মালাবার গোলমরিচ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মালাবার গোলমরিচ হল গোলমরিচের একটি প্রকার। ভারতের বর্তমান কেরল রাজ্যের একটি ভৌগোলিক অঞ্চলে, হঠাৎ করেই এর বীজজাত চারাগাছ জন্ম নিয়েছিল। এই জাতের গোলমরিচের উৎপাদনের ক্ষেত্রটি এখন এমন সমস্ত ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে আছে যা এককালে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির মালাবার অঞ্চলের অংশ ছিল। এই অঞ্চলগুলিতে এখন পুরো দক্ষিণ ভারত জুড়ে বিস্তৃত।[১] প্রাচীন রোমানআরব ব্যবসায়ী এবং পরে ইউরোপীয় প্রারম্ভিক নাবিকদের দ্বারা সর্বাধিক সন্ধান করা পণ্যগুলির মধ্যে একটি ছিল মালাবার গোলমরিচ।

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]

মালাবার গোলমরিচকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, অসমাঙ্গ বা অনিয়মিত আকারের এবং সমাঙ্গ বা নিয়মিত আকারের। অসমাঙ্গ প্রকারটি কালো রঙের প্রায় গোলকাকার এবং কুঞ্চিত পৃষ্ঠযুক্ত। সমাঙ্গ জাতটিও কুঞ্চিত পৃষ্ঠযুক্ত এবং এর রঙ গাঢ় বাদামী থেকে কালোর মধ্যে হয়। উদ্ভিদটি (পাইপার নাইগ্রাম) পাইপারেসি পরিবারের একটি ফুলের লতা, এটি ফলের জন্য চাষ করা হয়। ফলটিকে সাধারণত শুকনো করা হয় এবং মশলা ও স্বাদবর্ধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ফলটি শুকনো হওয়ার পরে সেটিকে বলা হয় গোল মরিচ। ফলটি ছোট এবং আঁটিযুক্ত, যার ব্যাস পাঁচ মিলিমিটার হতে পারে। সম্পূর্ণরূপে পরিপক্ব হলে এর রং হয় কালচে লাল। এতে একটি বীজ থাকে।[২]

ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন[সম্পাদনা]

"মালাবার গোলমরিচ"কে ভৌগোলিক নির্দেশক সামগ্রী (নিবন্ধকরণ এবং সুরক্ষা) আইন, ১৯৯৯ এর ১৩ অনুচ্ছেদের (১) এর অধীনে অংশ ক তে নিবন্ধিত করা হয়েছে।[৩] নিবন্ধকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছিল ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের ভারতীয় মশলা বোর্ডের পক্ষ থেকে।

অন্য কিছু ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধিত মশলা[সম্পাদনা]

ভারত থেকে অন্যান্য মশালাগুলি যারা ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন থেকে ভৌগোলিক সূচক স্বীকৃতি পেয়েছে সেগুলি হল:[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Malabar pepper"। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২১ 
  2. "Black Pepper"McCornick Science Institute। McCornick Science Institute। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "GT Application No. 49" (পিডিএফ)Geographical Indications Journal19: 29। ৩ অক্টোবর ২০০৭। ৯ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Three more spices got Geographical Indication"। Directorate of Arecanut and Spices Development, Ministry of Agriculture, Govt. of India। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