মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর محمد بن عبدالله بن جعفر | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৬১ হিজরির মুহাররম মাসের ১০ তারিখ / ৬৮০ সালের ১০ অক্টোবর |
মৃত্যুর কারণ | কারবালার যুদ্ধ-এ শাহাদাত বরণ |
সমাধিস্থল | ইমাম হুসাইনের মাজার, কারবালা, ইরাক |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা | আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (পিতা) জয়নব বিনতে আলী (মাতা) |
রাজবংশ | বনু হাশিম |
যে জন্য পরিচিত | হুসাইন ইবনে আলি-এর সাথে কারবালা যুদ্ধে শহীদ |
আত্মীয় | আওন (ভাই) |
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (আরবি: محمد بن عبدالله بن جعفر) ছিলেন যায়নাব-এর পুত্র। তিনি তাঁর ভাই আওন-এর সাথে হুসাইন ইবনে আলি-কে কারবালার যুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন। তাঁরা দুই ভাই-ই কারবালার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]তাঁর পিতা ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে আবু তালিব, যিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ-এর একজন সাহাবী ছিলেন।তাঁর মাতা ছিলেন জয়নাব, যিনি আলী ইবনে আবু তালিব ও ফাতিমা-এর কন্যা। তাঁর পিতামহ ছিলেন জাফর আত-তাইয়ার, যাকে মুহাম্মদ আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীদের নেতা হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।[১]
হুসাইন ইবনে আলীর সঙ্গী হওয়া
[সম্পাদনা]যখন হুসাইন ইবনে আলী মক্কা থেকে মদিনায় যাত্রা করেন, আবদুল্লাহ ইবনে জাফর তাঁকে একটি চিঠি লিখে তাঁর মন পরিবর্তনের চেষ্টা করেন।তিনি তাঁর পুত্র মুহাম্মদ ও আওনের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠান। কিন্তু যখন আবদুল্লাহ ইবনে জাফর বুঝতে পারেন যে ইমাম যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন তিনি মুহাম্মদ ও আওনকে হুসাইন ইবনে আলীর সঙ্গে যাওয়ার পরামর্শ দেন।[২]
আশুরার দিনে
[সম্পাদনা]মুহাম্মদ সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ শুরু করেন এবং শত্রু সেনাবাহিনীর ১০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমির ইবনে নাহশাল আত-তামিমির হাতে নিহত হন।[৩] তার মৃত্যুর পর তার ভাই আওনও নিহত হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আল-হাসান ইবনে আলী ইমাদ আদ-দীন তাবারী (১৯৫৬)। কামিল-ই বাহাঈ। পৃষ্ঠা 674।
- ↑ শায়খ আল-মুফীদ। আল-ইরশাদ। 2। পৃষ্ঠা 69।
- ↑ মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবন শাহরাশূব (২০০১)। মানাকিব আল আবী তালিব। 4। মানশুরাত ধাওয়িল কুরবা। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 9646307299।