মুসা আরাফাত
মুসা আরাফাত আল-কুদওয়া | |
|---|---|
| সাধারণ নিরাপত্তা শাখার প্রধান | |
| কাজের মেয়াদ ২০০৪ – ২০০৫ | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | অজানা জাফা, ফিলিস্তিন |
| মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫ গাজা শহর, ফিলিস্তিন |
| জাতীয়তা | ফিলিস্তিনি |
| রাজনৈতিক দল | ফাতাহ |
| সন্তান | মানহাল আরাফাত (পুত্র) |
মূসা আরাফাত আল-কুদওয়া (আরবি: موسى عرفات; মৃত্যু ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫) ফাতাহের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং ফাতাহ বিপ্লবী পরিষদের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। তিনি ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের চাচাতো ভাই ছিলেন।[১] মুসা আরাফাত ১৯৯০-এর দশকে সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান ছিলেন।[১] ২০০৪ সালে, তিনি গাজা উপত্যকার সাধারণ নিরাপত্তা শাখার প্রধান নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে, আরাফাতকে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধান মনোনীত করা হয়।এই মনোনয়ন এবং দুর্নীতি আংশিকভাবে আরাফাতের পরিবারের বিরুদ্ধে গাজার রাস্তায় আল-আকসা শহীদ ব্রিগেড গ্রুপের ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনির প্রধান এবং চেয়ারম্যান আরাফাতের ফাতাহর অনুগত যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র সশস্ত্র সংঘাতের অনুঘটক ছিল।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সংঘাতের পর, ইয়াসির আরাফাত গাজার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রদবদল করেন এবং আবদেল-রাজেক আল-মাজাইদেহকে পশ্চিম তীর এবং গাজার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিচালকের নতুন পদে নিযুক্ত করেন।[১] ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে, আরাফাতকে নিরাপত্তা প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয় কিন্তু পরবর্তীতে তাকে সামরিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়।[৩]
২০০৫ সালের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনের দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহারের পরিকল্পনার প্রত্যাশায় গাজা এবং পশ্চিম তীরে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি দলগুলির মধ্যে ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়।
২০০৩ সালে, আরাফাত তার অফিসে ফিলিস্তিনি শত্রুদের দ্বারা ছোড়া রকেটের আঘাতে একটি বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। ২০০৪ সালের অক্টোবরে, মুসা আরাফাত এবং গাজা উপত্যকার একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার কনভয়ে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে বেঁচে যান।[১] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
জঙ্গি অভিযানে মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার কিছুক্ষণ আগে, প্রায় ২০টি গাড়ির একটি বহর নিয়ে কয়েক ডজন মুখোশধারী বন্দুকধারী (তাদের সংখ্যা ৮০ থেকে ১০০ এর মধ্যে) গাজায় আরাফাতের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অ্যাসল্ট রাইফেল এবং ট্যাঙ্ক-বিরোধী গ্রেনেড নিয়ে সজ্জিত ছিল। আরাফাতের সাথে বন্দুকযুদ্ধের পর, বন্দুকধারীরা আরাফাতকে টেনে বাইরে বের করে গুলি করে হত্যা করে।[১] আরাফাতের বাড়িটি নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দপ্তরের কাছে ছিল এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসের বাসভবন থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ মিটার দূরে ছিল।কিন্তু, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, ঘটনার দুই ঘন্টা পরে সকাল ৭টা পর্যন্তও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি।[৪]
মুসা আরাফাতের হত্যাকাণ্ডের পরের ঘটনা
[সম্পাদনা]জঙ্গি গোষ্ঠী পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটিস (পিআরসি) এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেল আল আরাফাতের হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুর্নীতির শাস্তি দেওয়ার জন্য তারা আরাফাতকে হত্যা করেছে।[৪][৫] পিআরসি মূলত ফাতাহ আন্দোলনের প্রাক্তন সদস্যদের নিয়ে গঠিত, যারা ফিলিস্তিনি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।[৫] মাহমুদ আব্বাস আরাফাতের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু কিছুই করা হয়নি।তবে,এ হত্যার প্রধান সন্দেহভাজনরা হলেন ফিলিস্তিনি অফশুট গোষ্ঠী।
আরাফাতের বড় ছেলে মানহাল এবং তিনজন দেহরক্ষীকে আরাফাতকে হত্যাকারী বন্দুকধারীরা অপহরণ করে।[৫] এর কিছুক্ষণ পরেই দেহরক্ষীদের মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু মানহালকে একদিনের জন্য আটকে রাখা হয় এবং তারপর গাজায় মিশরীয় সরকারের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- সালাহ আল-জাওয়াই
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 "Obituary: Moussa Arafat"। BBC। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ "Arafat denies he is facing crisis"। BBC। ২৪ জুলাই ২০০৪।
- ↑ "Top aide of Arafat killed in Gaza city"। Daily Times। Gaza City। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।
- 1 2 "Top Gaza figure assassinated"। Scotsman। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।
- 1 2 3 "Moussa Arafat killed by militants in Gaza"। CBC News। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২।