মায়া ঘোষ (বিপ্লবী)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মায়া ঘোষ
জন্ম২২ এপ্রিল ১৯১৫
মৃত্যু
(বর্তমান ভারত ভারত)
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 ভারত
পেশারাজনীতিবিদ
কর্মজীবন১৯৩০ সাল আইন অমান্য আন্দোলন
১৯৪১ সাল শিক্ষয়িত্রী স্বাধীনতা আন্দোলন
১৯৪৬ সাল নোয়াখালির দাঙ্গা
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • যতীন্দ্রনাথ ঘোষ (পিতা)
  • প্রিয়ম্বদা দেবী (মাতা)

মায়া ঘোষ (২২ এপ্রিল ১৯১৫- ?) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।

জন্ম ও পরিবার[সম্পাদনা]

গণিতের প্রসিদ্ধ অধ্যাপক ও ‘বীজগণিত’- প্রণেতা কে. পি. বসুর দৌহিত্রী মায়া ঘোষ। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন দিল্লীতে ২২ এপ্রিল ১৯১৫ সালে। তার মাতা প্রিয়ম্বদা দেবী ও পিতা যতীন্দ্রনাথ ঘোষ। মায়ার দু’বছর বয়সের সময় তার মায়ের মৃত্যু হয়। তখন তার লালন পালন করার দায়িত্ব তার মাতামহী মেঘমালা দেবী, কে. পি. বসুর স্ত্রী।[১]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেন। এরপরে বিপ্লবী রসিকলাল দাস মায়া ঘোষকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ‘মন্দিরা’র সম্পাদিকা কমলা দাশগুপ্তের সঙ্গে। মায়া মন্দিরা’র কাজ করতে থাকেন প্রাণের পরিপূর্ণ আগ্রহ ও আন্তরিকতা নিয়ে। ১৯৪১ সালে শিক্ষয়িত্রী স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত করার জন্য কাজ শুরু করেন। ১৯৪২ সালে ৩১ আগষ্ট শোভাযাত্রা ও আন্দোলনের পরে সমাবেশ হয়। সেখান থেকে মায়া ঘোষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে মায়া ঘোষ রাজশাহী জেল থেকে মুক্ত হন। রাজবন্দি হিসাবে মায়া জেল খাটেন। ১৯৪৬ সালে নোয়াখালির দাঙ্গার পরে সেখানে তিনি রিলিফের কাজ করতেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২১৬-২১৯। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0