মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন কাসিমপুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন কাসিমপুরী
জন্ম
মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন

(১৯০১-১০-২২)২২ অক্টোবর ১৯০১
কাসিমপুর গ্রাম, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা
মৃত্যু১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯(1979-12-18) (বয়স ৭৮)
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারতীয় (১৯০১–১৯৪৭)
পাকিস্তানি (১৯৪৭–১৯৭১)
বাংলাদেশী (১৯৭১–১৯৭৯)
পেশাশিক্ষকতা
পরিচিতির কারণলোক সাহিত্য সংগ্রাহক
পুরস্কার

মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন কাসিমপুরী (২২ অক্টোবর ১৯০১ – ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৯) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও গবেষক।[১] তিনি বাংলার লোক সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ - উভয় দেশ হতেই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা লাভ করেন।[২]

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি[সম্পাদনা]

সিরাজুদ্দীন ১৯০১ সনে (১৩০৮ বাংলা সনে) নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার মদনপুর ইউনিয়নের কাসিমপুর গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রাম কাসিমপুরের সংগে নিজের নামটি যুক্ত করে কাসিমপুরী হিসেবে পরিচিত হন। সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরীর বাল্য শিক্ষা শুরু হয় নিজ গ্রামের মক্তবে। সেখান থেকে কোরান শিক্ষা করার পর তাকে পাশের গ্রাম নরেন্দ্রনগরে তার মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নরেন্দ্রনগর পাঠশালায় তিনি বাংলা শিক্ষা শুরু করেন। তৃতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই পিতৃবিয়োগ ঘটে। পিতৃবিয়োগের পর তার মা মেহেরজানও কিছু দিনের জন্য নরেন্দ্রনগরে তার পিত্রালয়ে চলে যেতে বাধ্য হন। এভাবে ধীরে ধীরে সিরাজুদ্দিন মামার আশ্রয়ে বড় হতে লাগলেন। দুরন্তপনা সিরাজুদ্দিনের হৈ-চৈ আর লাফালাফিতে কেটে যায়। পিত্রবিয়োগের কয়েকটি বছর। আর সেই সঙ্গে চলতে থাকে গ্রাম্য নাট্যাভিনয় পালা গান ও কেচ্ছার আসরে নিয়মিত যোগদান। কয়েক বছর বিদ্যায়ের পড়াশোনার সঙ্গে একরূপ সংশ্রম বর্জিত হয়েই ছিলেন। সেই সময় নরেন্দ্রনগর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মাইনর স্কুল’ সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হত। মাইনর স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষকদের অন্যতম মহিউদ্দীন এবং প্রধান শিক্ষক বিপিনচন্দ্র ভট্টাচার্য উদ্যোগী হয়েই সিরাজুদ্দিনকে ভর্তি করে নেন। ‘মাইনর’ পরীক্ষা পাশ করার পর আর পড়াশোনা করার কোন সুযোগ রইল না।

