মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার
মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার | |
---|---|
২০তম উপাচার্য | |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মো. আবু তাহের |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | খুলনা বিভাগ, বাংলাদেশ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অধ্যাপনা, লেখক |
মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক ও গবেষক। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি এই পদে নিয়োগ লাভ করেন।[১][২]
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়ার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলায়।[৩] মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দ্বিতীয় এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]অধ্যাপক আখতার ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রভাষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। তার গবেষণার মূল ক্ষেত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে সমসাময়িক রাজনীতি, দুর্নীতি, ধর্ম, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে চবির ১৯তম উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহের পদত্যাগের পর ১৮ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ ইয়াহইয়া এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১]
প্রকাশনা ও গবেষণা
[সম্পাদনা]ড. আখতারের লেখালেখি মূলত গবেষণামূলক এবং তিনি রাজনীতি ও সমাজতত্ত্ব বিষয়ে বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। তার লেখা বই "ইলেকটোরাল করাপশন ইন বাংলাদেশ" (২০০১), যা ইংল্যান্ডের অ্যাশগেট পাবলিশিং লিমিটেড থেকে প্রকাশিত, পশ্চিমা ও প্রাচ্যের প্রতিষ্ঠিত সমাজবিজ্ঞানীদের উষ্ণ সমাদর পেয়েছে। এছাড়াও তার "রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সামাজিকীকরণঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ" (১৯৯১), "নির্বাচন, দুর্নীতি ও রাজনীতি" (২০০৩) এবং "চারদলীয় জোট সরকারের দেশ শাসন" (২০০৩) বইগুলোও বহুল পঠিত হয়েছে।[৫]
গবেষণার ক্ষেত্র
[সম্পাদনা]ড. আখতার সমসাময়িক রাজনীতি, দুর্নীতি, ধর্ম, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে গভীর আগ্রহের সাথে গবেষণা করেন। তার প্রবন্ধ ও গবেষণা অনেক আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সেমিনারে প্রকাশিত হয়েছে।[৬] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ তার লেখা "দুর্নীতি রোধে সংবাদপত্রের ভূমিকা" শীর্ষক রিসার্চ মনোগ্রাফ প্রকাশ করেছে।
সামাজিক ও গবেষণা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]ড. আখতার একাডেমিক কাজের পাশাপাশি সামাজিক ও গবেষণামূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সদস্য এবং রিসার্চ সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া, তিনি ইয়ুথ ফোরাম ফর ডেমোক্রাসির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "চবির নতুন উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ প্রথা, অনিন্দিতা সরকার (২০২৪-০৯-১৩)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার | চ্যানেল আই অনলাইন"। চ্যানেল আই অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৩।
- ↑ Mahmud, Rusho (২০২৪-০৯-১২)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার"। Suprobhat Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৩।
- ↑ "চবির নতুন উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া"। banglanews24.com। ২০২৪-০৯-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৩।
- ↑ "লেখক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার"। রকমারি।
- ↑ "চবির নতুন উপাচার্য হচ্ছেন ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার"। দেশ রুপান্তর। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।