মুসাইদ ইবনে সাইদ
| মুসাঈদ ইবনে সাঈদ مساعد بن سعيد | |
|---|---|
| মক্কার শরিফ ও আমির | |
| রাজত্ব | ফেব্রুয়ারি ১৭৫২ – আগস্ট ১৭৫৯ |
| পূর্বসূরি | মাসউদ ইবনে সাইদ |
| উত্তরসূরি | জাফর ইবনে সাইদ |
| রাজত্ব | আনু. ৬ সেপ্টেম্বর ১৭৫৯ – ২৩ মে ১৭৭০ |
| পূর্বসূরি | জাফর ইবনে সাইদ |
| উত্তরসূরি | আবদুল্লাহ ইবনে সাইদ |
| মৃত্যু | ২৩ মে ১৭৭০ মক্কা, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
| বংশধর |
|
| রাজবংশ |
|
| পিতা | সাঈদ ইবনে সাদ |
মুসাইদ ইবনে সাঈদ ইবনে সাদ ( আরবি: مساعد بن سعيد بن سعد ; মৃত্যু: ২৩ মে ১৭৭০) জায়েদ বংশের একজন শরিফ ছিলেন। তিনি ১৭৫২ থেকে ১৭৭০ সাল পর্যন্ত মক্কার শরীফ ও আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১]
মুসা'ইদ তার ভাই মাসুদের মৃত্যুর পর ১১৬৫ হিজরির রবিউল-সানিতে (ফেব্রুয়ারি ১৭৫২) শরিফের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি জেদ্দার ওলী, মক্কার কাজী এবং আশরাফদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতিতে নির্বাচিত হন। তিনি ১১৬৫ হিজরির জমাদিউস সানিতে (এপ্রিল/মে ১৭৫২) ইস্তাম্বুল থেকে রাজকীয় ফরমান লাভ করেন। মুসা'ইদের শাসনের প্রাথমিকভাবে বিরোধিতা করেছিল তার ভাগ্নে শরীফ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ। তিনি পূর্বে মক্কার শরীফ ছিলেন। মুহাম্মদকে প্রতিদ্বন্দ্বী বারাকাত বংশ এবং কিছু বেদুইন উপজাতি সমর্থন করেছিল। মে মাসে মুহাম্মদ তাইফ দখল করে এবং দুবার মক্কা দখলের চেষ্টা করেন। জুনের শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়।[২][৩][৪][৫]
১১৭১ হিজরিতে (১৭৫৮) প্রাক্তন মিত্র সাইয়্যিদ আবদুল্লাহ আল-ফার, হজের মিশরীয় ও সিরিয়ান আমির কেশকেস হুসেইন বে এবং চেতেচি আবদুল্লাহ পাশার সহায়তায় মুসা'ইদকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেন। ২১ জিলহজ (প্রায় ২৬ আগস্ট ১৭৫৮) সৈন্যরা মসজিদ আল-হারামের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শরিফ মুবারক ইবন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন সাঈদকে আমির ঘোষণা করে। কিন্তু মক্কায় হওয়া যুদ্ধে পরদিনই মুসাইদ বিজয়ী হন। পরের বছর, চেতেজি আবদুল্লাহ আবারও সিরিয়ার হজের আমির হিসেবে ফিরে আসেন। এবার তিনি আনুষ্ঠানিক ফরমানসহ মুসাইদকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার ভাই জাফর ইবন সাঈদকে আমির হিসেবে বসান (আগস্ট ১৭৫৯)। তবে চেতেজি আবদুল্লাহ ও হজ কাফেলা মক্কা ত্যাগ করার পর, জাফর ১৪ মহররম ১১৭৩ হিজরিতে (প্রায় ৬ সেপ্টেম্বর ১৭৫৯) স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন।[৬][৭][৮][৯] মুসাইদ, চেতেচি আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে সুলতান তৃতীয় মুস্তাফার কাছে একটি অভিযোগ পাঠান। এতে তিনি মক্কার চার মুফতির সাক্ষ্য সংযুক্ত করেন। পরে চেতেচি আবদুল্লাহকে দামেস্কের ওয়ালি এবং হজের আমির পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ১৭৬০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুসাইদকে একটি নতুন ঘোষণা এবং খিলাহ পাঠানো হয়।[১০]
১১৮২ হিজরিতে (১৭৬৮/১৭৬৯) বারাকাত বংশের শরিফ আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন ইবনে ইয়াহিয়া জেদ্দা দখল করতে ব্যর্থ হন। এরপর তিনি মিশরের আলী বে আল-কবীরের সাথে একটি মৈত্রী গড়ে তোলেন। তিনি ১১৮৩ হিজরিতে (১৭৭০) শরীফ মুসা'ইদকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ বে আবু আল-ধাহাবকে হজের আমির হিসেবে প্রেরণ করেন। তবে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর, মুসাইদ ও সিরিয়ার হজের আমির উসমান পাশা আল-সাদিক, আবু আল-ধাহাব ও তার সেনাকে মক্কা থেকে বের করে দেন। মিত্র হারিয়ে আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন মুসাইদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেন। কিন্তু আবদুল্লাহ ইবনে হুসাইন ১১৮৪ হিজরির মুহাররমে পরাজিত হলে মিশরে ফিরে আসেন।[১১][১২][১৩][১৪]
শরীফ মুসাইদ ১১৮৪ হিজরির ২৭ মহররম (২৩ মে ১৭৭০) বুধবার মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার ভাই আবদুল্লাহ ইবনে সাঈদের উত্তরসূরি মেনে নেন।[১৫] [১৬] [১৭]
সন্তান
[সম্পাদনা]- সুরুর, মক্কা শরীফ
- মাসুদ
- আব্দুল আজিজ
- গালিব, মক্কা শরীফ
- আব্দুল মু'ইন, মক্কা শরীফ
- মুহাম্মদ
- লু'আয়ি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ de Zambaur 1927, পৃ. 23।
- ↑ al-Sibā‘ī 1999, পৃ. 491–492।
- ↑ Uzunçarşılı 2003, পৃ. 180–181।
- ↑ al-Ghāzī 2009, পৃ. 633–635।
- ↑ Daḥlan 2007, পৃ. 268–269।
- ↑ al-Sibā‘ī 1999, পৃ. 492–494।
- ↑ al-Ghāzī 2009, পৃ. 636–640।
- ↑ Daḥlan 2007, পৃ. 270–271।
- ↑ Uzunçarşılı 2003, পৃ. 181–183।
- ↑ Uzunçarşılı 2003, পৃ. 183–185।
- ↑ al-Ghāzī 2009, পৃ. 642–644।
- ↑ Daḥlan 2007, পৃ. 272–273।
- ↑ Uzunçarşılı 2003, পৃ. 185।
- ↑ al-Sibā‘ī 1999, পৃ. 495–496।
- ↑ Uzunçarşılı 2003, পৃ. 185–186।
- 1 2 al-Ghāzī 2009, পৃ. 644–645।
- 1 2 Daḥlan 2007, পৃ. 273–274।