মোহাম্মদ মোহসীন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডভোকেট
মোহাম্মদ মোহসীন
রাজশাহী-১১ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫ – ৬ নভেম্বর ১৯৭৬
পূর্বসূরীমাঈনুদ্দিন আহমেদ মানিক
উত্তরসূরীএমরান আলী সরকার
রাজশাহী-১০ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২
পূর্বসূরীএ.এইচ.এম কামারুজ্জামান
উত্তরসূরীআসন বিলুপ্ত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৩১-০৫-২১)২১ মে ১৯৩১
কবিরাজটোলা, বিনোদপুর, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু৮ অক্টোবর ২০০৪(2004-10-08) (বয়স ৭৩)
রাজশাহী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তান৩ ছেলে ও ২ মেয়ে
পিতামাতাআব্দুল আজিজ (পিতা)
আয়না বেগম (মাতা)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী গভ. কলেজ

মোহাম্মদ মোহসীন (২১ মে ১৯৩১– ৮ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন বাংলাদেশি আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ। তিনি তৎকালীন রাজশাহী-১০রাজশাহী-১১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মোহসীন ২১ মে ১৯৩১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের কবিরাজটোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম আয়না বেগম।[২]

তিনি ১৯৪৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের দাদনচক হাই মাদ্রাসা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫০ সালে রাজশাহী গভ. কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।[২]

১৯৫৭ পরবর্তী সময়ে পরিবারসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিনোদপুর থেকে রাজশাহী শহরে স্থায়ী হোন। ব্যক্তিগত জীবনে তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মোহসীন আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর রাজশাহী জেলার জিপি (গভ. প্লিডার) ছিলেন।[২]

তিনি রাজশাহী আইন কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। মৃত্যুবধি রাজশাহী আইন কলেজের গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।[২]

তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।[২]

তিনি রাজশাহী জেলা জাতীয় যক্ষা সমিতির নির্বাহী সদস্য, রাজশাহী হোমিওপ্যাথ কলেজর নির্বাহী সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত একাধিকবারের সিনেট এবং সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।[২]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মোহসীন ১৯৬২ পরবর্তী সময়ে দুই মেয়াদে বৃহত্তর রাজশাহী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৬৮-১৯৭৩ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরবর্তীতে একাধিকবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

১৯৭০ সালের তৎকালীন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামীলীগ পার্লামেন্টারী বোর্ড কর্তৃক রাজশাহীর বোয়ালিয়া-পবা-তানোর-গোদাগাড়ী এলাকা থেকে এমএনএ প্রার্থী হিসেবে নৌকার মনোনয়ন পেলেও ব্যক্তিগত কারণে নির্বাচন করেননি।[২]

১৯৭১ সালে রাজশাহী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের পানিপিয়া ক্যাম্পের ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় ১০০০ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেন। সংগঠক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন।[২]

প্রথম জাতীয় সংসদের ১৯৭৫ সালের উপ-নির্বাচনে বাকশাল পদ্ধতিতে তৎকালীন রাজশাহী-১১ আসনে (রাজশাহী সদর-বোয়ালিয়া-পবা) সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[৩][২]

তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন রাজশাহী-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৪][২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মোহাম্মদ মোহসীন ৮ অক্টোবর ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. মাহবুবুল ইসলাম ইমন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’শো বছর ইতিহাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী-১ম ও ২য় খণ্ড 
  3. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. The Election Archives (ইংরেজি ভাষায়)। Shiv Lal। ১৯৮১।