ম্যারি ওলস্টোনক্র্যাফ্‌ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট্
মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট্, আনুমানিক ১৭৯৭
মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট্, আনুমানিক ১৭৯৭
জন্ম(১৭৫৯-০৪-২৭)২৭ এপ্রিল ১৭৫৯
স্পাইটালফিল্ডস, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১০ সেপ্টেম্বর ১৭৯৭(1797-09-10) (বয়স ৩৮)
লন্ডন, ইংল্যান্ড
উল্লেখযোগ্য রচনাএ ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইটস অফ উইমেন
দাম্পত্যসঙ্গীউইলিয়াম গডউইন
সঙ্গীগিলবার্ট এমলে
সন্তানফ্যানি এমলে
মেরি গডউন ওরফে মেরি শেলি

ম্যারি ওলস্টোনক্রাফট (ইংরেজি: Mary Wollstonecraft, এপ্রিল ২৭, ১৭৫৯ - সেপ্টেম্বর ১০, ১৭৯৭) অষ্টাদশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজ লেখিকা। নারীবাদী আন্দোলনের ইতিহাসের সাথে তার নাম বিশেষভাবে যুক্ত। তার জন্ম লন্ডনের স্পিটাফিল্ডসে। ম্যারির সাহিত্য জীবন ক্ষণস্থায়ী, মাত্র ৯ বছর জুড়ে তার ব্যাপ্তি। এই সময়ে তিনি নারীবাদ সহ দর্শন, শিক্ষা, রাজনীতি, ধর্ম, ইতিহাস, ইত্যাদি নিয়ে লেখালেখি করেছেন। ওলস্টোনক্রাফটের শ্রেষ্ঠ রচনা আ ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইটস অফ ওম্যান (১৭৯২), যেখানে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যে নারী প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষ অপেক্ষা হীন, এমনটি নয়। শিক্ষার অভাবেই নারী পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে পড়ে। তিনি প্রস্তাব করেন নারী এবং পুরুষ উভয়কেই যুক্তিবাদী সত্ত্বা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত এবং এর মাধ্যমে তিনি যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক শৃঙ্খলা খুঁজে পাওয়ার কথা কল্পনা করেছেন।

ম্যারি বিয়েবিরোধী ছিলেন কিন্তু আবার প্রেম এবং স্বাধীন যৌনতার পক্ষে ছিলেন, বিংশ শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত ম্যারির লেখার চেয়ে ম্যারির ব্যক্তিগত প্রেম এবং যৌনতা নিয়েই গবেষকরা বেশি মাথা ঘামিয়েছেন কারণ ম্যারির নিজের ব্যক্তিগত প্রেম বা যৌনতা সম্পর্কে অত বেশি কিছু জানা যায়নি। সুইজারল্যান্ডের চিত্রশিল্পী হেনরি ফুজেলি (১৭৪১-১৮২৫), যিনি যার জীবনের একটা বড় অংশ ইংল্যান্ডে কাটিয়েছেন, ম্যারির সঙ্গে প্রেম করেছিলেন যদিও এ ব্যাপারে আজ অবধি কোনো স্পষ্ট এবং শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে তারা প্রেমই করতেন, তবে মার্কিন ব্যবসায়ী গিলবার্ট ইমলে (১৭৫৪-১৮২৮) ম্যারির গর্ভে ফ্যানি ইমলে নামের একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছিলেন এটির প্রমাণ আছে কারণ গিলবার্টকে ম্যারি খুব সম্ভবত বিয়ে করেছিলেন, ম্যারির দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো দার্শনিক উইলিয়াম গডউইনের সঙ্গে, ম্যারি তার সাথে সহবাস করেন এবং দ্বিতীয় বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান মাত্র ৩৮ বছর বয়সে এবং এই দ্বিতীয় মেয়েটির নাম গডউইন ম্যারিই রেখেছিলেন, মেয়েটি কবি পার্সি বিশি শেলি এর পত্নী হয়েছিলেন।

রচনাসমূহ[সম্পাদনা]

  • Thoughts on the Education of Daughters (১৭৮৭)
  • Mary: A Fiction (১৭৮৮)
  • Original Stories from Real Life (1788)
  • Of the Importance of Religious Opinions (1788) (translation)
  • The Female Reader (1789) (anthology)
  • Young Grandison (1790) (translation)
  • Elements of Morality (1790) (translation)
  • A Vindication of the Rights of Men (1790)
  • A Vindication of the Rights of Woman (1792)
  • An Historical and Moral View of the French Revolution (1794)
  • Letters Written during a Short Residence in Sweden, Norway and Denmark (1796)
  • Contributions to the Analytical Review (1788-1797) (published anonymously)
  • The Cave of Fancy (1798, published posthumously; fragment)
  • Maria, or The Wrongs of Woman (1798, published posthumously; unfinished)
  • Letters to Imlay (1798, published posthumously)
  • Letters on the Management of Infants (1798, published posthumously; unfinished)
  • Lessons (1798, published posthumously; unfinished)
  • On Poetry and our Relish for the Beauties of Nature (1798, published posthumously)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]