মিসবাহিয়া মাদ্রাসা

স্থানাঙ্ক: ৩৪°০২′০৭″ উত্তর ৪°৩৪′৫৬″ পূর্ব / ৩৪.০৩৫৪° উত্তর ০৪.৫৮২৩° পূর্ব / 34.0354; 04.5823
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মিছবাহিয়া মাদ্রাসা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মিছবাহিয়া মাদ্রাসা
মাদ্রাসার অভ্যন্তরে উঠানের উত্তর পাশে সজ্জিত খিলান (১৯১৬ সালের ছবি)
মাদ্রাসার অভ্যন্তরে উঠানের উত্তর পাশে সজ্জিত খিলান (১৯১৬ সালের ছবি)
অন্যান্য নাম
আর-রাখাম মাদ্রাসা
ধরনমাদ্রাসা
স্থাপিত১৩৪৬ (1346)
প্রতিষ্ঠাতাআবু আল-হাসান
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
ঠিকানা
ফেস এল বালি, পুরাতন মদিনা অঞ্চল
, ,
৩৪°০২′০৭″ উত্তর ৪°৩৪′৫৬″ পূর্ব / ৩৪.০৩৫৪° উত্তর ০৪.৫৮২৩° পূর্ব / 34.0354; 04.5823
মানচিত্র

মিসবাহিয়া মাদ্রাসা (আরবি: المدرسة المصباحية) মরক্কোয় অবস্থিত একটি প্রাচীন মাদ্রাসা

অবস্থান[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটি মরক্কোর ফেজ শহরের পুরাতন মদিনা অঞ্চলের ফেস এল বালি এলাকায় অবস্থিত। মাদ্রাসাটি আল কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৩৪৬ সালে মাদ্রাসাটি নির্মিত হয়। মেরিনিড আমলে মাদ্রাসাটি নির্মাণ করা হয়েছে। মেরিনিড সুলতান আবু আল-হাসানের পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রাসাটি নির্মাণ করা হয়েছে। আবু আল-হাসান শহরের অন্যান্য মাদ্রাসাগুলিও নির্মাণ করেন।[২]

মাদ্রাসাটির নাম ফকিহ আল-মেসবাহির নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়। যিনি মাদ্রাসায় প্রথম ফকিহ পড়তেন।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটির স্বতন্ত্র হলো নির্মাণ ও সজ্জায় সাদা মার্বেল ব্যবহৃত হয়েছে। সাদা মার্বেলগুলো আবু আল-হাসান আল-আন্দালুসের (স্পেন) আলমেরিয়া শহর থেকে আমদানি করেন। [৩] মার্বেল ব্যাপক ব্যবহারের কারণে মাদ্রাসার ডাক নাম ছিল আর-রাখাম মাদ্রাসা ( আরবি: مدرسة الرخام) যার অর্থ 'মার্বেলের স্কুল'। [১] উঠোনের চারপাশে কেন্দ্রীভূত মাদ্রাসা ভবনটি মূলত একটি নিচতলা এবং তিনটি উপরি তলা নিয়ে গঠিত। তবে উপরের তলটি ধ্বংস হয়ে গেছে। উঠোনের উত্তর দিকে একটি বিশাল দ্বৈত-খিলানযুক্ত বর্গকার প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে। দ্বি-খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বারটি মেরিনিড স্থাপত্যের অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং এটি চারপাশে একটি কাঠামোতে আরবি নাসখ লিপিসহ খোদাই করা স্টুকো দিয়ে সমৃদ্ধভাবে সজ্জিত। প্রার্থনা কক্ষে মিহরাব নেই । মাদ্রাসায় বিভিন্ন তলা মিলে ১১৭ টি কক্ষ রয়েছে যেখানে সারা দেশ থেকে আগত প্রায় ১৪০ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারে।

সংরক্ষণের অবস্থা[সম্পাদনা]

অবহেলা ও দুর্বল পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টার কারণে মাদ্রাসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে এর উপাদানগুলি ধসে পড়েছে। প্রার্থনা কক্ষের গম্বুজ, ওযুর ঘরের ছাদ এবং অন্যান্য কয়েকটি কক্ষ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং মূর্তিযুক্ত মার্বেলগুলিরও ক্ষতি হয়েছে। তারপরও এটি এখনও মেরিনিড স্থাপত্যের মূল্যবান নিদর্শন এবং ফুল এবং জ্যামিতিক সজ্জাগুলির মূল গঠনগুলো পূর্বের আকৃতি ধরে রেখেছে। ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়। [১] নগরীর অন্যান্য মাদ্রাসাগুলি এবং ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির বৃহত্তর পুনরুদ্ধার কর্মসূচির আওতায় শেষ পর্যন্ত এই পুনর্নির্মাণ ২০১৭ সালে শেষ হয়েছে। [৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. المدرسة المصباحية.. كانت مزارا لنهل علوم الفقه والفلك. Maghress. Retrieved January 22, 2018.
  2. Penell, C.R. Morocco: From Empire to Independence; Oneworld Publications, Oct 1, 2013. pp.66-67.
  3. Mezzine, Mohamed। "Misbahiya Madrasa"Discover Islamic Art, Museum With No Frontiers। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১ 
  4. "La magnifique rénovation des 27 monuments de Fès – Conseil Régional du Tourisme (CRT) de Fès" (ফরাসি ভাষায়)। ২০২০-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১২