বিষয়বস্তুতে চলুন

মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর
محمد بن عبدالله بن جعفر
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু৬১ হিজরির মুহাররম মাসের ১০ তারিখ / ৬৮০ সালের ১০ অক্টোবর
মৃত্যুর কারণকারবালার যুদ্ধ-এ শাহাদাত বরণ
সমাধিস্থলইমাম হুসাইনের মাজার, কারবালা, ইরাক
ধর্মইসলাম
পিতামাতাআবদুল্লাহ ইবনে জাফর (পিতা)
জয়নব বিনতে আলী (মাতা)
রাজবংশবনু হাশিম
যে জন্য পরিচিতহুসাইন ইবনে আলি-এর সাথে কারবালা যুদ্ধে শহীদ
আত্মীয়আওন (ভাই)

মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (আরবি: محمد بن عبدالله بن جعفر) ছিলেন যায়নাব-এর পুত্র। তিনি তাঁর ভাই আওন-এর সাথে হুসাইন ইবনে আলি-কে কারবালার যুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন। তাঁরা দুই ভাই-ই কারবালার যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন।

জীবনী

[সম্পাদনা]

তাঁর পিতা ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে আবু তালিব, যিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ-এর একজন সাহাবী ছিলেন।তাঁর মাতা ছিলেন জয়নাব, যিনি আলী ইবনে আবু তালিবফাতিমা-এর কন্যা। তাঁর পিতামহ ছিলেন জাফর আত-তাইয়ার, যাকে মুহাম্মদ আবিসিনিয়ায় হিজরতকারীদের নেতা হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন।[]

হুসাইন ইবনে আলীর সঙ্গী হওয়া

[সম্পাদনা]

যখন হুসাইন ইবনে আলী মক্কা থেকে মদিনায় যাত্রা করেন, আবদুল্লাহ ইবনে জাফর তাঁকে একটি চিঠি লিখে তাঁর মন পরিবর্তনের চেষ্টা করেন।তিনি তাঁর পুত্র মুহাম্মদ ও আওনের মাধ্যমে এই চিঠি পাঠান। কিন্তু যখন আবদুল্লাহ ইবনে জাফর বুঝতে পারেন যে ইমাম যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন তিনি মুহাম্মদ ও আওনকে হুসাইন ইবনে আলীর সঙ্গে যাওয়ার পরামর্শ দেন।[]

আশুরার দিনে

[সম্পাদনা]

মুহাম্মদ সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ শুরু করেন এবং শত্রু সেনাবাহিনীর ১০ জন যোদ্ধাকে হত্যা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমির ইবনে নাহশাল আত-তামিমির হাতে নিহত হন।[] তার মৃত্যুর পর তার ভাই আওনও নিহত হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. আল-হাসান ইবনে আলী ইমাদ আদ-দীন তাবারী (১৯৫৬)। কামিল-ই বাহাঈ। পৃষ্ঠা 674। 
  2. শায়খ আল-মুফীদ। আল-ইরশাদ2। পৃষ্ঠা 69। 
  3. মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবন শাহরাশূব (২০০১)। মানাকিব আল আবী তালিব4। মানশুরাত ধাওয়িল কুরবা। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 9646307299