মুহাম্মাদের মৃত্যু

এই পাতাটি অর্ধ-সুরক্ষিত। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরাই সম্পাদনা করতে পারবেন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুহাম্মাদের মৃত্যু ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও রহস্যময় ঘটনা যা সংগঠিত হয় ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন তারিখ মদীনায়[১] [২]

অসুস্থতা

বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পর হিজরি ১১ সালের সফর মাসে মুহাম্মাদ জ্বরে আক্রান্ত হন।[৩] জ্বরের তাপমাত্রা প্রচণ্ড হওয়ার কারণে পাগড়ির উপর থেকেও উষ্ণতা অনুভূত হচ্ছিল। অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি এগারো দিন নামাজের ইমামতি করেন। অসুস্থতা তীব্র হওয়ার পর তিনি সকল স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে ময়মুনার গৃহ থেকে আয়িশার গৃহে এসে অবস্থান করতে থাকেন।[৩] বলা হয়, এই অসুস্থতা ছিল খাইবারের এক ইহুদি নারীর তৈরি বিষ মেশানো খাবার গ্রহণের কারণে।

মুহাম্মাদের মৃত্যু বিষয়ে হাদিস

নাবী (সাঃ) এর রোগ ও তাঁর ওফাত। মহান আল্লাহর বাণীঃ আয়শা (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) যে রোগে ইন্তিকাল করেন সে সময় তিনি বলতেন, হে আয়শা! আমি খায়বারে (বিষযুক্ত) যে খাদ্য ভক্ষণ করেছিলাম, আমি সর্বদা তার যন্ত্রণা অনুভব করছি। আর এখন সেই সময় আগত, যখন সে বিষক্রিয়াতে আমার প্রাণবায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। (বুখারীঃ ৪০৯৪)

স্ত্রী আয়িশা মতে, মৃত্যুর সময় অনেক কষ্ট পেয়েছেন মুহাম্মাদ

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে কষ্ট হতে দেখেছি এরপর কারো মৃত্যুর সময় আসান হতে দেখতে আমার আর কোন ঈর্ষা হয় না। (সূনান তিরমিজীঃ ৯৮১; অধ্যায়ঃ ১০/ কাফন-দাফন; পরিচ্ছদঃ মৃত্যুর সময় কষ্ট হওয়া।)

মৃত্যু

১১ হিজরীর পহেলা রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার দিন ইসলামের নবী মুহাম্মাদ মৃত্যুবরণ করেন।

সমাধি

ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর সমাধি, যা রওজা নামে মুসলিমদের কাছে অধিক পরিচিত, মসজিদ এ নববী ,মদিনা, সৌদি আরব
স্বর্ণখচিত সমাধিগৃহ (রওজা)
স্ত্রী আয়িশা এর কক্ষে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর কবর

মদীনায়[৪] স্ত্রী আয়েশার ঘরের যে স্থানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন, জানাজার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।[৫][৬][৭] পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা প্রথম ওয়ালিদের সময়ে, মসজিদে নববীকে সম্প্রসারণ করে হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কবরকে এর সম্প্রসারিত এলাকার ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৮] বর্তমানেও মসজিদে নববীর অভ্যন্তরেই তার কবর রয়েছে।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. "Muhammad"। Encyclopædia Britannica, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "The Life of Mohammed: a timeline"দি টেলিগ্রাফ অনলাইন। ২৫ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. "সত্যালোকের সন্ধানে : ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সা.) কবর দেশে জীবিত আছেন"দৈনিক ইনকিলাব। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  4. "Will Saudi Arabia MOVE the remains of Prophet Muhammad? Controversial plan for 'anonymous' burial to prevent the site itself being worshipped"ডেইলী মেইল। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  5. Leila Ahmed (1986), 665–91 (686)
  6. F. E. Peters(2003), p. 90
  7. An Introduction to the Quran II (1895), p. 281
  8. Ariffin, Syed Ahmad Iskandar Syed (২০০৫)। Architectural Conservation in Islam: Case Study of the Prophet's Mosque। Penerbit UTM। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 978-983-52-0373-2 

বহিঃসংযোগ