মাজিদিয়াহ মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাজিদিয়াহ মসজিদ
جامع المجيدية
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানবৈরুত, লেবানন
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ

মাজিদিয়াহ মসজিদ (আরবি: جامع المجيدية) লেবানননের বৈরুতে অবস্থিত একটি মসজিদ

পরিদর্শন[সম্পাদনা]

এই ভবনটি মূলত একটি দুর্গ যা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মসজিদে নির্মিত হয় এবং সুলতান আব্দুল মজিদের নামে নামকরণ করা হয়। লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরে ২০০৪ সালে পুনরায় নির্মাণ করা হয়।

নির্মাণ[সম্পাদনা]

মূলত বন্দর উপেক্ষা করে একটি দুর্গ, আল-মাজিদিয়েহ মসজিদটি পরে অটোমান সেনাবাহিনীর অস্ত্রের ম্যাগাজিন এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুদামে রূপান্তরিত হয়। ১৮৪১ সালে বৈরুত নাগরিকদের একটি দল এটি পুনরায় তৈরি করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল, এর পরে পশ্চিম দিকে একটি নতুন ভবন সংযোগ করে। তিন বছর পর তারা এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করে। মসজিদটি ১৯০৬ সালে বড় করা হয়। ১৯৭৪ সালে স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা হয়েছিল। গৃহযুদ্ধের সময় (১৯৭৫-১৯৯০) প্রথম দিকে মসজিদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যুদ্ধ-পরবর্তী আবারো পুনরায় ২০০০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০৪ সালে তা সম্পন্ন হয়। এতে খান আন্তউন বে স্কয়ার থেকে একটি প্রবেশদ্বার পুনঃস্থাপন এবং একটি নতুন, লম্বা মিনার সংযোজন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইতিহাস বর্ণনা[সম্পাদনা]

আল-মাজিদিয়েহ মসজিদটি মূলত একটি দুর্গ ছিল যা বন্দরকে উপেক্ষা করে এবং এটি শহরের প্রাচীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। এটি নির্জন তখন একটি অটোমান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র ম্যাগাজিন এবং কাঠ ব্যবসায়ীদের দ্বারা ব্যবহৃত গুদাম হিসাবে কাজ করে। ১৯৪১ সালে বৈরুত নাগরিকদের একটি দল এটি পূর্ণনির্মাণ করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিল, এর পশ্চিম দিকে একটি নতুন ভবন যুক্ত করেছিল। তারা তিন বছর পরে এটিকে একটি মসজিদে পরিণত করে এবং সুলতান আব্দুল মজিদের সম্মানে এটির নামকরণ করে 'আল-মাজিদিয়াহ'। ১৯০৫ সালে মসজিদটি বড় করা হয়েছিল যখন ১৯ শতকের শেষের দিকে বৈরুতে ফ্যাশনেবল খিলানগুলি এর সম্মুখভাগে যুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে, স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা হয়েছিল। খান আন্তউন বে এবং সউক আল-তাউইলেহের মধ্যে এর অবস্থান এটিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং গৃহযুদ্ধের (১৯৭৫-১৯৯০) প্রথম দিকে মসজিদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধোত্তর পুনরুদ্ধার ২০০০ সালে শুরু হয়েছিল এবং চার বছর পরে সম্পন্ন হয়েছিল। এতে খান আন্তউন বে স্কয়ার থেকে একটি প্রবেশদ্বার পুনঃস্থাপন এবং একটি নতুন, লম্বা মিনার সংযোজন অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সময়রেখা[সম্পাদনা]

  • ১৯৪১: বৈরুত নাগরিকদের একটি দল পশ্চিম দিকে একটি নতুন ভবন যুক্ত করে পোতাশ্রয়কে উপেক্ষা করে একটি দুর্গ পুনরুদ্ধার করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করে।
  • ১৮৪৪: দুর্গটিকে একটি মসজিদে রূপান্তরিত করা হয় এবং সুলতান আব্দুল মজিদের সম্মানে 'আল-মাজিদিয়াহ' নামকরণ করা হয়।
  • ১৯০৬: মসজিদটি বড় করা হয়।
  • ১৯৭৪: পুরো মসজিদের সংস্কার।
  • ১৯৭৫-১৯৯০ : অবস্থানের কারণে গৃহযুদ্ধের সময় মসজিদটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • ২০০০: মসজিদের যুদ্ধোত্তর পুনরুদ্ধার শুরু।
  • ২০০৪: মসজিদ সম্পূর্ণরূপে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Al-Wali, Sheikh Mohammad Taha (1973) Tarikh al-masajid wal jawami’ al-sharifa fi Bayrout, Dar al-Kotob, Beirut.
  • Hallaq, Hassan (1987) Al-tarikh alijtima'i wa al-siyasi wa al-iqtisadi fi Bayrut, [Social, Political and Economic History of Beirut], Dar al-Jami'at, Beirut.
  • Hallaq, Hassan (1987) Bayrut al-mahrousa fil'ahd al-'uthmâni, [Beirut during the Ottoman Period], Dar al-Jami’at, Beirut.
  • Les lieux de culte au Liban. Ministère du Tourisme, Beyrouth.