সৈয়দ মুর্শেদ কামাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মুর্শেদ কামাল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সৈয়দ মুর্শেদ কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫
পূর্বসূরীমোজাম্মেল হক
উত্তরসূরীএস, এম, সাফি মাহমুদ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২৬ আগস্ট ১৯৪৭
খান্দুরা হাবেলী গ্রাম, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পূর্ব পাকিস্তান
(বর্তমানে বাংলাদেশ)
মৃত্যু১৪ জানুয়ারি ২০১৩
ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ (১৯৭১ সালের পর)
রাজনৈতিক দলন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (১৯৮৫ সালের পূর্বে)

জাতীয় পার্টি (১৯৯৫ সালের পূর্বে)

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

সৈয়দ মুর্শেদ কামাল বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর উপজেলা) আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হন।[১][২][৩]

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুর্শেদ কামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের খান্দুরা হাবেলী গ্রামে ২৬ আগস্ট ১৯৪৭ সাল জন্মগ্রহণ করেন তার শৈশব কাটে খান্দুরা গ্রামেই ১৯৫২ সালে খান্দুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তিনি।[৪]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুর্শেদ কামাল ১৯৬২ সালে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৭০ সালে আটক হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩ মাস কারাবরণে পর তিনি মুক্তি পান। ১৯৭১ সালে ছিলেন একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে ৩ নং গেরিলা সেক্টরের ২০ জনের গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় পার্টি ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কেন্দ্রীয় রেডক্রিসেন্টের সাবেক বোর্ড সদস্য। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেরুয়ারি নিবার্চনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান।[২][৪]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুর্শেদ কামাল ১৯৭৪ সালে বিয়ে করেন বেগম আয়েশা বুলবুলকে। তাদের তিন সন্তান। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

সৈয়দ মুর্শেদ কামাল ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ সাল সোমবার নিজ বাসভবনে ৬৮ বছর বয়সে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্মরণে পারিবারিক ভাবে গঠন করা হয় 'সৈয়দ মুর্শেদ কামাল স্মৃতি সংসদ'। [৫][৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মুর্শেদ কামাল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯ 
  2. "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. হোসেন, আকবর (২০১৮-১২-২৫)। "হিন্দু ভোটারদের ঘিরেই নাসিরনগরে যত সমীকরণ" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯ 
  4. "প্রয়াত সাংসদ সৈয়দ মুর্শেদ কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি"ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কন্ঠ। ২০১৮-০১-১৫। ২০১৯-০৯-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯ 
  5. "সাবেক এমপি সৈয়দ মোর্শেদ কামালের ইন্তেকাল"দৈনিক জনতা। ১৭ জানুয়ারি ২০১৩। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  6. "সৈয়দ মুর্শেদ কামাল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]