বিষয়বস্তুতে চলুন

মাইক পিটার্স (সঙ্গীতজ্ঞ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাইক পিটার্স
ইংরেজি: Mike Peters
১৯৮৪ সালে সরাসরি সঙ্গীত পরিবেশনারত পিটার্স
১৯৮৪ সালে সরাসরি সঙ্গীত পরিবেশনারত পিটার্স
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামমাইকেল লেসলি পিটার্স
জন্ম(১৯৫৯-০২-২৫)২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯
প্রেস্টাটিন, ফ্লিন্টশার, ওয়েলস
উদ্ভবরিল, ওয়েলস
মৃত্যু২৯ এপ্রিল ২০২৫(2025-04-29) (বয়স ৬৬)
ডাইজার্থ, ওয়েলস
ধরন
পেশা
  • সঙ্গীতজ্ঞ
  • সঙ্গীতশিল্পী
বাদ্যযন্ত্র
  • কণ্ঠ
  • গিটার
কার্যকাল১৯৭৫–২০২৫
লেবেল
এর পূর্বে

মাইলেল লেসলি পিটার্স এমবিই ডিএল (২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯ – ২৯ এপ্রিল ২০২৫)[] একজন ওয়েলসীয় সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি দি অ্যালার্ম সঙ্গীতদলের প্রধান গায়ক হিসেবে সুপরিচিত। ১৯৯১ সালে দলটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর পিটার্স একক গান লিখেছেন ও পরিবেশন করেছেন। ২০০০ সালে দলটি পুনর্গঠিত হয়। পাশাপাশি তিনি লাভ হোপ ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিগ কান্ট্রি সঙ্গীতদলের প্রধান গায়ক ছিলেন।

২০১৯ সালের নববর্ষ সম্মাননায় ক্যান্সার সেবায় অবদানের জন্য তাকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারের মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট খেতাবে ভূষিত করা হয়।[]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

পিটার্স ১৯৫৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি ওয়েলসের ফ্লিন্টশারের প্রেস্টাটিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দি অ্যালার্ম সঙ্গীতদলের সাবেক সদস্য এডি ম্যাকডোনাল্ডের সাথে রিলের এডওয়ার্ড হেনরি স্ট্রিটে বেড়ে ওঠেন। এই সড়ক তাদের সঙ্গীতদলের একই নামের গানের অনুপ্রেরণা। এই গানে ওয়েলসে তার বেড়ে ওঠার দিনগুলোর বর্ণনা করেছেন।

পিটার্সের প্রথম চাকরি ছিল বিপনি বিতান চেইন কোইক সেভে কম্পিউটার অপারেটর। তিনি একটি পুরনো আইবিএম সিস্টেম/৩ মেইনফ্রেমে কাজ করতেন।[]

সঙ্গীত জীবন

[সম্পাদনা]

পিটার্সের সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ১০ই অক্টোবর[] সেন্ট অ্যাসাফের টালার্ডি হোটেলে তার বোনের ২১তম জন্মদিনের পার্টিতে তার বিদ্যালয়ের সহপাঠিদের নিয়ে গঠিত হেয়ারি হিপি সঙ্গীতদলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। সেই রাতে তাদের পরিবেশিত প্রথম গান ছিল স্মোকি সঙ্গীতদলের "ইফ ইউ থিংক ইউ নো হাউ টু লাভ মি" এর কভার সংস্করণ।

তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সঙ্গীতদল ছিল টয়লেটস, যা তিনি ১৯৭৭ সালে চেস্টারে সেক্স পিস্টলসের পরিবেশনা দেখার পর গঠন করেছিলেন।[] টয়লেটসের সরাসরি পরিবেশিত প্রথম গান ছিল রিলের প্যালেস হোটেলে "নাথিং টু ডু"।

পিটার্স ১৯৭৮ সালে বেজ প্লেয়ার এডি ম্যাকডোনাল্ড, গিটারবাদক ডেভ শার্প ও ড্রামার নাইজেল টুইস্ট-কে (তখন নাইজেল বাকল নামে পরিচিত ছিলেন) নিয়ে একটি সঙ্গীতদল গঠন করেন, যার নাম ছিল সেভেনটিন। ১৯৭৮ সালের ২৭শে মে রিলের বি হোটেলে (বর্তমানে স্টেশন) সেভেনটিনের প্রথম গান "পপ জেনারেশন" পরিবেশিত হয়। ১৯৭৯ সালে ভেন্ডেট্টা লেবেলের পরিবেশনায় "ডোন্ট লেট গো" শীর্ষক একক গান প্রকাশিত হয়।

স্বাস্থ্য ও মৃত্যু

[সম্পাদনা]