কাসিমপুর থেকে পাঁচ মাইল দূরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটিমাত্র স্কুল জয়নাথ চক্রবর্তী ইনস্টিটিউশন আশুজিয়া ১৮/১৯ বছর বয়সে তিনি আশুজিয়া জয়নাথ চক্রবর্তী ইনস্টিটিউশনে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই পিতৃহীন ও দরিদ্র্য কৃষক সন্তানের পক্ষে হাইস্কুলে ভর্তি হওয়া কিছুতেই সম্ভব হতো না যদিনা এই স্কুলের ছাত্র বৎসল শিক্ষক জয়চন্দ্র রায়ের সক্রিয় সহযোগিতা না পেতেন। সিরাজুদ্দিনের চেতনা ও স্বদেশপ্রীতি সঞ্চারে জয়চন্দ্র বাবুর প্রভাব খুবই গবীরভাবে কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু অভাব ও দারিদ্র সিরাজুদ্দিনের পড়াশোনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েই তিনি বাধ্য হলেন স্কুল ছেড়ে দিতে। বেড়িয়ে পড়েন রোজগারের সন্ধানে। এ সময় তার গ্রামের বাড়ী থেকে ৫ মাইল দুরের দল্পা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে ঠাকুরজী নামে এক পাঠশালার শিক্ষকের গুরু ট্রেনিং নেয়ার ছুটিকালীন সময়ে ১ বৎসরের জন্য বদলী শিক্ষক পদে স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরীর কর্ম জীবনের শুরু হয় ১৯২১ সালে রঘুনাথপুর পাঠশালায় শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে। এই সময় স্কুল পরিদর্শক লক্ষীকান্ত দাস রঘুনাথপুর পাঠশালা পরিদর্শন করেন এবং সিরাজ উদ্দীনের পাঠদান কূশলতা এবং সাহিত্য জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে তিনি মুগ্ধ হন। তাই রঘুনাথপুর পাঠশালায় স্থায়ী শিক্ষক নিযুক্তির ব্যবস্থা করে গুরু ট্রেনিং নেয়ার পরামর্শ দেন।

১৯২৩ সালে ছুটি নিয়ে নেত্রকোণা গুরু ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হন এবং ভালভাবে ট্রেনিং নিয়ে রঘুনাথপুর পাঠশালায় ফিরে আসেন। ১৯২৫ সালে নেত্রকোণার মহকুমা এম.ডি.আই. প্রসাদ প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ঐ পাঠশালা পরিদর্শন করতে আসেন। সিরাজ উদ্দিনের প্রতিভার স্বাক্ষর ও বিশেষ গুণাবলীর পরিচয় পেয়ে তিনি সিরাজ উদ্দিনকে শিক্ষকতার উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অনুপ্রানিত করেন।

১৯২৬ সালের জানুয়ারী মাসে তিনি ঢাকায় নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন। ১৯২৮ সালে নর্মাল স্কুল থেকে তিনি টিচারশীপ সার্টিফিকেট গ্রহণ শেষে এভাবেই স্থায়ী ভাবে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে তিনি নেত্রকোণা জেলার নিকটবর্তী বালি জুনিয়র মাদ্রাসায় পন্ডিতের কাজে যোগদান করেন। দুই বছর সেখানে কাজ করার পর বালি ত্যাগ করেন এবং ১৯৩১ সালের ২ জানুয়ারি মোহনগঞ্জ হাইস্কুলের ভার্নাকুলার নিযুক্ত হন।

১৯৩৫ সালের মে মাসে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আব্দুর রশিদের বাসায় গিয়ে উঠেন। ১৯৩৬ সালের শেষের দিকে জামালপুর 'গুরু ট্রেনিং' স্কুলে হেড পন্ডিতের পদে অস্থায়ীভাবে নিযুক্তি লাভ করেন। পরে কিশোরগঞ্জ 'গুরু ট্রেনিং' স্কুলে চাকরি পান। কিন্তু মেট্রিক পাস না থাকায় সে চাকরি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৪১ সালে তিনি কর্মচ্যুতির মুখোমুখি হলেন। তিনি যে পদে কর্মরত ছিলেন সেই পদে উপযুক্ত একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদান করলেন।

ঢাকা রেঞ্চের তখনকার স্কুল ইনসপেক্টর মিষ্টার জে. লাইড়ী তখন সিরাজুদ্দিনের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ করলেন অবিভক্ত বাংলার ডিরেক্টর অব ইনট্রাকশন নিজে। ডি.পি.আই অফিস থেকে ঢাকা রেঞ্চের স্কুল ইনসপেক্টরের নিকট লিখিত অফিসিয়াল পত্রে সেই হস্তক্ষেপের পরিচয় পাওয়া যায়। এরপরই 'গুরু ট্রেনিং' স্কুলে তিনি স্থায়ী নিযুক্তি পান।

