মৃণাল কান্তি দাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডভোকেট
মৃণাল কান্তি দাস
জাতীয় সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৯ জানুয়ারি ২০১৪ – ২৯ জানুয়ারি ২০২৪
পূর্বসূরীএম ইদ্রিস আলী
উত্তরসূরীমোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব
সংসদীয় এলাকামুন্সীগঞ্জ-৩
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৫ জানুয়ারি ১৯৫৯
দেওভোগ, মুন্সীগঞ্জ জেলা
জাতীয়তা বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পিতামাতাশ্যামলাল দাস (পিতা)
গীতা রানী দাস (মাতা)
শিক্ষাবিএ এবং এলএলবি
পেশাআইনজীবীরাজনীতিবিদ

মৃণাল কান্তি দাস (জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৯৫৯) হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত ১০ম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস ১৯৫৯ সালের ২৫ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শ্যামলাল দাস ও মাতার নাম গীতা রানী দাস। তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

মৃণাল কান্তি দাস ২০১০ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দফতর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১] বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। মৃণাল কান্তি দাস ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।[২] এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এবং পুনরায় মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সমালোচনা[সম্পাদনা]

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিন মৃণাল কান্তি তার দলীয় মিছিল নিয়ে এটি মসজিদের পাশ দিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পার্শ্ববর্তী মসজিদে তখন আসরের নামাজ চলছিলো বিধায় একজন মুসল্লি উচ্চস্বরে মিছিল না করতে আহ্বান জানালে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।[৩][৪][৫] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক আশ্রাব্য গালি মিশ্রিত সেই ভিডিওতে দেখা যায় তিনি ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ-হুমকি দিয়ে বলেন:-

‘ওই বেটা চুপ। ফাডায় লামু একদম
.....
‘শালায় খায় মদ, আবার নামাজ ..., শালাগো ফাডায় লামু’[৩][৫]

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল তার নামাজ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন এটি 'মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে' আঘাত হেনেছে।‌ তবে মৃণাল কান্তি সম্পূর্ণ ঘটনাকে অস্বীকার করেন।[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২০১৯-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১২ 
  2. "মুন্সীগঞ্জে নৌকা পেলেন বর্তমান দুই সাংসদ"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৬ 
  3. "নামাজের সময় মিছিল থামাতে বলায় নৌকার প্রার্থীর গালিগালাজ-হুমকি, ভিডিও ভাইরাল"মানবজমিন। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  4. "এমপি মৃণালের গালিগালাজের ভিডিও ভাইরাল"বাংলা ট্রিবিউন। ২০ ডিসেম্বর ২০২৩। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  5. "সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তির ভিডিও ভাইরাল"দেশ রূপান্তর। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