মালয়েশিয়া–শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক
মালয়েশিয়া |
শ্রীলঙ্কা |
|---|---|
মালয়েশিয়া–শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কা এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। এছাড়াও, দেশ দুটির মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান, তাও নির্দেশ করে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে মালয়েশিয়ার একটি হাই কমিশন রয়েছে। [১] অপরদিকে, মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর-এ শ্রীলঙ্কার একটি হাই কমিশন রয়েছে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য, শ্রীলঙ্কা ছিল বঙ্গোপসাগর এর মূল প্রবেশদ্বার। এ কারণে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে অনেক আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার সুসম্পর্ক বজায় ছিল। [৩] তবে সেইময়, শ্রীলঙ্কা এবং মালয় উপদ্বীপ এর মধ্যে যে সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, তার প্রধান কারণ ছিল বাণিজ্য॥[৩]
১৯৬১ সালে প্রকাশিত, সেনারথ পারানাভিতানার রচিত বই, সিলন এবং মালয়েশিয়া তে, সিংহল এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার অতীত সম্পর্কের নিদর্শন পাওয়া যায়।[৩]

বর্তমান যুগে, ১৯৫৭ সালে, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, এক রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে তিনি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। দুই নেতার বৈঠকের পর, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।[৪]
২০১৬ সালে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেন, ৩ দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যান। তার সেই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, শ্রীলঙ্কা এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন। [৫] সেই সফরে সিরিসেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাক এর সাথে বৈঠক করেন এবং তাদের আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশ বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা]মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কার বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদারদের মাঝে অন্যতম[৬] এবং শ্রীলঙ্কায় বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও অন্যতম। ২০১৫ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলার।[৭][৮]
২০১১ সালে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের এ পরিমাণ ছিল ৮১৪ মিলিয়ন (৮১.৪ কোটি) মার্কিন ডলার। এর মধ্যে, শ্রীলঙ্কায়, মালয়েশিয়ার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৪৪ মিলিয়ন (৬৪.৪ কোটি) মার্কিন ডলার। অপরদিকে মালয়েশিয়ায় শ্রীলঙ্কার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৬৯ মিলিয়ন (১৬.৯ কোটি) মার্কিন ডলার।[৯]
পর্যটন, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, অভিবাসন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশই একটি যৌথ কমিশন গঠন করেছে। এর পাশাপাশি এই যৌথ কমিশনের কাজ হল, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে সমন্বয় সাধন।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Official Website of High Commission of Malaysia, Colombo"। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Sri Lanka High Commission, Kuala Lumpur"। শ্রীলঙ্কা হাই কমিশন, মালয়েশিয়া। ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- 1 2 3 ডব্লিউ.এম.সিরিসেনা (১ জানুয়ারি ১৯৭৮)। Sri Lanka and South-East Asia: Political, Religious and Cultural Relations from A.D. C. 1000 to C. 1500। বিল আর্কাইভ। পৃ. ৩-। আইএসবিএন ৯০-০৪-০৫৬৬০-২।
- ↑ "Sri Lanka - Malaysia Relations"। High Commission of Sri Lanka in Malaysia। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "President Sirisena Leaves For Malaysia"। এশিয়ান মিরর। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Sri Lanka Major Trade Partners"। ব্রিজেট। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Malaysia has emerged the biggest investor in Sri Lanka"। নিউজ। ২৬ জুন ২০১২। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Trade between Sri Lanka and Malaysia to reach US$1 billion by 2015"। এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক। ১৯ জুলাই ২০১৩। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক) - ↑ "Malaysia -Sri Lanka business Council to be set-up"। সানডে অবজারভার। ৮ জুলাই ২০১২। ১৪ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Sri Lanka - Malaysia bilateral ties strengthened"। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৩ জুন ২০০৬। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।