মার্টিন হর্টন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মার্টিন হর্টন
১৯৬০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মার্টিন হর্টন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমার্টিন জন হর্টন
জন্ম(১৯৩৪-০৪-২১)২১ এপ্রিল ১৯৩৪
ওরচেস্টার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৩ এপ্রিল ২০১১(2011-04-03) (বয়স ৭৬)
ওরচেস্টার, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯৪)
৪ জুন ১৯৫৯ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৮ জুন ১৯৫৯ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪১০
রানের সংখ্যা ৬০ ১৯৯৪৫
ব্যাটিং গড় ৩০.০০ ২৯.৫৪
১০০/৫০ –/১ ২৩/১১২
সর্বোচ্চ রান ৫৮ ২৩৩
বল করেছে ২৩৮ ৫৪৩৫২
উইকেট ৮২৫
বোলিং গড় ২৯.৫০ ২৬.৯৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২৪ ৯/৫৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ১৬৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ নভেম্বর ২০২০

মার্টিন জন হর্টন (ইংরেজি: Martin Horton; জন্ম: ২১ এপ্রিল, ১৯৩৪ - মৃত্যু: ৩ এপ্রিল, ২০১১) ওরচেস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার এবং নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন মার্টিন হর্টন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত মার্টিন হর্টনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পিছনের পায়ে ভর রেখে অফ সাইডের দিকে খেলতেন ও বেশ ভালোমানের কাট করতেন। তার অফ স্পিন ও বেশ কার্যকর ছিল।

১৯৫২ সালে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে মার্টিন হর্টনের অভিষেক ঘটে। ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। তন্মধ্যে, ১৯৬৪ সালে দলটি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভ করে।[১]

১১ বার মৌসুমে সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৯ সালে ২,৪৬৮ রান তুলেছিলেন। ১৯৫৫ ও ১৯৬১ সালে ডাবল লাভ করেন। বল হাতে তার স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত হয়। ১৯৫৫ সালে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে ৯/৫৬ লাভ করেছিলেন। প্রায় দুই দশক ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়ে ৮২৫টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট ও ব্যাট হাতে নিয়ে ২৩টি শতরানের ইনিংস খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মার্টিন হর্টন। সবগুলো টেস্টই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৪ জুন, ১৯৫৯ তারিখে নটিংহামে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৮ জুন, ১৯৫৯ তারিখে লর্ডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৫৯ সালে টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান। অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টই এ বছর খেলেন। নিজস্ব প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ঐ খেলায় তার দল ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৯-১১-২০-০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। লর্ডস টেস্টে আরও একটি সহজ জয় পায় তার দল। দ্বিতীয় টেস্টে ২/২৪ পান। এরপর তাকে দলের বাইরে রাখা হয় ও তাকে আর খেলানো হয়নি।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৬ সালে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি পাঁচ বছর মেয়াদে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ দায়িত্বে সতেরো মৌসুম অতিবাহিত করেন। এছাড়াও, ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত চার বছর প্লাঙ্কেট শীল্ডে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলেন।[২]

১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। রয়্যাল গ্রামার স্কুলের ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, ওরচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি ছিলেন তিনি।

ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেছেন যে, মার্টিন হর্টন বহুমূখী অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। শীর্ষ ছয়ের যে-কোন অবস্থানে তিনি ব্যাটিংয়ে নামতে পারতেন ও মৌসুমে দুইবার তিনি তার অফ-স্পিন বোলিংয়ের মাধ্যমে শত উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।[১]

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৩ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ওরচেস্টার এলাকায় মার্টিন হর্টনের দেহাবসান ঘটে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 91আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Wisden 2012, pp. 200–1.
  3. Williamson, Martin। "Former England allrounder Martin Horton dies"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]