মুতাকাদ্দিমিন মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুতাকাদ্দিমিন মসজিদ
Masjid Mutaqaddimin
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানজোরং কাপালো টাঙ্গা, আন্দালেহ নগরী, লুহাক জেলা, লিমা পুলুহ কোটা রিজেন্সি, পশ্চিম সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
ভূমি খনন১৯৩০
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য২৪ মিটার
প্রস্থ১৮ মিটার
গম্বুজসমূহ

মুতাকাদ্দিমিন মসজিদ ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি জোরং কাপালো টাঙ্গা, আন্দালেহ নগরী, লুহাক জেলা, লিমা পুলুহ কোটা রিজেন্সি, পশ্চিম সুমাত্রায় অবস্থিত।[১] মসজিদটি ১৯৩০ সালে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এটি আন্দালেহ নগরী এলাকার প্রাচীনতম মসজিদে পরিণত হয়েছে। মসজিদের কাঠামোটি প্রধান ভবন এবং সংযুক্ত ভবন নিয়ে গঠিত এবং প্রতিটির মুকুট একটি কুপোলা দ্বারা পরিহিত।[২] ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৯ এবং ২০১০ সালে "ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়" কর্তৃক মডেল মসজিদগুলোর একটি মূল্যায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। তখন এই মসজিদটি বেশ কয়েকবার প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া ২০০৯ সালে এটি প্রাদেশিক স্তরে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।[১]

বর্তমানে, ইসলামি উপাসনামূলক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করার পাশাপাশি ২৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট এই মসজিদটি আশেপাশের সম্প্রদায়ের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার স্থান হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৩০ সালে। আন্দালেহ নগরীর ওলামা ইউনিয়নে যোগদানকারী অনেক ওলামাগণ মসজিদটি নির্মাণ করেন।[২] নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে বাঁশ ব্যবহার করার কারণে প্রাথমিকভাবে মসজিদটির নামকরণ করা হয় "তুও মসজিদ"। যদিও পূর্বে, স্থানীয় জনগণ মসজিদটির নির্মাণসামগ্রী হিসেবে পাথর ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু তাদেরকে বাঁশ ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয়, কারণ সেসময় ইন্দোনেশিয়া "ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ" উপনিবেশের অধীনে ছিল।[২]

১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন হওয়ার পর স্থানীয় জনগণ মসজিদটির নির্মাণ পুনরায় শুরু করার জন্য সরকারের কাছে তহবিলের জন্য আবেদন করে। কিন্তু তখন মসজিদটির অবস্থান বিচ্ছিন্নতার কারনে তাদের আবেদন নিষ্ফল হয়। তাই মসজিদটি ক্রমশ অপ্রচলিত হয়ে পড়ে এবং একসময় স্থানীয় জনগন এটি ভেঙ্গে ফেলতে বাধ্য হয়। ভেঙ্গে ফেলার কিছুদিন পর "বদি জাতির" একজন রাজা তার সম্পত্তির একটি অংশ হিসেবে "দাতুক পাঙ্গুলু বাসা" দান করেন এবং সেখানে পুনরায় মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়।[২] এটি জেনে স্থানীয় সম্প্রদায় তখন "এসোসিয়েশন অব মুসলিম ইয়োথ আন্দালেহ" নামে একটি বন্ধন গঠন করে, যার লক্ষ্য ছিল মসজিদের প্রতিষ্ঠা ফিরিয়ে আনা। আনুমানিক ১৫ বছর পর মসজিদটি পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। যদিও এখনও অবধি নির্মাণটি সরকারের সহায়তার অভাবের কারণে পিছিয়ে আছে। শুধুমাত্র প্রতিবেশী সম্প্রদায় এবং বিদেশীদের সমর্থনের উপর নির্ভর করে এখনও এর কাজ অব্যাহত আছে।[২]

পরিবেশ[সম্পাদনা]

মসজিদটির আঙিনায় একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। যা গাঢ় ও হালকা লাল রঙের কংক্রিটের স্তরযুক্ত চীনামাটি দিয়ে তৈরি। প্রবেশদ্বারগুলোর মধ্যে এক মিটার দীর্ঘ লোহার বার রয়েছে, যা বেড়া হিসাবে কাজ করে। ফটকের শেষে একটি সবুজ ছাউনি রয়েছে, যা সরাসরি মূল প্রবেশদ্বারের সাথে সংযুক্ত। ছাউনিটি সূর্যালোক এবং বৃষ্টি থেকে চীনামাটির মেঝেকে সুরক্ষা করতেও ভূমিকা রাখে।[২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Website Portal Resmi Kementerian Agama Prov. Sumatera Barat"sumbar.kemenag.go.id। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২ 
  2. "Padang Ekspres"www.padangekspres.co.id। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০২