলা হয় সকল দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত। দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির আশায় মানুষ এই মন্দিরের পরিদর্শন করতে আসেন।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১২ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]