মৃণালিনী দেবী পুয়ার
মৃণালিনী দেবী পুয়ার | |
|---|---|
| জন্ম | ২৫ জুন ১৯৩১ |
| মৃত্যু | ২ জানুয়ারি ২০১৫ (বয়স ৮৩) |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| শিক্ষা | বি.এসসি. (পুষ্টি), এমএস (খাদ্য ও পুষ্টি), পিএইচডি (খাদ্য ও পুষ্টি) |
| মাতৃশিক্ষায়তন | মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি |
| পেশা | শিক্ষাব্রতী |
| পরিচিতির কারণ | মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য |
| দাম্পত্য সঙ্গী | মহারাজা আনন্দ রাও চতুর্থ পুয়ার |
মৃণালিনী দেবী পুয়ার (২৫শে জুন ১৯৩১ - ২রা জানুয়ারি ২০১৫) একজন ভারতীয় শিক্ষিকা। তিনি ৩৫,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী সমেত একটি স্বীকৃত ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (চ্যান্সেলর) ছিলেন।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]মৃণালিনী একজন শিক্ষাবিদ এবং ধার রাজ্যের মহারানি ছিলেন। তিনি বরোদা রাজ্যের প্রাক্তন শাসক বংশ গায়কোয়াড় রাজবংশের সদস্য ছিলেন এবং ধার-এর পুয়ার রাজবংশের সদস্য ছিলেন। এই দুটিই প্রাক্তন মারাঠা দেশীয় রাজ্য। তিনি ধার রাজ্যের মহারাজা আনন্দ রাও চতুর্থ পুয়ারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর ভাই বরোদার মহারাজা ফতেহসিংহরাও গায়কোয়াড়ের মৃত্যুর পরে তিনি আচার্য হিসেবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গৃহ বিজ্ঞান অনুষদ থেকে একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে মৃণালিনী বি.এসসি. ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যাণ্ড টেকনোলজি থেকে এমএস (খাদ্য ও পুষ্টি) ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পরে তিনি বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য ভারতের বড়োদরায় ফিরে আসেন।[২][৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মৃণালিনী এমএসইউ-এর আচার্য হিসেবে শিক্ষার মাধ্যমে গায়কোয়াড় পরিবারের সেবার গৌরবময় ঐতিহ্য অব্যাহত রেখেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে এমএসইউ-এর আচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ৩৫,০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী সহ একটি স্বীকৃত ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা আচার্য ছিলেন।
তিনি সুইজারল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার অ্যাণ্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (আইইউসিএনএনআর) এর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কমিশনের সদস্য এবং ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হোম ইকোনমিক্স (আইএফএইচএম) -এর খাদ্য ও পুষ্টি কর্মসূচি কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ভারত সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের পুষ্টি বিষয়ক স্টিয়ারিং গ্রুপ এবং নতুন দিল্লির ইনস্টিটিউট অফ হোম ইকোনমিক্সের গভর্নিং বডির সদস্যও ছিলেন। তিনি নতুন দিল্লির রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট ফর কনটেম্পোরারি স্টাডিজ, রাজীব গান্ধী ফাউণ্ডেশন, এবং অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।
তিনি বরোদার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১২ বছর শিক্ষকতা করেছিলেন এবং এর আচার্য হন। হরি সিং এবং অর্জুন সিং মৃণালিনী দেবী পুয়ারের সাথে সম্পর্কিত। তাঁদের মা, শশী প্রভা রাজে ধার রাজ্যের ধৈর্যশীল রাও পুয়ারের মেয়ে।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]মৃণালিনী দেবী পুয়ার সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পর ২০১৫ সালের ২রা জানুয়ারি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।[২][৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- গায়কোয়াড়
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "VC passes away"।
- 1 2 "Mrunalini Devi Puar, Chancellor of M S University of Baroda, passes away"। netindian.in। ২ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৫।
- 1 2 "PM Modi condoles passing away of MSU Chancellor Dr. Puar"। business-standard.com। ২ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বরোদার গায়কওয়াড় রাজবংশের মধ্যে এইচ এইচ মহারানি ডঃ মৃণালিনী দেবীর জীবনী রয়েছে (তিনি ধারের মহারাজা আনন্দরাও চতুর্থ পুয়ারকে বিয়ে করেছিলেন)
- বরোদার এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রোফাইল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে