মির্জাখীল দরবার শরীফ
মির্জাখীল দরবার শরীফ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় অবস্থিত একটি দরবার শরীফ।[১]
অবস্থান[সম্পাদনা]
দরবার শরীফটি সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল গ্রামের বাংলাবাজারে অবস্থিত।[১][২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
প্রায় দুইশত বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল গ্রামে মোখলেছুর রহমান জাহাঁগীরি পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদ সহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালনের নিয়ম প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে তারই উত্তরসূরী আব্দুল হাই জাহাঁগীরির অন্যতম খলীফা চন্দনাইশ শাহ্ ছুফি দরবার শরীফের পীর, শাহ্ ছুফী আমজাদ আলীর মুরিদ ও ভক্ত-অনুরাগীরা একই নিয়মে রমজানের রোজা, ঈদ-উল ফিতর এবং ঈদ-উল আজহা পালন করে আসছে।[১]
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, রাউজান, সন্দ্বীপ, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের দুই লাখেরও বেশি মানুষ এই দরবার শরীফের মুরিদ।[৩] এছাড়াও চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন জায়গাতেও মুরিদ রয়েছে। যারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রতিবছর ঈদ, রোজা ও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।[৪][৫]
উক্ত দরবার শরীফে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে চন্দ্রাকৃতির বিশেষ টুপি পরিধান করার নিয়ম চালু আছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "মির্জারখীল দরবার শরীফ ও মাজের মসজিদ"। satkania.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "চট্টগ্রামে অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উদযাপন"। ডেইলি ট্রিবিউন। ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ সোমবার, প্রস্তুতি সম্পন্ন"। আজকের পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা আজ"। জাগো নিউজ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "আগামীকাল ঈদ উদযাপন করবে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।