মুতাহ বিবাহ
ফিকহ (ইসলামি আইনশাস্ত্র) |
---|
এর একটি ধারাবাহিক অংশ |
![]() |
ইসলামিক স্টাডিজ |
নিকাহুল মুতা'হ (আরবি: نكاح المتعة) বা মুতাহ বিবাহ হল এক ধরনের সাময়িক বা অস্থায়ী বিবাহ। যা একটি সময়ের জন্য মহরের বিনিময়ে কোনো স্ত্রী লোকের সাথে অনুষ্ঠিত হতো। নির্দিষ্ট সময় সীমা অতিক্রম হওয়ার সাথে সাথে আপনা হতে এ বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যায়। এর জন্য তালাকের দরকার হয় না। এ বিবাহ প্রথাটি আরবে ইসলামপূর্ব যুগে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। ইসলামের প্রাথমিক যুগেও এর অনুমতি ছিল। পরে রাসূল পাক কিয়ামত পর্যন্ত এর নিষিদ্ধতা ঘোষণা করেন। এ সম্পর্কে সহীহ মুসলিম শরীফে বলা হয়েছে,
“ | "রাসূল পাক বলেন, কারো নিকট মোত'আহ্ বিবাহের সূত্রে কোনো স্ত্রী থাকলে, সে যেন তাঁকে পরিত্যাগ করে।"৩২৮৭[১] | ” |
ইসলামী ধর্মশাস্ত্রে
[সম্পাদনা]নিকাহ মোতা’হ সম্পর্কে ওবায়দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে মাইসারা কাওয়ারীরী রেওয়ায়েত করেছেন,
“ | " আবু সাঈদ খুদরী বলেছেন, যে রাসূলে পাক হুনাইনের যুদ্ধের সময় একটি দলকে আওতাসের দিকে প্রেরণ করেন। তাঁরা শত্রু দলের সামনা-সামনি যুদ্ধ করে জয় লাভ করেন। তাঁরা অনেক শত্রুকে বন্দীও করেন। এঁদের মধ্যকার দাসীদের সাথে মিলিত হওয়া, কতিপয় সাহাবী না জায়েয মনে করলেন। কেননা তাঁদের স্বামী বর্তমান ছিল। তখন এই আয়াত নাযিল হল, এবং নারীদের মধ্যে তাঁদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাঁদের মালিক হয়ে যায় (যুদ্ধলব্দ দাসী)। -যখন তাঁরা তাঁদের ইদ্দত পূর্ণ করবে।"[১] | ” |
এক্ষেত্রে বলা হয়েছে ইসতিবরার কথা। মানে তা হল নারীদের এক হায়েয অতিক্রম হওয়া পর্যন্ত সময়। তারপর মিলিত হলে কোনো সমস্যা নেই। পরম্পরা অনুসারে প্রাপ্ত এ নিয়ম শুধু ইসলামের প্রাথমিক যুগেই বৈধ ছিল। পরবর্তীতে তা অবৈধ হয়ে যায়। এ সম্পর্কে আবু বকর ইবনে আবী শায়বাহ রেওয়ায়েত করেছেন,
“ | " আইয়্যাশ ইবনে সালামাহ তাঁর পিতার সূত্রে বলেছেন, রাসূলে পাক আওতাস যুদ্ধের বছর তিনদিনের মোতআ বিবাহের অনুমতি দান করেছিলেন। তারপর তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।"[১]
একই কাজ করতে ওমরও নিষেধ করেছেন।[১] |
” |
মুহাম্মদ ইবনে মুছান্না এবং মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রেওয়ায়েত করেছেন,
“ | " আবু দারদা বলেন, যে একদা আসন্ন প্রসবা এক গর্ভবতী দাসীকে কেউ তাঁবুর দরজার নিকটে নিয়ে এলে রাসূল বললেন, মনে হয় লোকটি উহার সাথে মিলন প্রত্যাশী। লোকগণ বলল, হ্যা। তখন রাসূল বললেন, ইচ্ছা হয় আমি তাঁকে এমন অভিশাপ দেই, যে সে অভিশাপ সহকারে কবরে প্রবেশ করে। কি করে সে তাঁর দাসীর গর্ভস্থ সন্তানকে ওয়ারিছ ও খাদেম বানাতে চায়? অথচ তা তাঁর জন্য বৈধ নয়।"[১] | ” |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Imam, A. "Naskh al hadith: a review of the traditions on nikah al-mut." University of Ilorin (Ilorin, Nigeria). No date given. Accessed 16 March 2014.
- "Mutah" in Encyclopædia Britannica 2007 Ultimate Reference Suite. Chicago: Encyclopædia Britannica, 2006.