পিটার্স তিন দশক ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছেন।[] ১৯৯৫ সালে তার প্রথম লিম্ফোমা ধরা পড়ে।[] ১৯৯৬ সালে পিটার্স লিম্ফ ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভ করেন[] এবং পুনরায় গান রেকর্ড করা ও সফর করা শুরু করেন। তিনি বিবিসি রেডিও ওয়েলসের নিয়মিত অনুষ্ঠান বেডরক উপস্থাপনা করতেন। ২০০৫ সালে টেস্টে ধরা পড়ে যে তিনি ক্রনিক লিফোসাইটিক লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত।[] এইসময়ে তিনি লিউকেমিয়া রোগী ও টেক্সাসের ডালাসের সিএসআই এন্টারটেইনমেন্টের সভাপতি জেমস চিপেনডেলকে নিয়ে লাভ হোপ স্ট্রেংথ ফাউন্ডেশন সহ-প্রতিষ্ঠা করেন। রোগের উপশম লাভের পর ক্যান্সারের সাথে তার লড়াইয়ের ধারাবাহিক গল্প নিয়ে নির্মিত বিবিসি ওয়েলসের একটি প্রামাণ্যচিত্রে তাকে দেখা যায়। প্রামাণ্যচিত্রটি ২০০৬ সালে মাইক পিটার্স অন দ্য রোড টু রিকভারি নামে মুক্তি পায়, যেখান থেকে অর্জিত অর্থের কিছু অংশ তার ফাউন্ডেশনে দান করা হয়।

২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে পিটার্স আরও ৩৮ জন সঙ্গীতজ্ঞ, ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও সমর্থক মিলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে মাউন্ট এভারেস্টের বেজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের ট্রেকিং করে বিশ্বের উচ্চতম কনসার্টের আয়োজন করেন। অন্যান্য সঙ্গীতজ্ঞরা ছিলেন দ্য ফিক্সের সাই কারনিন ও জেমস ওয়েস্ট-ওরাম, স্কুইজের গ্লেন টিলব্রুক, স্ট্রে ক্যাটসের স্লিম জিম ফ্যান্টম ও নিক হারপার। ২০১১ সালে লাভ হোপ স্ট্রেংথ ফাউন্ডেশন ক্যান্সার রোগীদের জীবন বাঁচাতে বোন ম্যারো দানের গুরুত্ব প্রচার করতে মোর টু লিভ ফর চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ঘোষণা দেন তার ক্রনিক লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া ফিরে এসেছে এবং তাকে নর্থ ওয়েলস ক্যান্সার সেন্টারে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।[]

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পিটার্স জানান ম্যানচেস্টারের ক্রিস্টি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি রিখটারের সিনড্রোম থেকে উপশম লাভ করেছেন।[১০][১১] ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি জানান তিনি সম্পূর্ণ উপশম লাভ করেননি এবং ২০২৫ সালের শুরুর দিকে কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর টি-সেল থেরাপি নিয়েছেন।

পিটার্স ২০২৫ সালের ২৮শে এপ্রিল ৬৬ বছর বয়সে দীর্ঘকালীন রোগে ভুগে মৃত্যুবরণ করেন।[১২][১৩]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ইলেইন ওয়েলস (১৭ নভেম্বর ১৯৮৯)। "Alarm Bringing Post-punk Sound To S.L. Tuesday Night"ডেজারেট নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ 
  2. জে ক্রিডলিন (১০ আগস্ট ২০১৮)। "The Alarm didn't become the next U2, but singer Mike Peters isn't complaining on tour"ট্যাম্পা বে নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ 
  3. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে
  4. এইটকেন, ক্যাট্রিওনা (২৯ এপ্রিল ২০২৫)। "Mike Peters: The Alarm singer dies aged 66"বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৫ 
  5. "BBC Wales - Music - Rock and pop - The Alarm - Mike Peters"Web.archive.org। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ 
  6. সুইটিং, অ্যাডাম (৩০ এপ্রিল ২০২৫)। "Mike Peters obituary"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৫ 
  7. আসওয়াদ, জেম (২৯ এপ্রিল ২০২৫)। "Mike Peters, Frontman of the Alarm, Dies at 66 After Three-Decade Battle With Cancer"ভ্যারাইটি। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  8. "BBC Wales – Music – The Alarm – Mike Peters"বিবিসি নিউজ। ২৩ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  9. "A personal message form Mike Peters"। লাভ হোপ স্ট্রেংথ ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  10. হুইটিংহাম, স্টুয়ার্ট। "Rock star in cancer remission after drug trial"বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  11. ইভান্স, টমস। "The Alarm's Mike Peters in cancer remission after NHS drug trial"স্কাই নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  12. ওয়েন্স, ডেভিড (২৯ এপ্রিল ২০২৫)। "Welsh music icon Mike Peters has died"ন্যাশন.সাইমরু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 
  13. "Mike Peters, frontman of The Alarm, sadly loses battle with cancer"কাউন্টি টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৫ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:দি অ্যালার্ম টেমপ্লেট:বিগ কান্ট্রি