বিষয়বস্তুতে চলুন

মাস'আব ইবনে আল জুবায়ের

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু ঈসা মাস'আম ইবনে আল জুবায়ের ইবনে আওয়াম
মৃত্যুঅক্টোবর ৬৯১
দাইর আল জাথালিক, ইরাক
যুগউমাইয়া খিলাফত
দ্বিতীয় ফিতনা
পরিচিতির কারণইরাকের জুবায়েরিয় গভর্নর (৬৮৬-৬৯১)
প্রতিদ্বন্দ্বীমুখতার আল সাকাফি
আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান
দাম্পত্য সঙ্গীআয়শা বিনতে তালহা
সাকিনা বিনতে হোসাইন [][]
পিতা-মাতা
  • জুবায়ের ইবনে আল আওয়াম (পিতা)
  • রাবাব বিনতে উনাইফ (মাতা)
আত্মীয়আব্দুল্লাহ ইবনে আল জুবায়ের (ভাই)
উরউয়াহ ইবনে আল জুবায়ের (ভাই)
সামরিক কর্মজীবন
আনুগত্যজুবায়েরিয়
যুদ্ধ/সংগ্রামদ্বিতীয় ফিতনা

মাস'আব ইবনে আল জুবায়ের (আরবি: مصعب بن الزبير; মৃত্যু ৬৯১) দ্বিতীয় ফিতনার সময় একজন আরব সামরিক কমান্ডার ছিলেন। তিনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে আল জুবায়েরের ভাই এবং নবী মুহাম্মদের সাহাবী জুবায়ের ইবনে আল আওয়ামের সন্তান। তার ভাই মক্কায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার পর মাস'আব উমাইয়াদের অধীনে থাকা ফিলিস্তিনে একটি ব্যর্থ সামরিক চালান। পরে তিনি ৬৮৬ থেকে ৬৯১ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বসরার গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে আলীয় বিপ্লবী মুখতার আল সাকাফিকে হত্যা করে সমগ্র ইরাক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ইরাকে তার কর্মপন্থার জন্য তার ভাই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিলেও পরবর্তীতে আবার একই দায়িত্ব প্রদান করেন। এর চার বছর পর উমাইয়া বাহিনী তাকে মাসকিনের যুদ্ধে হত্যা করে।

পরিবার ও প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

মাস'আব ছিলেন নবী মুহাম্মদের একজন বিশিষ্ট সাহাবী জুবায়ের ইবনে আল আওয়ামের সন্তান।[] তার মা আল রাবাব বিনতে উনাইফ ছিলেন বনু কালব গোত্রের প্রধানের কন্যা।[][] উমাইয়া খলিফার প্রথম মুয়াবিয়ার (শা. ৬৬১–৬৮০) জীবনের শেষ বছরগুলোতে মাস'আব মদীনার মসজিদে ধর্মচর্চার জন্য মিলিত হওয়া একটি দলের অংশ ছিলেন। অন্যান্যদের সাথে দলটিতে ছিলেন মাস'আবের সৎভাই উরওয়া ইবনে আল জুবায়ের এবং পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা হওয়া আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান[] তার অন্যান্য ভাইদের মত মাস'আবও তার বাবার কাছ থেকে শহরের আল বাকি এলাকায় উত্তরাধীকার সূত্রে সম্পত্তি পেয়েছিলেন এবং সেখানে তার একটি বাড়িও ছিল।[]

কয়েকজন স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর ( উম্মাহাত আওলাদ বা উম্মে ওয়ালাদের) গর্ভে মাস'আবের সন্তানরা জন্মগ্রহণ করে। ফাতিমা বিনতে আব্দুল্লাহ নামের তার এক স্ত্রী তার পুত্র ঈসা আল কবির, উকাশা এবং এক কন্যা সুকাইনার জন্ম দেন। এছাড়া তিনি মুহাম্মদের অন্য আরেক বিশিষ্ট সাহাবী তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহর কন্যা আইশাকেও বিয়ে করেছিলেন। আইশার গর্ভে মুহাম্মদ এবং আব্দুল্লাহ নামে তার দুই পুত্র জন্ম নেয়।[] তার আরেকজন স্ত্রী ছিলেন নবী মুহাম্মদের নাতী হোসাইন ইবনে আলীর কন্যা ফাতিমা আল-কুবরা। তিনি তার এক কন্যা সন্তানের মা ছিলেন।[] কয়েকজন উম্মাহাত আওলাদ তার পুত্র সন্তান হামজা, আসিম, উমর, জাফর, মাস'আব (খুদাইর নামেও পরিচিত), সা'দ, আল-মুঞ্জির, ঈসা আল সাঘির, এবং একজন কন্যা সুকাইনা জন্ম নেয়িছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Lammens ও Pellat 1993, পৃ. 649।
  2. Bewley 2000, পৃ. 120।
  3. Bewley 2000, পৃ. 119।
  4. Bellamy 1973, পৃ. 65।
  5. Ahmed 2010, পৃ. 69।
  6. Elad 2016, পৃ. 326।