তবুও শেষ পর্যন্ত কাসিমপুরী তার পদে পুনর্বহাল থাকতে পারলেন না। কারণ তিনি মেট্রিক পাস ছিলেন না। সেই সময়ে তাকে প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষাদান কার্যে নিযুক্ত করা হয়। এরপর তিনি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ বদলী হয়ে আসেন এবং ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তখন তিনি পেনশন পান ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা হারে এবং গ্র্যাচুইটি হিসেবে পেয়েছিলেন ৩,৩২৫ টাকা ২০ পয়সা।

রচনাবলী[সম্পাদনা]

সাহিত্যক্ষেত্রে সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরীর সাহিত্য সাধনার হাতে খড়ি ছাত্র জীবন থেকেই। তবে পুরোদমে সাধনা শুরু হয় ত্রিশের দশকের গোড়ার দিকে মোহনগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় থেকে।

সিরাজুদ্দিন সাহিত্য জীবনের শুরুতে প্রচুর কবিতা ও গান লিখেছেন। শিক্ষানীতি সম্বন্ধে অনেক প্রবন্ধ তিনি ঐ সময়ে রচনা করেছেন। ত্রিশের দশকের গোড়ার দিকে তিনি পরিচিত হন তৎকালীন ঢাকার বিশিষ্ট সাহিত্যসেবী নলিনী কিশোর গুহের সজো সাথে ।

ঐ সময় বাংলা বাজার থেকে 'সোনার বাংলা' নামে একটি উন্নতমানের সাপ্তাহিক পত্রিকা গুহ মহাশ সম্পাদনায় প্রকাশ হতো। কাসিমপুরীকে তিনি সোনার বাংলা রচনায় উৎসাহিত করেন। 'সোনার বাংলা' ছাড়াও ঢাকা থেকে আরও প্রকাশিত 'শান্ত', 'চাবুক' ও 'শিক্ষা সমাচার' নামক তিনটি সাময়িক পত্র ও কলকাতার 'মাসিক মোহাম্মদী'-তে অনেকগুলো রচনা প্রকাশিত হয়েছিল.

ঐ সময়ে 'আজাদ', 'ইত্তেফাক', 'মাহেনও', 'কৃষিকথা' এবং বাংলা একাডেমী পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যায় তিনি বেশ কিছু রচনা প্রকাশ করেন। সিলেটের 'আল ইসলাহ' এবং ময়মনসিংহের 'আগামী' ও 'মহুয়া' নামক দুটি মাসিক পত্র এবং শেষ জীবনে নেত্রকোণার 'সৃজনী সাহিত্য পত্রিকা'-তেও তিনি লিখেছেন। এছাড়া তিনি অনিয়মিত সাহিত্য সংকলনেও প্রকাশিত হয়েছে তার প্রচুর রচনা।

লোকসাহিত্য[সম্পাদনা]

লোকসাহিত্যের পরিবেশে লালিত সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরী লোকসাহিত্য সংগ্রহে বিশেষ উৎসাহিত হয় ১৯৩৮ সাল থেকে। সে বছরই বাংলার লোকসাহিত্য বিশেষজ্ঞ আশুতোষ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ শহরে 'পূর্ব ময়মনসিংহ' সাহিত্য সম্মিলনীর একাদশ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সিরাজুদ্দিন বাংলার লোকসাহিত্য সম্পর্কে একটি তথ্যপূর্ণ প্রবন্ধ পাঠ করে সুধীবৃন্দের সু-প্রশংসা দৃষ্টি অকর্ষণে সক্ষম হন। এতে সভাপতি ভাষাচার্য ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সম্পাদক আশুতোষ ভট্টাচার্য উভয়েই তাকে লোকসাহিত্য সংগ্রহ করার কাজে আত্মনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেন।

রচনাপঞ্জী[সম্পাদনা]

