বিষয়বস্তুতে চলুন

মোহিনী মায়া দাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডোরা মোহিনী মায়া দাস, ১৯২২ সালের একটি প্রকাশনা থেকে।

ডোরা মোহিনী মায়া দাস (১৮৮৪ সাল নাগাদ জন্মগ্রহণ করেন) একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং বক্তা ছিলেন। তিনি ভারত, বার্মা এবং শ্রীলংকার জন্য ওয়াইডব্লিউসিএ এর সহযোগী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

ডোরা মোহিনী মায়া দাসের জন্ম হয়েছিল ফিরোজপুরে[] তাঁর পিতামাতা ছিলেন ভারতীয় খ্রিস্টান, পিতার নাম রায় বাহাদুর মায়া দাস[] এবং মায়ের নাম মোহিনী চন্ডুলাল।[][] তাঁর এক বোন ছিলেন কনস্ট্যান্স প্রেম নাথ দাস (১৮৮৬ - ১৯৭১), যিনি ভারতের একজন কলেজ সভাপতি ছিলেন।[][] আরেক বোন, গুণবতী (গার্ট্রুড) মায়া দাস, ১৯১৮ সালে বোম্বের প্রথম ভারতীয় গভর্নর রাজা মহারাজ সিংকে বিবাহ করেছিলেন।[]

মোহিনী মায়া দাস লাহোরের ফরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজন মহিলার মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি ম্যাসাচুসেটসে নর্থফিল্ড স্কুল ফর গার্লসে পড়াশোনা করেছেন,[] এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় ছাত্রী, যিনি ১৯০৬ সালে এসে, মাউন্ট হলিওক কলেজে পড়েছেন। তিনি ১৯০৯ সালে সেখানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[] মাউন্ট হোলিওক কলেজে থাকাকালীন, তিনি ডোরা মায়া দাস নামে পরিচিত ছিলেন এবং ছাত্র প্রকাশনার জন্য লিখতেন।[][১০] মোহিনী মায়া দাসের একটি নাটক, "দ্য হিন্দু ওয়াইফ অফ রাম লাল", মাউন্ট হলিওক নাট্য ক্লাবে ১৯০৯ সালে পরিবেশিত হয়েছিল।[] তাঁর স্নাতক হওয়ার পর, নিউ ইয়র্কের ওয়েস্টফিল্ডের ওয়াইডব্লিউসিএ-এর মায়া দাস ক্লাবের নাম তাঁর সম্মানে নামকরণ করা হয়েছিল।[১১]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

মোহিনী মায়া দাস (তিনি তার ভারতীয় ব্যক্তিগত নামটি ইংরেজি ডোরা নামের থেকে বেশি পছন্দ করতেন) ১৯২০ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত ভারত, বার্মা এবং শ্রীলংকার জন্য ওয়াইডব্লিউসিএ-এর সহযোগী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[১২] তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ছাত্র খ্রিস্টান ফেডারেশনের সাধারণ কমিটির উপ সভাপতি ছিলেন।[১৩] উপ সভাপতি হিসেবে, তিনি ১৯২২ সালে বেইজিং বিশ্ব ছাত্র খ্রিস্টান ফেডারেশন সম্মেলনে ভাষণ দেন।[১৪][১৫]

মায়া দাস ১৯২২ সালে বেইজিংয়ে বক্তৃতা করার সময় ওয়াইডব্লিউসিএ সহ ভারতে কর্মরত শ্বেতাঙ্গ পশ্চিমী সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেছিলেন।[১৬] "ধর্মীয় রহস্যবাদের দেশ কি আপনার জন্য কিছুই না? প্রাচ্য কি শুধুই আপনাদের পণ্যের বাজার, জনগণকে শোষণ করার জায়গা? এ কি আপনাকে দেওয়ার মতো কিছুই নয়, আপনি যদি একে বোঝার চেষ্টা করতেন তবেই আপনি তা খুঁজে পেতে পারতেন?" তিনি তাঁর বক্তৃতায় এই প্রশ্নগুলি তুলেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন "আমি আপনাদের মতো পশ্চিমীদের কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের মতো পূর্বের মানুষদের বোঝার চেষ্টা করুন, সারসরি উপায়ে নয়, সত্য জ্ঞান দিয়ে।"[১৭]

