নারীদের ভারতীয় সমিতি
১৯১৭ সালে মাদ্রাজের আডিয়ারে মহিলাদের ভারতীয় সমিতি (উইমেন'স ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ডব্লিউআইএ) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন অ্যানি বেসান্ত, মার্গারেট কাজিন্স, ডরোথি জিনরাজদাসা এবং অন্যান্যরা। ১৯ শতক এবং ২০ শতকের গোড়ার দিকে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের যে শোচনীয় অবস্থা ভোগ করতে হয়েছিল, তা থেকে নারীদের মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই সমিতি নিরক্ষরতা, বাল্যবিবাহ, দেবদাসী প্রথা এবং অন্যান্য সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি ক্ষমতাশালী শক্তিতে পরিণত হয়।[১][২] ১৯৩৩ সালে অ্যানি বেসান্তের মৃত্যুর পর, ডরোথি জিনরাজদাস থিওসফিস্টদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরও বেশি জড়িত হয়ে পড়েন। তিনি যে দলটিকে সমর্থন করেছিলেন, তাদের পতন ঘটে এবং সেই সময় থেকে সমস্ত নথিতে তাঁর নাম আসা বন্ধ হয়ে যায়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সংগঠনের অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো বোঝানোর জন্য এর নামটি বেছে নেওয়া হয়েছিল, এই নাম ভারতীয় এবং ইউরোপীয় উভয় মহিলাকেই যোগদানের সুযোগ করে দেয়। এদের সঙ্গে কোনও দর্শন, ধর্ম, বর্ণ বা সামাজিক শ্রেণীর যোগ ছিলনা। ১৯১৭ সালের ৮ মে মার্গারেট ই. কাজিন্স কর্তৃক মাদ্রাজের আডিয়ারে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম সভাপতি ছিলেন অ্যানি বেসান্ত। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে ছিলেন এস. অম্বুজাম্মল, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়, মেরি পুনেন লুকোসে, বেগম হাসরাত মোহানি, সরলাবাই নায়েক, ধন্বন্তী রামা রাউ, মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি, মঙ্গলাম্মল সাদাসিভিয়ার, এবং হীরাবাই টাটা।[৩][৪]
প্রতিষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল ৩৩টি শাখা নিয়ে। ১৯২২ সাল নাগাদ শাখার সংখ্যা বেড়ে হয় ৪৩ এবং সভ্যসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২২০০তে। আরও দুই বছরের মধ্যে ১৮টি কেন্দ্রে ৫১টি শাখায় সভ্যসংখ্যা হয় ২৭০০। এই সংস্থাটি প্রথম সারা ভারতের নারীর জন্য তাদের দরজা খুলেছিল।[৩]
স্ত্রী ধর্ম
[সম্পাদনা]স্ত্রী ধর্ম ছিল "ডব্লিউআইএ" কর্তৃক প্রকাশিত একটি জার্নাল, যেখানে ডব্লিউআইএ -এর আদর্শ ও বিশ্বাসের কথা প্রকাশিত হত। এটি ভারতের নারীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারীদের অর্জনগুলিকেও তুলে ধরত।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- উইমেন'স ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন। (১৯৬৭)। উইমেন'স ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী, ১৯১৭-১৯৬৭। মাদ্রাজ: ডব্লিউআইএ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- মহিলা ভারতীয় সমিতি। (১৯৬৭)। মহিলা ভারতীয় সমিতি, মাদ্রাজ, ভারত: সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন, ১৯১৭ থেকে ১৯৬৭। মাদ্রাজ: ডব্লিউআইএ
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ব্রিটিশ লাইব্রেরি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে থেকে পাওয়া যাচ্ছে স্ত্রী ধর্ম।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Sudarkodi, S. (১৯৯৭)। "The Women's Indian Association and the Emancipation of Women in the Madras Presidency": ৭৪২–৭৪৩। জেস্টোর 44144004।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ Reddi, S. Muthulakshmi (১৪ আগস্ট ২০১৫) [August 15, 1947]। "Emancipation of Women"। The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৯।
- 1 2 "Women's Indian Association"। Indian Culture Portal। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "August 2022" (পিডিএফ)। Chahal Academy। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।