মেল ব্রুক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেল ব্রুক্স
২০১০ সালের ২৩শে এপ্রিল হলিউড ওয়াক অব ফেমে তারকা খচিতকালে ব্রুক্স
জন্ম
মেলভিন কামিন্‌স্কি

(1926-06-28) ২৮ জুন ১৯২৬ (বয়স ৯৭)
মাতৃশিক্ষায়তনব্রুকলিন কলেজ
পেশাঅভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সঙ্গীতজ্ঞ, কৌতুকাভিনেতা
কর্মজীবন১৯৪৯–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী
সন্তান৪; ম্যাক্স ব্রুক্স-সহ
সামরিক কর্মজীবন
আনুগত্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সেবা/শাখা মার্কিন সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৪৪–১৯৪৬
পদমর্যাদা কর্পোরাল
ইউনিট১১০৪ ইঞ্জিনিয়ার কমব্যাট ব্যাটেলিয়ন, ৭৮তম পদাতিক বিভাগ[১]
যুদ্ধ/সংগ্রামবালজের যুদ্ধ[১]

মেল ব্রুক্স (ইংরেজি ভাষায়: Mel Brooks) (জন্ম: ২৮শে জুন, ১৯২৬) হলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার, গীতিকার, কমেডিয়ান, অভিনেতা এবং প্রযোজক। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে এক রুশ ইহুদি পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল, জন্মের সময় নাম ছিল মেলভিন কামিনস্কি। তিনি সেই সব বিরল মানুষদের একজন যারা অস্কার, এমি, গ্র্যামি এবং টনি পুরস্কার সবগুলোই অর্জন করেছেন। চলচ্চিত্র সমালোচক ব্র্যাড স্টিভেন্সের মতে, উডি অ্যালেনকে যদি চার্লি চ্যাপলিন এবং ক্লিন্ট ইস্টউডের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে মেল ব্রুক্সকে তুলনা করতে হবে জঁ-লুক গদার এবং ফেদেরিকো ফেল্লিনির সাথে।[২] তার তিনটি সিনেমা আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা সর্বকালের সেরা হাসির চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান পেয়েছে: ব্লেজিং স্যাডলস ৬ নং, দ্য প্রডিউসারস ১১ এবং ইয়াং ফ্রাংকেনস্টাইন ১৩ নম্বরে।[৩]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর তিনি বিভিন্ন স্থানে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান এবং রম্য লেখক হিসেবে কাজ করেন। উডি অ্যালেন, নিল সাইমন এবং অন্যদের সাথে মিলে তিনি সিড সিজারের "ইয়োর শো অফ শোস" লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে "সিজারস আওয়ার" নামে পরিচিত হয়। কার্ল রাইনারের সাথে মিলে "২০০০ ইয়ার ওল্ড ম্যান" নামে একটি কমেডি অনুষ্ঠান তৈরি করেন, যা টেলিভিশনে প্রদর্শিত হয় এবং ১৯৯৮ সালে অর্জন করে গ্র্যামি পুরস্কার। সহলেখক বাক হেনরির সাথে মিলে "গেট স্মার্ট" (১৯৬৫-৭০) নামে একটি প্যারডি টিভি অনুষ্ঠানও করেছিলেন। এ সময় প্রযোজকের কাজ শুরু করেন, বিয়ে করেন অভিনেত্রী অ্যান ব্যানক্রফ্ট কে এবং জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। "দ্য ক্রিটিক" নামের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য এনিমেশন সিনেমাটি অস্কার পেয়েছিল।[৪]

চলচ্চিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রের নাম মুক্তির সন রটেন টম্যাটোস রেটিং
দ্য প্রডিউসারস ১৯৬৮ ৯৩%
দ্য টুয়েলভ চেয়ারস ১৯৭০ ৯২%
ব্লেজিং স্যাডলস ১৯৭৪ ৮৯%
ইয়াং ফ্রাংকেনস্টাইন ১৯৭৪ ৯৪%
সায়লেন্ট মুভি ১৯৭৬ ৮৯%
হাই অ্যাংজাইটি ১৯৭৭ ৭৪%
হিস্টরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, পার্ট ওয়ান ১৯৮১ ৬২%
স্পেসবলস ১৯৮৭ ৫৪%
লাইফ স্টিংকস ১৯৯১ ২০%
রবিন হুড: মেন ইন টাইটস ১৯৯৩ ৪৮%
ড্রাকুলা: ডেড অ্যান্ড লাভিং ইট ১৯৯৫ ৯%

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. US Army, Corps of Engineers। "Historical Vignette 109 – Mel Brooks Was a Combat Engineer in World War II"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৯ 
  2. Brad Stevens, "Mise en scène: Dead and Loving it… Some Notes on Mel Brooks", Senses of Cinema
  3. AFI's 100 YEARS...100 LAUGHS, অ্যামেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট
  4. Mel Brooks, The New York Times