বিষয়বস্তুতে চলুন

মিলকা চেপকোরির

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মিলকা চেপকোরির (জন্ম ১৯৯০) কেনিয়ার কিতালে জন্মগ্রহণকারী, তিনি একাধারে নৃতত্ত্ববিদ, জলবায়ু ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি মূলত সেঙ্গওয়ার জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি পান, যারা এম্বোবুট এবং কাপোলেট বনাঞ্চলে বসবাস করে। কেনিয়া ফরেস্ট সার্ভিস কর্তৃক জোরপূর্বক উচ্ছেদের পর তাদের অধিকার রক্ষায় তিনি সরব হন।

পটভূমি ও শিক্ষা

[সম্পাদনা]

চেপকোরির কাপোলেট বনাঞ্চলের সেঙ্গওয়ার জনগোষ্ঠীর সদস্য।[] তিনি কিতালে, কেনিয়ায় বসবাস করেন।[] চেপকোরির মাসেনো ইউনিভার্সিটি থেকে নৃতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[] বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ নাইরোবিতে লিঙ্গ ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন, যা জোক ওয়ালার হান্টার বা জেডব্লিউএইচ ইনিশিয়েটিভের অনুদানে পরিচালিত।[]

আন্দোলন

[সম্পাদনা]

উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালেয়ে পড়ার সময়েই তিনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।[] ২০১৬ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের আদিবাসী ফেলোশিপ প্রোগ্রামের একজন ফেলো হন, যা তাকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করে তোলে।[]

এই ফেলোশিপের মাধ্যমে তিনি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ১৬তম স্থায়ী ফোরাম অন আদিবাসী বিষয়ে অংশ নেন। সেখানে তিনি বন জনগোষ্ঠী কর্মসূচি, ন্যাচারাল জাস্টিস ও আরও ২০টি সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করে জাতিসংঘে আদিবাসী অধিকারের বাস্তবায়নের ঘাটতির বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করেন। এছাড়া তিনি জানান, কীভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের পর কেনিয়া ফরেস্ট সার্ভিস সেঙ্গওয়ার জনগণের ৯০টি ঘর জ্বালিয়ে দেয়।[]

২০১৮ সালে তিনি পুনরায় ১৭তম জাতিসংঘ স্থায়ী ফোরাম অন আদিবাসী বিষয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং কেনিয়া ফরেস্ট সার্ভিস কর্তৃক সেঙ্গওয়ার জনগণকে পূর্বপুরুষদের জমি থেকে উচ্ছেদের ঘটনার কথা তুলে ধরেন।[] এই উচ্ছেদ মূলত 'ওয়াটার টাওয়ার প্রোটেকশন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি'র আওতায় হয়, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন:

"তারা একটি ছয় বছর বয়সী ছেলেকে ধরে, তার মাকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর তাকে দিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। তারপর রাতে তাকে জঙ্গলে একা ফেলে যায়।"[]

এই ঘটনার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রকল্পটিতে তাদের অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।[১০]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

বর্তমানে তিনি কমিউনিটি ল্যান্ড অ্যাকশন নাওয়ের সমন্বয়ক, 'ডিফেন্ডিং টেরিটোরিজ অব লাইফ'-এর সমন্বয়ক এবং 'অ্যাগ্রোইকোলজি ফান্ডের' উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Paige, Shipman (২০২০)। Annelieke, Douma; Mohr, Tamara (সম্পাদকগণ)। Embedding gender justice in environmental action: where to start? (পিডিএফ)। Amsterdam: Both ENDS। পৃ. ২৪।
  2. "Milka Chepkorir"ICCA Consortium (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  3. "Milka Chepkorir Kuto ·"Global Environments Network (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  4. "Milka Chepkorir, Kenya"। JWHinitiative। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  5. "Starting young to help her community"। Office of the United Nations High Commissioner for Human Rights। ৮ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  6. "Indigenous peoples' rights violated in the name of conservation - IWGIA - International Work Group for Indigenous Affairs"। IWGIA। ৩১ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  7. "Indigenous peoples and conservation: a call to action"Natural Justice (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ১০ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  8. Lieberman, Amy (২০ এপ্রিল ২০১৮)। "Indigenous leaders at UN forum ask for more accountability in international aid"Devex। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  9. Mwanza, Kevin (৫ জানুয়ারি ২০১৮)। "Kenya's Sengwer say they face fresh threat of eviction from their forest land"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  10. "EU suspends its support for Water Towers in view of reported human rights abuses"EEAS। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮। ৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২
  11. "Donors, Advisors, and Staff"AgroEcology Fund (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২