মেহমেদ সাঈদ আফেন্দি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেহমেদ সাঈদ
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
কাজের মেয়াদ
২৫ অক্টোবর ১৭৫৫ – ১ এপ্রিল ১৭৫৬
সার্বভৌম শাসকতৃতীয় উসমান
পূর্বসূরীসিলাহদার বিইকলি আলী পাশা
উত্তরসূরীকোসে বাহির মুস্তাফা পাশা
উসমানীয় সাম্রাজ্যের শায়খুল ইসলাম
কাজের মেয়াদ
১৭৪৯ – ১৭৫০
সার্বভৌম শাসকপ্রথম মাহমুদ
পূর্বসূরীএবুইসহাকজাদে মেহমেদ এসাত আফেন্দি
উত্তরসূরীসেইত মুর্তাজা আফেন্দি
মিশরের উসমানীয় গভর্নর
কাজের মেয়াদ
১৭৫৭ – ১৭৫৮
পূর্বসূরীসা'দেদ্দীন পাশা আল-আজম
উত্তরসূরীকোসে বাহির মুস্তাফা পাশা
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যুঅক্টোবর ১৭৬১
পিতাইরমিসেকিজ মেহমেদ চেলেবি
জীবিকারাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ
ধর্মইসলাম

ইরমিসেকিজাদে মেহমেদ সাঈদ পাশা (তুর্কি: Yirmisekizzade Mehmed Said Paşa, মৃত্যু: অক্টোবর ১৭৬১), যিনি তার জীবনের শুরুতে মেহমেদ সাঈদ আফেন্দি নামে পরিচিত ছিলেন, একজন উসমানীয় রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৭৫৫ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ১৭৫৬ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

মেহমেদ সাঈদ পাশার পিতা ইরমিসেকিজ মেহমেদ চেলেবি ১৭২০-২১ সালে ফ্রান্সে উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পৈতৃক সূত্রে মেহমেদ সাইদ ছিলেন জর্জীয়[১] বংশোদ্ভূত। তুর্কি ভাষায় তার উপাধি ইরমিসেকিজাদে-এর অর্থ "আঠাশের পুত্র"। এটি তার পিতার ইরমিসেকিজ ("আঠাশ") উপাধির একটি প্রমাণ, যা নির্দেশ করে ইরমিসেকিজ মেহমেদ চেলেবি তার জীবনের প্রথম দিকে জেনিসারি বাহিনীর ২৮তম ব্যাটালিয়ন (ওর্তা)-এর সদস্য ছিলেন। তিনি তার প্রথম মিশনে ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে তার বাবার সাথে কাজ করেন। তিনি ফরাসি সংস্কৃতি এবং জীবনধারা দারুণভাবে উপভোগ করেন এবং ফরাসি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে শেখেন বলে জানা যায়।[২]

মেহমেদ সাইদকে ১৭৪২ সালে প্যারিসের একটি দূতাবাসের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করা হয়। সেইসাথে ১৭৩৩ সালে সুইডেনে ঐতিহাসিকভাবে আরও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দূতাবাসে এবং পোল্যান্ডের আরেকটি দূতাবাসের দায়িত্ব পান তিনি। এই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি তার পিতার মতো একটি পৃথক সেফারেতনামা রচনা করেন।[৩] সুইডেনে তিনি মুস্তাফা আগার স্থলাভিষিক্ত হন।[৪]

১৭৪৯ থেকে ১৭৫০ সালের মধ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য শায়খুল ইসলাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৭৫৫ সালের ২৫ অক্টোবর সুলতান তৃতীয় উসমান তাকে উজিরে আজম পদে নিযুক্ত করেন। ১৭৫৬ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি মিশরের গভর্নর নিযুক্ত হন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. İsmail Hâmi Danişmend (১৯৭১)। Osmanlı Devlet Erkânı (তুর্কি ভাষায়)। İstanbul: Türkiye Yayınevi। পৃষ্ঠা ৬০। 
  2. East encounters West by Fatma Müge Göçek, পৃষ্ঠা ৬৯-৭০
  3. East encounters West by Fatma Müge Göçek, পৃষ্ঠা ৮৫
  4. Imber, পৃষ্ঠা ৫৩

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
সিলাহদার বিইকলি আলী পাশা [tr]
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম
২৫ অক্টোবর ১৭৫৫ – ১ এপ্রিল ১৭৫৬
উত্তরসূরী
কোসে বাহির মুস্তাফা পাশা
পূর্বসূরী
সা'দেদ্দীন পাশা আল-আজম
মিশরের উসমানীয় প্রশাসক
১৭৫৭–১৭৫৮
উত্তরসূরী
কোসে বাহির মুস্তাফা পাশা