জীবৎকালে সিরাজুদ্দিন কাসিমপুরীর তিনটি স্কুল পাঠ্যপুস্তক ও তিনটি লোকসাহিত্য বিষয়ক পুস্তক প্রকাশিত হয়। চল্লিশের দশকে 'ময়মনসিংহের ভূগোল' নামক একটি বই তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার প্রাইমারী স্কুলসমূহে পড়ানো হতো। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত আরও দুটি পাঠ্যপুস্তক:

  • আমার পড়ার বই (প্রাইমারী, ২য় শ্রেণী)
  • প্রাইমারী স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান (প্রাইমারী, চতুর্থ শ্রেণী)

সাহিত্য গ্রন্থ[সম্পাদনা]

  • লোকসাহিত্য ছড়া: প্রকাশক হাসান জামাল, প্রকাশনীতে বাংলা একাডেমী, ঢাকা, 'প্রবন্ধ কথা' লেখক- সৈয়দ আলী আহসান, প্রথম প্রকাশ- ১লা বৈশাখ, ১৩৬৯ বাংলা।
  • লোকসাহিত্য ধাঁধাঁ ও প্রবাদ: প্রকাশক ফজলে রাবিব, বাংলা একাডেমী, ঢাকা। 'প্রবন্ধ কথা' লেখক- ডক্টর কাজী দীন মুহম্মদ, প্রথম প্রকাশ- পৌষ ১৩৭৫ বাংলা, ডিসেম্বর ১৯৬৮ খ্রি.।
  • বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত পরিচিতি: প্রকাশক ফজলে রাবিব, বাংলা একাডেমী, ঢাকা।
  • 'প্রবন্ধ কথা': লেখক- ডক্টর মযহারুল ইসলাম, প্রথম প্রকাশ- আশ্বিন বাংলা ১৩৮০, অক্টোবর-১৯৭৩। বর্তমানে তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্য অবস্থায় আছে।
  • বাংলাদেশের লোকসাহিত্যে পরিচিতি: ময়মনসিংহের জেলা পরিষদ এই বইয়ের পান্ডুলিপি ক্রয় করে নেয়। কিন্তু পরে এই মুহূর্তে প্রকাশের অক্ষমতা জানিয়ে এর কিছু অংশ জেলা পরিষদ পরিচালিত 'মহুয়া' নামক সাহিত্য মাসিকের কয়েকটি সংখ্যায় (১৯৭৬-৭৭) সালে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে।
  • ভাঙ্গাবীণা: কাসিমপুরী সাহেবের কতগুলো গান ও কবিতার সমষ্টি হচ্ছে ভাঙ্গাবীণা। ভাইট্যাল গাঙ্গের নাইয়া কতগুলো ভাটিয়ালি গানের সংগ্রহ। যেমন- 'কৃষিতে খনার বচন', 'কৃষিকথা' ইত্যাদি প্রকাশ করেছিলেন।

সিরাজ উদ্দিন কাসিমপুরীর সাময়িক পত্রে প্রকাশিত রচনাসমূহের পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা খুবই কঠিন। উনার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত যে সব রচনা বিভিন্ন সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু নিচে তুলে ধরা হল:

