মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির রতন
জন্ম১৯৬৫ (1965) (বয়স ৫৯)
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদমর্যাদা মেজর জেনারেল
নেতৃত্বসমূহ
যুদ্ধ/সংগ্রাম

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির (জন্ম ১৯৬৫) পদাতিক বাহিনীর (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) সাবেক দুই-তারকা ফ্ল্যাগ অফিসার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল ছিলেন। [১] তিনি বিভিন্ন কমান্ড এবং সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসাবে, সেনা সদর দফতরের সামরিক অভিযানের পরিচালক হিসাবে, ১৭ পদাতিক বিভাগের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [২] এছাড়াও তিনি সাইপ্রাসে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ফোর্স কমান্ডার এর দায়িত্ব পালন করেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

হুমায়ুন তিনটি মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সেগুলি হল কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা এবং কৌশল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন (২০০২-২০০৫); এবং বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিরক্ষা অধ্যয়ন (১৯৯৮-১৯৯৯)। তিনি রয়েল কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজ, যুক্তরাজ্য (২০১২-২০১৩), এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কমান্ড এবং জেনারেল স্টাফ কলেজ (১৯৯৯-২০০০) থেকে স্নাতক পাস করেন । [৩]

পেশা[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে হুমায়ুন কবির ১৩ তম বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি লং কোর্সে অফিসার হিসাবে কমিশন লাভ করেন। তিনি মাঠে এবং সদর দফতরে কর্মী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসাবে তিনি একটি পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন এবং পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান অধিদপ্তরের পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতির পরে তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত [৩] ১৭ পদাতিক বিভাগের (সিলেট) অধিনায়ক ছিলেন। [৩][৪]

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন[সম্পাদনা]

হুমায়ুন ২০০২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কঙ্গোতে ( জাতিসংঘের সংস্থা মিশন ) এবং ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জাতিসংঘ সুরক্ষা বাহিনী (ইউএনপ্রোফর) এর সাথে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন।

২৬ জুলাই ২০১৬ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সাইপ্রাসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ফোর্স কমান্ডার (ইউএনএফআইসিওয়াইপি) হিসেবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে নিয়োগ করেছেন। তিনি ইউএন-তে প্রথম মহিলা কমান্ডার মেজর জেনারেল ক্রিস্টিন লুন্ডের স্থলাভিষিক্ত হন । [৩]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

কবির ১৯৬৫ সালে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তার তিন পুত্র রয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" সাইপ্রাসে ফোর্স কমান্ডার হিসেবে যোগদানের উদ্দেশ্যে সেনা কর্মকর্তার ঢাকা ত্যাগISPR। ২০১৬-১০-০৫। ২০১৬-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১৭ 
  2. "Bangladesh 'fully committed' to UN peacekeeping as vital element of global peace and security – UN Force Commander"UN News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২৮ 
  3. "Secretary-General Appoints Major General Mohammad Humayun Kabir of Bangladesh Force Commander of United Nations Peacekeeping Force in Cyprus | Meetings Coverage and Press Releases"www.un.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১৭ 
  4. "Humayun Kabir leaves for New York"The Daily Sun। ২০১৬-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১৭