মাহমুদিয়া মসজিদ
মাহমুদিয়া মসজিদ জাফার বড় মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অঞ্চল | লেভান্তে |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | জাফা, তেল আবিব, ইসরায়েল |
স্থানাঙ্ক | ৩২°০৩′১৮″ উত্তর ৩৪°৪৫′২০″ পূর্ব / ৩২.০৫৪৯১৭° উত্তর ৩৪.৭৫৫৪৮° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | উসমানীয় |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮১২ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ৬ |
মিনার | ১ |
মাহমুদিয়া মসজিদ (আরবি: جامع المحمودية, হিব্রু ভাষায়: מסגד מחמודיה) জাফার বৃহত্তম ও তাৎপর্য্যপূর্ণ মসজিদ, এটি এখন বৃহত্তর তেল আবিবের অংশ এটি দুটি বিশাল আঙ্গিনা এবং উঠোনের চারপাশে সাজানো একটি জটিল ভবন দ্বারা গঠিত। ফিলিস্তিন উসমানীয় শাসনের অধীনে থাকাকালীন ১৮ এবং ১৯ শতকে পুরো ভবন, গেট এবং উঠানগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে নির্মিত হয়েছিল।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গভর্নর শেখ মুহাম্মদ আল-খলিলির নির্দেশে ১৭৩০ সালে মাহমুদিয়া মসজিদের প্রাথমিক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। মসজিদের দক্ষিণ দেয়ালে এম্বেড করা একটি ফোয়ারা আছে যা ১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের গোড়ার দিকে একরের গভর্নর সুলায়মান পাশা তৈরি করেন।[১]
বর্তমান মসজিদের বেশিরভাগ গাজা ও জাফার উসমানীয় গভর্নর মুহাম্মদ আবু-নব্বুত দ্বারা ১৮১২ সালে নির্মিত হয়েছিল। মূল উঠোনটি মসজিদের পশ্চিম অংশে অবস্থিত, এর তোরণ এবং বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার নামাজঘর দুটি বড় অগভীর গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত এবং এর সরু মিনারটি তার কাছেই অবস্থিত। পূর্ববর্তী নির্মাণের চিহ্নগুলি খুব কমই লক্ষণীয়, তবে গবেষণা অনুসারে আবু-নববুতের মসজিদটি জাফার বিবি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি ছোট মসজিদের ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছিল।[১] ভবনটি সিজারিয়া এবং আশ্কেলোন এর রোমান কলামগুলি পুনরায় ব্যবহার করেছে। [২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]পুরাতন জাফার উত্তর-পূর্ব কোণটিই হল মাহমুদিয়া মসজিদ। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, জাফার দেয়ালগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে ফেলা হয়েছিল যার ফলে মসজিদে আরও একটি বড় সংযোজন হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, সরকারী কেন্দ্র প্রাচীন দেয়ালের ঠিক বাইরে মসজিদটির পূর্ব দিকে চলে গেছে। সরকারী ভবন থেকে মসজিদে প্রবেশের সুবিধার্থে ক্লক-টাওয়ার প্লাজার মুখোমুখি মসজিদের পূর্ব দেয়ালে একটি নতুন গেট নির্মিত হয়েছিল। "গভর্নরগণের দ্বার" নামকরণ করা এই গেটটি সুলতান সুলাইমানের সময় দ্বারা জেরুজালেমে ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত সাবিল সুলায়মানের নকশাকে প্রতিফলিত করে।[১]
বর্তমানে মসজিদের বাইরের দেয়ালসংলগ্ন স্থানে বেশিরভাগ দোকানগুলি থাকে। তবে কয়েকটি জায়গায় প্রার্থনা হলের দুটি অগভীর গম্বুজ এবং আনুষঙ্গিক বহু গম্বুজ এখনও আশেপাশের রাস্তাগুলি থেকে দৃশ্যমান। মিনারের লম্বা এবং পরিশোধিত সিল্যুয়েট এখনও পুরাতন জাফা এবং এর চারপাশ থেকে লক্ষণীয়।[১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
মসজিদের গম্বুজ
-
মসজিদের মিহরাব
-
২০০৯ সালে মসজিদটি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Dumper, Michael; Stanley, Bruce E.; Abu-Lughod, J. (২০০৭)। Cities of the Middle East and North Africa: A Historical Encyclopedia। ABC-CLIO। আইএসবিএন 9781576079195।
- Kana`an, Ruba (2001), Waqf, Architecture, and Political Self-Fashioning: The Construction of the Great Mosque of Jaffa by Muhammad Aga Abu Nabbut. In Muqarnas XVIII: An Annual on Islamic Art and Architecture. Gülru Necipoglu (ed.). Leiden: E.J. Brill. (.htlm link)
- Petersen, Andrew (২০০১)। A Gazetteer of Buildings in Muslim Palestine (British Academy Monographs in Archaeology)। I। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 164−165। আইএসবিএন 978-0-19-727011-0।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এশিয়ার মসজিদ বা অন্য ইসলামি উপাসনালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |