মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে?

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে?
লেখকরাগিব সারজানি
মূল শিরোনামماذا قدم المسلمون للعالم
অনুবাদকআবদুস সাত্তার আইনী
দেশমিশর
ভাষাআরবি
বিষয়মুসলিম সভ্যতা
প্রকাশিত২০০৯
প্রকাশকমুআসসাসাত ইকরা
মিডিয়া ধরনশক্তমলাট
পৃষ্ঠাসংখ্যা৮৪৭
আইএসবিএন৯৭৮৯৭৭৪৪১৬৩১৬ আরবি সংস্করণ
ওসিএলসি৫৬১৯৮৫৫২১
২৯৭.০৯২২৫৪
এলসি শ্রেণীডিএস৩৬.৮৫ .এস৫৭ ২০০৯

মুসলিম জাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে? (আরবি: ماذا قدم المسلمون للعالم) মিশরীয় চিকিৎসক ও ইতিহাসবিদ রাগিব সারজানির লিখিত মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস বিষয়ক একটি আরবি বই। এটি ২০০৯ সালে কায়রো থেকে ২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। এতে তথ্যমূলকভাবে ইসলামি দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, বিজ্ঞানের ভিত্তি নির্মাণ ও সমাজবিদ্যায় মুসলিমদের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। এটি ২০০৯ সালে "শ্রেষ্ঠ রচনা" ক্যাটাগরিতে মিশরের আওকাফ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত মুবারক পুরস্কার এবং সেরা অনূদিত গ্রন্থ হিসেবে ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পুরস্কার লাভ করে।[১][২] ২০২১ সালে মাকতাবাতুল হাসান থেকে বইটির বঙ্গানুবাদ প্রকাশিত হয়।

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

লেখক প্রথমে ইসলামপূর্ব বিশ্ব ও অন্যান্য সভ্যতার চিত্র তুলে ধরেছেন। তারপর ইসলামি সভ্যতার উদ্ভব, উৎস ও বৈশিষ্ট্যাবলির ওপর আলোকপাত করেছেন। তারপর এসেছে মানবাধিকার, চিন্তা ও ধর্মের স্বাধীনতা, মুসলিম পরিবার ও সমাজের কাঠামো, ইসলামি সভ্যতার যুদ্ধকালীন আচরণ ও নৈতিকতা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বিষয়ক দালিলিক আলোচনা। তারপর তিনি ইসলামি সভ্যতায় জ্ঞানের ব্যাপকতা, জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইসলামের দর্শন, জ্ঞানী সমাজের চিন্তার পরিবর্তন, শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন। জ্ঞানের পরীক্ষাভিত্তিক পদ্ধতি ও প্রায়োগিক দিকের ওপর আলোচনার পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন: চিকিৎসাবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, আলোকবিজ্ঞান, জ্যামিতি, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোল, রসায়নশাস্ত্র ওষুধবিজ্ঞান, বীজগণিত ও যন্ত্রপ্রকৌশলে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অনন্য আবিষ্কার ও অবদান তুলে ধরেছেন। জ্ঞানের উদ্ভাবন, পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর আকিদা-বিশ্বাস, স্রষ্টা-সম্পর্কিত ধারণার সংশোধন ইত্যাদির পাশাপাশি আলোকপাত করেছেন ইসলামি দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য ও সমাজবিদ্যার ওপর। সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামি সভ্যতার অবদান কী তা তথ্যপ্রমাণ দিয়ে তুলে ধরেছেন। তার লেখায় বিচারবিভাগ, প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগ, পান্থনিবাস, মুসাফিরখানা-এগুলোর উন্নতি ইসলামি সভ্যতার উৎকর্ষেরই পরিচায়ক। ইসলামি শিল্পকলা, স্থাপত্যকলা, অলংকরণশিল্প, আরবি লিপিকলা, তৈজসপত্রের নান্দনিকতা, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোর সৌন্দর্য, পরিবেশের সৌন্দর্য, বাগানচর্চা এগুলোর আলোচনায় ইসলামি সভ্যতার সৌন্দর্যপ্রিয়তাই ফুটে উঠেছে। ইউরোপীয় রেনেসাঁস ও সভ্যতার বিকাশে ইসলামি সভ্যতার প্রভাব ও অবদান অনস্বীকার্য।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "قصة الإسلام | الدكتور راغب السرجاني يفوز بجائزة الدولة التقديرية"islamstory.com (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২ 
  2. "قصة الإسلام | عرض كتاب ماذا قدم المسلمون للعالم"islamstory.com (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২ 
  3. আবদুস সাত্তার আইনী কৃত বঙ্গানুবাদের ভূমিকা।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]