ম্যাসাচুসেটস হল (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়)

	ম্যাসাচুসেটস হল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
	মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধন
	ইউ.এস. জাতীয় ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক
	ইউ.এস. ঐতিহাসিক জেলা; অবদান সম্পত্তি
	ম্যাসাচুসেটস হল, মে ২০০৫
	লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Massachusetts" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Massachusetts" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।
অবস্থান	কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র
স্থানাঙ্ক	৪২°২২′২৭.৯৮″ উত্তর ৭১°৭′৫.৮২″ পশ্চিম / ৪২.৩৭৪৪৩৮৯° উত্তর ৭১.১১৮২৮৩৩° পশ্চিম
নির্মিত	১৭১৮–১৭২০
স্থপতি	জন লেভারেট
স্থাপত্য শৈলী	জর্জিয়ান
এর অংশ	হার্ভার্ড ইয়ার্ড (#73000287)
এনআরএইচপি সূত্র #	66000769
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
এনআরএইচপি-তে যোগ	১৫ অক্টোবর, ১৯৬৬
মনোনীত NHL	৯ অক্টোবর, ১৯৬০
মনোনীত CP	৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩

ম্যাসাচুসেটস হল হলো হার্ভার্ড কলেজ-এর সবচেয়ে পুরনো এখনও টিকে থাকা ভবন। এটি ব্রিটিশ উপনিবেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড কলেজের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ, এবং যুক্তরাষ্ট্রে উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি কলেজের রেন ভবনের পর দ্বিতীয় প্রাচীনতম একাডেমিক ভবন।^[২]^[৩] এই ভবন আমেরিকার শিক্ষার ইতিহাস এবং ১৮শ শতকে তেরো উপনিবেশের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভবনটি নির্মাণ হয় ১৭১৮ থেকে ১৭২০ সালের মধ্যে।

ম্যাসাচুসেটস হলের নকশা করেছিলেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট জন লেভারেট জুনিয়র এবং তাঁর উত্তরসূরি বেঞ্জামিন ওয়াডসওয়ার্থ। শুরুতে এটি একটি ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যেখানে ছিল ৩২টি কক্ষ এবং ৬৪টি ছোট ব্যক্তিগত অধ্যয়নকক্ষ—মোট ৬৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য নির্মিত। বিপ্লবী যুদ্ধের সময় বস্টনের অবরোধে, ৬৪০ জন আমেরিকান সৈন্য এই ভবনে আশ্রয় নেয়।^[৪] সে সময় ভবনের বহু কাঠের আসবাব ও হার্ডওয়্যার, এমনকি পিতলের দরজার হাতলও হারিয়ে যায়।^[৫]^[৬]

যদিও এটি ছাত্রাবাস হিসেবে পরিকল্পিত ছিল, পরবর্তীতে ভবনটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৭২২ সালে থমাস হোলিস একটি কোয়াড্রান্ট ও ২৪ ফুট দীর্ঘ টেলিস্কোপ দান করলে এটি একটি অনানুষ্ঠানিক জ্যোতির্বিজ্ঞান চত্বরে রূপ নেয়।

বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি,^[৭] প্রোভোস্ট, কোষাধ্যক্ষ এবং সহ-সভাপতারা এই ভবনের প্রথম দুই তলা ও তৃতীয় তলার অর্ধেক অংশে অফিস পরিচালনা করেন। চতুর্থ তলায় বসবাস করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

হার্ভার্ডের সবচেয়ে পুরনো এখনও ব্যবহৃত ছাত্রাবাস হিসেবে, ম্যাসাচুসেটস হল বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা পিতৃবৃন্দদের মধ্যে জন অ্যাডামস, স্যামুয়েল অ্যাডামস, এলব্রিজ জেরি, জন হ্যানকক এবং জেমস ওটিস এই হলে বাস করতেন। উইগলসওয়ার্থ, ওয়েল্ড, থেয়ার, এলিয়ট এবং লোয়েল পরিবারের সদস্যরাও এখানে ছিলেন, যাঁদের নামে বর্তমানে অন্যান্য ছাত্রাবাসের নামকরণ হয়েছে। আধুনিক কালের বিশিষ্ট বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যালান জে. লার্নার, এলিয়ট রিচার্ডসন, জন হারবিসন এবং জেফ শেফার।^[৮]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

↑ কর্মী (২৩ জানুয়ারি ২০০৭)। "জাতীয় নিবন্ধন তথ্য পদ্ধতি"। ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধন। জাতীয় পার্ক পরিষেবা।
↑ "The Critical Mass. (Hall)", The Crimson, এপ্রিল ৫, ২০০৭
↑ অপর ভবনটি হলো উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি কলেজের রেন ভবন, যা তিনবার আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এবং প্রতিবারই পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
↑ "Massachusetts Hall (U.S. National Park Service)"। www.nps.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২৪।
↑
↑
↑ President, Harvard University। "Contact"। Harvard University President (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২৪।
↑ Source: Dorm History Search at http://hcs.harvard.edu/~dorms/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৫-০৮-২৮ তারিখে

বহিঃসংযোগ

[nris-1] কর্মী (২৩ জানুয়ারি ২০০৭)। "জাতীয় নিবন্ধন তথ্য পদ্ধতি"। ঐতিহাসিক স্থানসমূহের জাতীয় নিবন্ধন। জাতীয় পার্ক পরিষেবা।

[2] "The Critical Mass. (Hall)", The Crimson, এপ্রিল ৫, ২০০৭

[3] অপর ভবনটি হলো উইলিয়াম অ্যান্ড ম্যারি কলেজের রেন ভবন, যা তিনবার আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এবং প্রতিবারই পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

[4] "Massachusetts Hall (U.S. National Park Service)"। www.nps.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২৪।

[5] ↑

[6] ↑

[7] President, Harvard University। "Contact"। Harvard University President (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২৪।

[8] Source: Dorm History Search at http://hcs.harvard.edu/~dorms/ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৫-০৮-২৮ তারিখে

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]