মার্ক ডেকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মার্ক ডেকার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমার্ক হ্যামিল্টন ডেকার
জন্ম (1969-12-05) ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ (বয়স ৫৪)
গাতুমা, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম,
স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৭)
১ ডিসেম্বর ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৬ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক৩১ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই৩ নভেম্বর ১৯৯৬ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯১ - ১৯৯৮মাতাবেলেল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ২৩ ৪৩ ৪১
রানের সংখ্যা ৩৩৩ ৩৭৯ ১,৭৬১ ৭৫৬
ব্যাটিং গড় ১৫.৮৫ ১৮.৯৫ ২৫.৮৯ ২১.০০
১০০/৫০ ০/২ ০/২ ২/১০ ১/৪
সর্বোচ্চ রান ৬৮* ৭৯ ১৬২* ১১৩
বল করেছে ৬০ ৩৪৭ ১,৭৫০ ৭০৬
উইকেট ১৫ ১৮
বোলিং গড় ৩২.২২ ৫৭.৪৬ ৩৪.৮৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/১৬ ২/৪ ২/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/– ৫/– ৪১/– ৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ মার্চ ২০২০

মার্ক হ্যামিল্টন ডেকার (ইংরেজি: Mark Dekker; জন্ম: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯) রোডেশিয়ার গাতুমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে মাতাবেলেল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন মার্ক ডেকার

ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের কেন্ট মহিলা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। এর পরের বছরেই কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব একাডেমির কোচ হিসেবে মার্ক ডেকারকে নিযুক্ত করা হয়।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত মার্ক ডেকারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। খাঁটিমানের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্ক ডেকারের সুনাম ছিল। এছাড়াও, কভার ফিল্ডার হিসেবে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখেন।

১৯৬৯ সালে তৎকালীন রোডেশিয়ার ম্যাশোনাল্যান্ডের গাতুমা এলাকায় মার্ক ডেকারের জন্ম।[১] তার পরিবার পূর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করতো। বুলাওয়েতে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। বুলাওয়ের ক্রিস্টিয়ানি ব্রাদার্স কলেজে পড়াশুনো করেছেন তিনি। সেখানেই তিনি নিয়মিতভাবে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন।[২] জিম্বাবুয়ের অনূর্ধ্ব-১৫ ও জিম্বাবুয়ের বিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান।[২][৩]

বিদ্যালয় জীবন সম্পন্ন করার পর ১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডভিত্তিক সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার ক্রিকেট লীগে ক্রম্পটন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। ১৯৯০ সালে জিম্বাবুয়েতে ওল্ড মিল্টনিয়ান্স ও প্রাদেশিক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলের মর্যাদা প্রাপ্তির পূর্বে মাতাবেলেল্যান্ডে খেলেন।[২] জিম্বাবুয়ের কিশোর দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান বি-দলের মুখোমুখি হন। পরবর্তীতে খেলাটিকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা দেয়া হয়। অন্যান্য সফরকারী দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দূর্দান্ত খেলা উপহার দেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মার্ক ডেকার। ডিসেম্বর, ১৯৯৩ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ তারিখে হারারেতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বেই একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ অক্টোবর, ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিস্ময়করভাবে ওডিআই দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[২]

অভিষেক টেস্টের উভয় ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েন। তবে, ২৪০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে সুবিধে করতে পারেনি। দলের সংগ্রহ ১৩৫/১ থেকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায়। এ দুটি অর্ধ-শতরানই তিনি তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে খেলেছেন। এছাড়াও, তার ব্যাটিং গড় বেশ হতাশাব্যঞ্জক।

জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।[২] পরবর্তীকালে ১৯৯৮ সালে গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ও ২০১১ সালে টিনো ময়ুয়ু তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এ গৌরবের অধিকারী হন।[৪]

কোচিং[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন তিনি। ইংল্যান্ডের কেন্টের টনব্রিজ স্কুলে ক্রিকেট প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ২০১৭ সালে কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের কমিউনিটি ক্রিকেট কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন।[৫] ডিসেম্বর, ২০১৮ সালে কেন্ট মহিলা দলের প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন।[৬] ২০১৯ সালে মহিলাদের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভে নেতৃত্ব দেয়ার পর কেন্ট একাডেমিতে কোচের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর প্রতিভা অন্বেষণ প্রধান ও সাবেক দ্বিতীয় একাদশের কোচ মিন প্যাটেলের সাথে একযোগে কাজ করেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mark Dekker, CricInfo. Retrieved 2018-02-03.
  2. Ward J (1997) Mark Dekker: Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে, Cricinfo Zimbabwe, January 1997. Retrieved 2108-02-03.
  3. Mark Dekker, CricketArchive. Retrieved 2017-02-03.
  4. http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283149.html
  5. Mark Dekker appointed Community Cricket Officer, Kent County Cricket Club, 2017-04-20. Retrieved 2017-11-30.
  6. Former international cricketer to coach Kent Women, Kent County Cricket Club, 2018-12-17. Retrieved 2018-12-18.
  7. Patel appointed Head of Talent Pathway, Kent County Cricket Club, 2019-08-29. Retrieved 2020-01-07.
  8. Hathrill appointed Kent Women Head Coach, Kent County Cricket Club, 2019-11-19. Retrieved 2020-01-07.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]