মহিউদ্দিন আহমেদ
মহিউদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
সভাপতি, (ভারপ্রাপ্ত) পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন | |
কাজের মেয়াদ ২১ অক্টোবর ১৯৬২ – ৩১ মার্চ ১৯৬৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | জলঙ্গী, মুর্শিদাবাদ জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সী, ব্রিটিশ ভারত | ১ জানুয়ারি ১৯৩৮
মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ২০০০ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৬২)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (১৯৬৬ সালের পূর্বে) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) (১৯৬৬–১৯৭৯) |
দাম্পত্য সঙ্গী | রায়হান আখতার বানু (রনি)(বিবাহ ১৯৭০) |
মাতা | গুলশান নেশা |
পিতা | মোহাম্মদ মোবারক হোসেন |
বাসস্থান | সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা, বাংলাদেশ |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,[১] |
পেশা | রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক |
ধর্ম | ইসলাম |
মহিউদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৩৮ - মৃত্যু: ৪ জানুয়ারি ২০০০)[২] হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা, যিনি রাজশাহীর মহিউদ্দিন নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়াও তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।[২][৩]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,[১] রাজশাহী কলেজ এবং রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সাবেক ছাত্র । স্বাধীন বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন তথা বর্তমানের বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের [৪] একজন ছাত্র নেতা ছিলেন তিনি ।[৫] ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ততার কারণে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে কিশোর মহিউদ্দিন পাকিস্তান পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হন। ছাত্রজীবনোত্তর তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী-এর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রগামী নেতা। [৪] বিরোধী রাজনৈতিক দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)- এর নেতা হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সংগঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।[৩] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক হিসাবেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন মহিউদ্দিন ।
ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ৩০ আগস্ট ১৯৭০ সালে আহমেদ নওগাঁ জেলার তৎকালীন ছাত্রনেত্রী (পরবর্তীতে সংসদ সদস্য) রায়হান আখতার বানু (রনি)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র (জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ) এবং এক কন্যা (সোমা আহমেদ) রয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Muhammad Quamrul Islam (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Remembering Kazi Zafar Ahmed"। Daily Sun (Bangladesh)। Dhaka।
- ↑ ক খ "Mohiuddin Ahmed dies"। The Daily Star (Bangladesh)। Dhaka। ৫ জানুয়ারি ২০০০।
- ↑ ক খ Muhammad Quamrul Islam (২৯ জানুয়ারি ২০১৫)। "Observance of Shaheed Asad Day vis-à-vis Bangladesh To-Day"। দ্য নিউজ টুডে। ঢাকা।
- ↑ ক খ Quazi Faruque Ahmed (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Education Policy 2010 and '62 education movement"। The Daily Star। Dhaka।
- ↑ মাহফুজ উল্লাহ (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন গৌরবের দিনলিপি(১৯৫২-১৯৭১)"। ঢাকা: অ্যাডর্ন বুকস লিমিটেড। আইএসবিএন 978 984 20 0295-3।