তিনি স্বাধীন ভারতে মহিলাদের কাজের জায়গায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন, যদিও তিনি গান্ধীর অসহযোগিতার কৌশলকে সমর্থন করতে পারেননি। তিনি কলকাতার সমাজসেবা লীগে এবং গ্রামীণ মহিলা কর্মীদের জন্য একটি গ্রীষ্মকালীন প্রতিষ্ঠানে আগ্রহ দেখিয়ে ছিলেন।[] তিনি ১৯২৩ সালের শেষের দিক পর্যন্ত ভারতের জাতীয় খ্রিস্টান কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এরপর বিবাহ করার জন্য তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ করেন।[১৮]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

মোহিনী মায়া দাস ১৯২৪ সালের প্রথম দিকে জে এন দাসকে বিবাহ করেছিলেন।[১২] তিনি ১৯৩০ এর দশকেও ধর্মীয় বিষয়গুলিতে লেখা এবং বক্তৃতা দেওয়া চালিয়ে গিয়েছিলেন।[১৯]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Two East Indian Girls Seek American Schools" San Francisco Chronicle (June 9, 1904): 16. via Newspapers.comউন্মুক্ত প্রবেশাধিকারযুক্ত প্রকাশনা - বিনামূল্যে পড়া যাবে
  2. D. J. Fleming, "Life of a Hindoo Convert" New York Observer and Chronicle (February 21, 1907): 241. via ProQuest
  3. Daniel Johnson Fleming, Building with India (Central Committee on the United Study of Foreign Missions 1922): 211.
  4. Doreen Mayadas-Bawa, "A Childhood in India" The Australian Women's Weekly (May 21, 1969): 37. via Troveউন্মুক্ত প্রবেশাধিকারযুক্ত প্রকাশনা - বিনামূল্যে পড়া যাবে
  5. Shobhana Bhattacharji, "A Christian Educator in India: Constance Prem Nath Dass (1886-1971)" paper presented at the Sixth Galway Conference on Colonialism: Education and Empire (24-26 June 2010).
  6. Nina David, Constance Prem Nath Dass: An Extraordinary History (Bloomsbury Press India 2012). আইএসবিএন ৯৭৮৯৩৮২৫৬৩৩১০
  7. "Men and Women" Greensboro Daily News (January 2, 1909): 4. via Newspapers.comউন্মুক্ত প্রবেশাধিকারযুক্ত প্রকাশনা - বিনামূল্যে পড়া যাবে
  8. Alice Boucher Van Doren, Lighted to Lighten the Hope of India: A study of conditions among women in India (West Medford, MA: The Central Committee on the United Study of Foreign Missions 1922): 139-142.
  9. Dora Maya Das, "In Short" The Mount Holyoke (March 1907): 296-297.
  10. Dora Maya Das, "A Hindu Mother's Lullaby" and "Shalamar", in Elizabeth Crane Porter, Frances Lester Warner, eds., A Mount Holyoke Book of Prose and Verse (Riverside Press 1912): 108-109.
  11. "Some Activities of the Young Women's Christian Association in the Country, in Chautauqua County, N. Y." Rural Manhood (November 1911): 306.
  12. Elizabeth Wilson, The Story of Fifty Years of the Young Women's Christian Association Of India Burma And Ceylon (Indian National Committee of the YWCA 1925): 55-56, 109.
  13. Robert P. Wilder, "The World's Christian Students at Peking" Missionary Review of the World (July 1922): 533.
  14. Laura Rademaker, "Gender, Race, and Twentieth-Century Dissenting Traditions" in Mark P. Hutchinson, ed., The Oxford History of Protestant Dissenting Traditions, Volume V: The Twentieth Century: Themes and Variations in a Global Context (Oxford University Press 2018): 427. আইএসবিএন ৯৭৮০১৯২৫১৮২২৪
  15. Mohini Maya Das, "The Meaning of the Federation Conference to Orientals" The Student World (July 1922): 95-96.
  16. Karen E. Phoenix, "'Not By Might, Nor By Power, But By Spirit': The Global Reform Efforts of the Young Women's Christian Association in the United States, 1895-1939" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে (Doctoral dissertation, University of Illinois at Urbana-Champaign 2010): 123-124.
  17. "India, its Past, Present, and Future" The Weekly Review (April 29, 1922): 342.
  18. Minutes of a Meeting of the Executive Committee of the National Christian Council[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], Calcutta, November 22–23, 1923.
  19. Mrs. Mohini Dass, "What Indian Womanhood Owes to Christ" The Missionary Review of the World (1936): 412.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]