মুকাদ্দাম শাহ
মুকাদ্দম শাহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
পেরাকের সুলতান | |||||
পেরাকের সুলতান | |||||
রাজত্ব | ১৬০৩–১৬১৯ | ||||
পূর্বসূরি | আলাউদ্দিন শাহ | ||||
উত্তরসূরি | দ্বিতীয় মনসুর শাহ | ||||
মৃত্যু | ১৬১৯ আচেহ সালতানাত | ||||
সমাধি | |||||
বংশধর | পুত্রী লিমাউ পুরুত | ||||
| |||||
রাজবংশ | পারাক | ||||
মাতা | প্রথম মনসুর শাহ'র কন্যা | ||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
পাদুকা শ্রী সুলতান মুকাদ্দাম শাহ (মৃত্যু ১৬১৯) ছিলেন পেরাকের ষষ্ঠ সুলতান। তিনি সুলতান আহমেদ তাজউদ্দিন এবং সুলতান তাজুল আরিফিন শাহের বোনের ছেলে এবং রাজা কেসিল লাসা রাজা ইনুর চাচাতো ভাই ছিলেন। সুলতান হওয়ার আগে তিনি রাজা তুয়া নামে পরিচিত ছিলেন।[১][২][৩]
সুলতান মুকাদ্দাম শাহ বর্তমান বোটা কানন নামে পরিচিত একটি এলাকায় বসবাস করতেন।
প্রবীণদের গল্প অনুসারে, সুলতান মুকাদ্দাম শাহের রাজকন্যাদের একজন পুত্রি লিমাউ পুরুত দেখতে খুবই সুন্দরী ছিলেন। তার দ্বিতীয় চাচাতো ভাই রাজা মনসুরের (সুলতান আলাউদ্দিন শাহের ছোট ভাই) সাথে রাজকন্যার বাগদান হয়েছিল। অতএব আচেহের সুলতান ইস্কান্দার মুদা যখন পুত্রী লিমাউ পুরুতের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তখন সুলতান মুকাদ্দাম শাহ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে সুলতান ইস্কান্দার মুদা রাগান্বিত ও অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন। এই প্রত্যাখ্যানের জেরে আচেহর সুলতান ইসকান্দার মুদা তার সেনাবাহিনীকে পেরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশ দেন। আচেহের সেনাবাহিনী পেরাককে পরাজিত করে এবং সুলতান ও পেরাকের রানী আচেহের সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন। একইভাবে, পুত্রী লিমাউ পুরুতও তার ধাত্রী এসাহ গেরবাং ও কয়েকজন সঙ্গীসহ আচেহের সেনাদের হাতে বন্দী হন। সমস্ত বন্দীদের আচেহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সুলতান মুকাদ্দাম শাহ পরে আচেহে থাকাকালীন মারা যান। তাকে মারহুম দি আচেহ উপাধি দেওয়া হয়। এই সময়ে পেরাকের একজন বেন্দাহারা, মেগাত আবদুল্লাহ, বন্দীদের উদ্ধারের জন্য একটি অভিযান চালান। পরে মেগাত আবদুল্লাহর প্রচেষ্টার ফলে পুত্রী লিমাউ পুরুতকে পেরাকে ফিরিয়ে আনা হয়। রাজা মনসুরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। আরেকটি গল্পে বলা হয়, রাজা মনসুর সুলতান মুকাদ্দাম শাহের আত্মীয়দের সঙ্গে বন্দী হয়ে আচেহে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলেন। কিন্তু রাজা মনসুর পালিয়ে জোহরে চলে যান। জোহরে তিনি একজন জাম্বি রাজকন্যাকে বিয়ে করেন। তারপর ১৬১৯ সালে তিনি পেরাকে ফিরে এসে পুত্রী লিমাউ পুরুতের সঙ্গে বিয়ে করেন এবং সুলতান মনসুর শাহ দ্বিতীয় উপাধি নিয়ে পেরাকের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৬১৯ সালে সুলতান মুকাদ্দাম শাহের রাজত্বের শেষের দিকে আচেহর সুলতান ইস্কান্দার মুদা মালয় উপদ্বীপের পেরাক এবং অন্যান্য রাজ্য আক্রমণ এবং পুনরায় জয় করার জন্য তার সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন। সুলতান মুকাদ্দাম শাহের সমাধি কোথায় তা এখনও অজানা। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এটি পেরাকের বাইরে আচেহ শহরে অবস্থিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Portal Raja Kita - Perak"। ২০১০-০২-২৫। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৮।
- ↑ Jasbindar, Freddie Aziz। "Sultan Mukaddam Shah (Sultan Perak ke 6)"। www.orangperak.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-২৮।
- ↑ Abdul Shukor, Jeragan (১৯০৭)। "List of Graveyards of the Late Sultans of the State of Perak, Der-Ul-Rithuan, enquired into and visited by me, Stia Bijaya Di Raja, under instructions received from the Government"। Journal of the Straits Branch of the Royal Asiatic Society (48): 99। আইএসএসএন 2304-7534। জেস্টোর 41561088।