  • 'বাঁশি' মাসিক 'শান্তি' পত্রে, পৌষ ১৩৪২ সাল।
  • 'পৃথিবীর পরিচয়', মাসিক মোহাম্মদী, আশ্বিণ ১৩৪২ সাল।
  • মাসিক মোহাম্মদী পত্রে 'মানুষ রতন' পৌষ ও মাঘ ১৩৪২ সাল।
  • 'আলো ও আধাঁর', মাসিক 'শান্তি' পত্রে বৈশাখ ১৩৪৩ সাল।
  • 'গোড়ায় গলদ', সাপ্তাহিক 'শিক্ষা সমাচার' ২৯ জানুয়ারি ১৯৩৫ সাল।
  • 'আঁধারের বুকে' সাপ্তাহিক 'চাবুক' পত্রে ২২ জুন ১৯৩৫ সাল।
  • 'সোনার ভারত', 'আপন সূরত' সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা' ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮ সাল।
  • 'নারী ও পুরুষ' মাসিক 'শান্তি' পূজা সংখ্যা ১৩৪৩ সাল।
  • 'মোহাম্মদীর ইউনিভার্সিটি সংখ্যা' সাপ্তাহিক 'মোহাম্মদী' ১৪ আগস্ট ১৯৩৬ সাল।
  • 'শিক্ষা ও শিক্ষক' সাপ্তাহিক 'শিক্ষা সমাচার' ২৭ শ্রাবণ ও ভাদ্র ১৩৪৩ সাল।
  • 'কোলে তুলে মান করিলে' সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা' পূঁজা সংখ্যা ১৩৪৩ সাল।
  • 'পারের গান' মাসিক 'শান্তি' শ্রাবণ ১৩৪৪ সাল।
  • 'সোনার মানুষ' সাপ্তাহিক 'সোনার বাংলা' ১৪ নভেম্বর ১৯৩৮ সাল।
  • 'শিক্ষাদান কার্যে আর্টের প্রয়োজনীয়তা' সাপ্তাহিক 'শিক্ষা সমাচার' পূজা সংখ্যা ১৩৪৩ সাল।
  • 'রঙ্গিলা দেওয়াল' মাসিক 'সৌরভ' ফাল্গুন ও চৈত্র ১৩৪৪ সাল।
  • 'মাতা-পিতা ও সন্তান-সন্তুতি' সাপ্তাহিক 'শিক্ষা সমাচার' ১৮ আগস্ট ১৯৩৭ সাল।
  • 'সাহিত্যের আদর্শ'।
  • 'শিক্ষকের মান মর্যাদা' মাসিক 'শান্তি' পত্রে। পূজা সংখ্যা ১৯৩৯ সাল।
  • 'কৃষিতে খনার বচন' মাসিক 'কৃষিকথা' পত্রে অক্টোবর ১৯৬৪ থেকে এপ্রিল ১৯৬৫ পর্যন্ত।
  • 'লোকসাহিত্য উরিগান', বাংলা একাডেমী পত্রিকা বৈশাখ-আষাঢ় ১৯৭২ সাল।

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • ১৯৬৮ সালে নেত্রকোণা লোকসাহিত্য সংসদ কর্তৃক লোকসাহিত্য বিশারদ উপাধীতে ভূষিত করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি নেত্রকোণা জেলায় সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার পান।[৩]
  • পাকিস্তানের পাকবাহিনীর অত্যাচারের ফলে ১৯৭১ সালে 'তঘমা-ই-খেদমত' উপাধী বর্জন করে বাঙ্গালী জাতির জন্য গৌরব আনয়ন করেন। (পরবর্তীতে পাকিস্তানীরা ঘোষণা দিয়েছিল যে, যদি কাসিমপুরী-কে ধরে দেওয়া হয় তবে ১০০০ টাকা পুরস্কার)।
  • ময়মনসিংহ সাহিত্য সম্মেলন, আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগ, বাংলাদেশ ফোকলোর পরিষদ সিরাজ উদ্দিন কাসেমপুরীকে আনুষ্ঠানিক ও আন্তরিক সংবর্ধনা প্রদান করে। ১৯৬৮ সনে নেত্রকোণা সাহিত্য সংসদ এক সম্মেলন অনুষ্ঠান করে তাকে লোক সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করেন।
  • ১৯৭৬ সনে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান। ১৯৭০ সনের ১৪ই আগস্ট পাকিস্তান সরকার তখমা-ই খেতাবে ভূষিত করেন। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি এ খেতাব প্রত্যাখান করেন।
  • ১৯৭৯ সনের শুরুর দিকে তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৯৭৯ সনের ১৮ই ডিসেম্বর ১৩৮৬ বাংলা ৩রা পৌষ এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]