মা হুয়ান
মা হুয়ান | |
|---|---|
| জন্ম | মা হুয়ান আনুমানিক ১৩৮০ কুয়াইজি কমান্ডারি, ঝেজিয়াং, চীন |
| মৃত্যু | আনুমানিক ১৪৬০ |
| পেশা | আবিষ্কারক, অনুবাদক, ভ্রমণলেখক |
| ভাষা | চীনা, আরবি |
| জাতীয়তা | চীনা |
| উল্লেখযোগ্য রচনা | ইংয়া শেংলান (সাগরতীরের সামগ্রিক জরিপ) |
,_first_page.jpg)
মা হুয়ান ( simplified Chinese , জিয়াওরজিং : ﻣَﺎ ﺧُﻮًا ) ( আনু. ১৩৮০–১৪৬০ [১] ), সৌজন্যে নাম জংদাও ( Chinese, ছদ্মনাম পর্বত-কাঠ কাটার (會稽山樵), একজন চীনা অভিযাত্রী, অনুবাদক এবং ভ্রমণ লেখক ছিলেন। তিনি অ্যাডমিরাল ঝেং হি-এর পশ্চিম মহাসাগরে তাঁর সাতটি অভিযানের মধ্যে তিনটিতে সঙ্গী ছিলেন। মা একজন মুসলিম ছিলেন এবং ঝেজিয়াংয়ের কুয়াইজি কমান্ডারিতে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকাটি শাওক্সিংয়ের আধুনিক সীমান্তের অন্তর্গত একটি এলাকা। তিনি বেশ কিছু ধ্রুপদী চীনা এবং বৌদ্ধ গ্রন্থ জানতেন। অনুবাদ করতে পারার জন্য তিনি আরবি ভাষা শিখেছিলেন।[২]
অভিযান এবং লেখা
[সম্পাদনা]১৪১৩ সালে তার চতুর্থ অভিযানে তিনি চম্পা, জাভা, সুমাত্রা, পালেমবাং, সিয়াম, কোচি এবং হরমুজ পরিদর্শন করেন।
১৪২১ সালের অভিযানে তিনি মালাক্কা, আরু, সুমাত্রা, ত্রিনকোমালি, সিংহল, কোচি, কালিকট, জুফার এবং হরমুজ পরিদর্শন করেন।
১৪৩১ সালের অভিযানে তিনি বাংলা, চট্টগ্রাম, সোনারগাঁও, গৌড় এবং কালিকট ভ্রমণ করেন। কালিকট থেকে, নপুংসক হং বাও তাকে মক্কায় দূত হিসেবে প্রেরণ করেন।
তার অভিযানের সময়, মা হুয়ান ভূগোল, রাজনীতি, আবহাওয়া, পরিবেশ, অর্থনীতি, স্থানীয় রীতিনীতি এবং এমনকি অপরাধীদের শাস্তির পদ্ধতি সম্পর্কে লিখেছিলেন। প্রথম অভিযানে বাড়ি ফিরে তিনি তার অভিযানের উপর একটি বই লিখতে শুরু করেন, যার প্রথম খসড়াটি ১৪১৬ সালের দিকে প্রস্তুত হয়েছিল। পরবর্তী অভিযানের সময় তিনি তার খসড়াটি সম্প্রসারণ ও সংশোধন করেন। খসড়ার চূড়ান্ত সংস্করণটি ১৪৫১ সালের দিকে চূড়ান্ত করা হয়। তার বইয়ের নাম ছিল ইংইয়া শেংলান (সমুদ্রের তীরের সামগ্রিক জরিপ)।
মিং রাজবংশ এবং ছিং রাজবংশের সময়, বইটির অনেক মুদ্রিত ও হাতে লিখিত সংস্করণ প্রচলিত ছিল। ইতিহাসবিদ ফেং চেংজুন কর্তৃক সম্পাদিত ও টীকাযুক্ত একটি প্রামাণ্য ছাপা সংস্করণ এখনো সংরক্ষিত আছে। মিং রাজবংশের হাতে লেখা সংস্করণের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন সংস্করণ সম্প্রতি চীনের ওশান পাবলিশিং হাউস দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে।
এই বইটি জেভিজি মিলস (১৮৮৭–১৯৮৭) কর্তৃক লিখিত একটি টীকাযুক্ত ইংরেজি অনুবাদ ১৯৭০ সালে হাকলুইট সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়।[৩] পরে বইটি ১৯৯৭ সালে ব্যাংককের দ্য হোয়াইট লোটাস প্রেস দ্বারা পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। মিলসের অনুবাদটি ফেং চেং জুনের সংস্করণের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল।
ইংইয়া শেংলান এর বইটিকে সারা বিশ্বের চিনতত্ত্ববিদরা মিং রাজবংশের নৌ অনুসন্ধানের ইতিহাস, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস এবং ভারতের ইতিহাসের প্রাথমিক উৎস হিসেবে বিবেচনা করে।
মা হুয়ানের উপর গবেষণা করেছেন এমন কিছু পণ্ডিত হলেন জেজেএল ডুয়েভেন্ডাক, এফ. হির্থ, পল পেলিয়ট, ফেং চেংজুন, জিয়াং দা, জেভিজি মিলস ।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ Forbes, A.D.W. (১৯৮৩), "Ma Huan", Bosworth, C.E., The Encyclopaedia of Islam, E.J. Brill, পৃষ্ঠা 849–850, আইএসবিএন 90-04-07164-4
- ↑ Sir H. A. R. Gibb (১৯৫৪)। Encyclopedia of Islam, Volumes 1–5। Brill Archive। পৃষ্ঠা 849। আইএসবিএন 90-04-07164-4। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৬।
- ↑ Book review by Jung-pang Lo
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Ying-yai Sheng-lan, মহাসাগরের তীরবর্তী এলাকার সামগ্রিক জরিপ ১৪৩৩, মা হুয়ানের লেখা, অনুবাদ করেছেন J.V.G. Mills, ভূমিকাসহ, হ্যাকলুট সোসাইটি, লন্ডন ১৯৭০; হোয়াইট লোটাস প্রেস কর্তৃক পুনর্মুদ্রিত ১৯৯৭। আইএসবিএন ৯৭৪-৮৪৯৬-৭৮-৩ (গুগল বইয়ে সীমিত অনলাইন কপি)
- পল পেলিও, ১৫ শতকের শুরুতে চীনের বৃহৎ সামুদ্রিক অভিযানসমূহ (Les grands voyages maritimes chinois au début du 15ème siècle)।
- অক্সফোর্ড সামুদ্রিক ইতিহাস বিশ্বকোষ। অক্সফোর্ড রেফারেন্স।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- গর্ডন, স্টুয়ার্ট। যখন এশিয়া ছিল বিশ্ব: ভ্রমণকারী ব্যবসায়ী, পণ্ডিত, যোদ্ধা এবং সন্ন্যাসী যারা "প্রাচ্যের সম্পদ" তৈরি করেছিলেন দা ক্যাপো প্রেস, পার্সিয়াস বুকস, ২০০৮।আইএসবিএন ০-৩০৬-৮১৫৫৬-৭আইএসবিএন ০-৩০৬-৮১৫৫৬-৭ ।
