বিষয়বস্তুতে চলুন

মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স

স্থানাঙ্ক: ৪০°১১′২৭″ উত্তর ২৯°০২′৪৬″ পূর্ব / ৪০.১৯০৮৫৩° উত্তর ২৯.০৪৬১৪৪° পূর্ব / 40.190853; 29.046144
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স
Muradiye Külliyesi
মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানবুরসা, তুরস্ক
মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স তুরস্ক-এ অবস্থিত
মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স
তুরস্কে মুরাদিয়ে কমপ্লেক্সের অবস্থান।
স্থানাঙ্ক৪০°১১′২৭″ উত্তর ২৯°০২′৪৬″ পূর্ব / ৪০.১৯০৮৫৩° উত্তর ২৯.০৪৬১৪৪° পূর্ব / 40.190853; 29.046144
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামিক, অটোমান স্থাপত্য
সম্পূর্ণ হয়১৪২৬; ৫৯৯ বছর আগে (1426)
মিনার2
এর অংশবুরসা এবং কুমালিকিজিক: অটোমান সাম্রাজ্যের জন্মস্থান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: (i), (ii), (iv), (vi)
সূত্র1452-007
তালিকাভুক্তকরণ2014 (৩৮তম সভা)

মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স (তুর্কি: Muradiye Külliyesi) বা সুলতান মুরাদ দ্বিতীয়-এর কমপ্লেক্স হলো বুরসা, তুরস্কে অবস্থিত একটি কমপ্লেক্স। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অংশ।[] উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মুরাদ ছিলেন অটোমান সুলতান। তিনি ১৪২১–১৪৪৪, এবং ১৪৪৬–১৪৫১ খ্রিস্টাব্দে অটোমান সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সুলতান মুরাদ দ্বিতীয় কর্তৃক বুরসাতে নির্মিত এই মসজিদ কমপ্লেক্সে মোট বারোটি সমাধি (তুরবে) রয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই তার আত্মীয়দের সমাধি।[] এই কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ ইয়েশিল মসজিদের পর শুরু হয়, যা বুরসার পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত। ১৮৫৫ সালের একটি বড় ভূমিকম্প মুরাদিয়ে কমপ্লেক্সের অনেকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরবর্তীতে উনিশ শতকের শেষের দিকে এটি পুনরুদ্ধার করা হয়।[] ২০১৫ সালে আরও একটি পুনঃনির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়।[]

এই বৃহৎ কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে মুরাদিয়ে মসজিদ, মুরাদিয়ে মাদ্রাসা, মুরাদিয়ে গোসলখানা, মুরাদিয়ে হাসপাতাল, একটি ফোয়ারা, শিলালিপি এবং বহু সমাধি। এখানে সুলতান মুরাদ দ্বিতীয়, শেহজাদে আহমেদ, জেম সুলতান,[] শেহজাদে মুস্তাফা, মাহিদেভরান হাতুন, গুলশাহ হাতুন, হুমা হাতুন, সিত্তিশাহ হাতুন, সরাইলিলার সমাধি এবং শিরিন হাতুনের সমাধি আছে।

মসজিদটি ছিল কমপ্লেক্সের প্রথম নির্মাণ প্রকল্প, যা ১৪২৬ সালে সম্পন্ন হয়। এটি একটি উল্টো-টি আকৃতির পরিকল্পনায় নির্মিত, যার সম্মুখভাগে একটি গম্বুজবিশিষ্ট বারান্দা রয়েছে। এর নির্মাণ সামগ্রী ইট এবং এতে চারটি প্রধান গম্বুজ রয়েছে।[] মসজিদের অভ্যন্তরে গাঢ় নীল ও ফিরোজা রঙের ষড়ভুজ টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দুটি মিনার রয়েছে, যার মধ্যে একটি পুরনো এবং অপরটি ১৯ শতকের ভূমিকম্পে ধসে পড়ার পর ১৯০৪ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৮শ শতকের শুরুতে একটি অগ্নিকাণ্ড মসজিদটির ক্ষতি করেছিল, ফলে মিহরাবটি রোকোকো শৈলীতে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

মাদ্রাসাটি মসজিদের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এর কেন্দ্রীয় উঠোনটি শিক্ষার্থী কক্ষ ও একটি শ্রেণিকক্ষ দ্বারা বেষ্টিত, যার উপর একটি গম্বুজ রয়েছে। বহির্ভাগে ইট ও পাথর ব্যবহৃত হয়েছে।[]

সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ-এর সমাধিটি তার মৃত্যুর আগেই নির্মিত হয়েছিল নাকি তার পুত্র মেহমেদ দ্বিতীয় তার ইচ্ছানুযায়ী এটি নির্মাণ করেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।[] সমাধিটি ইট ও পাথরে নির্মিত এবং খোলা গম্বুজবিশিষ্ট। এর প্রবেশদ্বারে একটি সুন্দর কাঠের ছাউনি রয়েছে, যা নক্ষত্র নকশায় খোদাই করা হয়েছে।

বাকি এগারোটি সমাধি মসজিদ ও মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। সেগুলো সুলতানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সমাধি। এই সমাধিগুলো মূলত নীল রঙের বহুরঙা চকচকে টাইলস দিয়ে সজ্জিত। তবে শেহজাদে মুস্তাফা এবং মাহিদেভরান হাতুন-এর সমাধি ব্যতিক্রম, যা ১৬শ শতকের ইজনিক টাইলসের পেইন্টেড পলিক্রোম প্রযুক্তিতে অলংকৃত হয়েছে।

১৯৫০-এর দশকে মাদ্রাসাটি একসময় একটি যক্ষ্মা ক্লিনিকে রূপান্তরিত হয় এবং বর্তমানে এটি একটি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[]

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Centre, UNESCO World Heritage। "Bursa and Cumalıkızık: the Birth of the Ottoman Empire"UNESCO World Heritage Centre (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-১০ 
  2. Richard H. Turnbull, “The Muradiye Complex in Bursa and the Development of the Ottoman Funerary Tradition,” PhD dissertation, Institute of Fine Arts, New York University, 2004.
  3. Beatrice St. Laurent, “Léon Parvillée: His Role as Restorer of Bursa’s Monuments after the 1855 Earthquake and his Contribution to the Exposition Universelle of 1867,” in l'Empire ottoman, la République de Turquie et la France, ed. Hâmit Batu and Jean-Louis Bacqué-Grammont. Istanbul: Isis, 1986, 247–282.
  4. "১৫০ বছরের পুরনো প্লাস্টারের নিচে ৫৫০ বছরের পুরনো ইতিহাস আবিষ্কৃত"www.bursa.bel.tr (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০৬ 
  5. "শেহজাদে মুস্তাফা, জিহাঙ্গীর, মেহমেদ সমাধি, মহান শতাব্দী"YouTube। ২০২১-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Aptullah Kuran, The Mosque in Early Ottoman Architecture. Chicago: University of Chicago Press, 1968, 71–72.
  7. Albert Gabriel, Une capitale turque: Brousse, Bursa. Paris: E. de Boccard, 1958, vol. 1, p.111.
  8. Mithat Sertoğlu, “İkinci Murad’ın Vasiyetnamesi,” Vakıflar Dergisi 8 (1969): 67–69.
  9. "Muradiye Complex in Bursa, Turkey"Lonely Planet। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-২৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:অটোমান স্থাপত্য