মহাবিল্বম
মহাবিল্বম மாம்பலம் মাম্বলম | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°০২′২৯″ উত্তর ৮০°১৩′৫৯″ পূর্ব / ১৩.০৪১৪° উত্তর ৮০.২৩৩০° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই |
মহানগর | চেন্নাই |
অঞ্চল | কোটমবক্কম |
ওয়ার্ড | ১৩৩, ১৩৫, ১৪০ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৬০০০৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-09 (টিএন-০৯) |
লোকসভা নির্বাচন কেন্দ্র | চেন্নাই দক্ষিণ |
বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র | ত্যাগরায়নগর, সঈদাপেট |
মহাবিল্বম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার একটি আবাসিক ও অর্থনৈতিক অঞ্চল৷ এটি দোকান, বাজার ও হিন্দু মন্দিরের জন্য পরিচিত৷ এর উত্তর দিকে রয়েছে কোটমবক্কম, দক্ষিণ দিকে রয়েছে সঈদাপেট, পূর্ব দিকে রয়েছে ত্যাগরায়নগর ও নন্দনম এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে অশোকনগর৷ অযোধ্যা মণ্ডপম মিলনক্ষেত্র মহাবিল্বমের ল্যান্ডমার্ক৷
নামকরণ
[সম্পাদনা]মনে করা হয় স্থানীয় মাম্বলম নামটি এসেছে সংস্কৃত মহাবিল্বম নাম থেকে৷ বিল্ব শব্দের অর্থ বেলপাতা এবং মহাবিল্বম বলতে পূণ্য বেলপাতা বিষয়ক৷ জনশ্রুতি রয়েছে ঐ স্থানে বহু বেল গাছ ছিল৷ মহাবিল্বম থেকে মাবিলম ও পরে মাম্বলম নাম এসে থাকতে পারে৷[১]
বর্তমান মহাবিল্বম মৈলাই মেল অম্বলম অর্থাৎ মৈলাই বা মাবিলমের পশ্চিমাংশ নামে পরিচিত ছিল৷ রেললাইনঅপাতার পর মহাবিল্বম পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ হয়ে যায়৷ পূর্ব অংশে নতুন নামকরণ করা হয় ত্যাগরায়নগর এবং পশ্চিম অংশ পশ্চিম মাম্বলম বা মহাবিল্বম নামে রয়ে যায়৷
ইতিহাস
[সম্পাদনা]চেন্নাই তথা তৎকালীন মাদ্রাজ শহরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বে মহাবিল্বম ছিল চিঙ্গলপৎ জেলার সঈদাপেট তালুকের একটি গ্রাম মাত্র।[২] ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দের একটি শিলার তৈরি ফলক যা কোজা পেট্রাস উসকান দ্বারা আদিয়ার নদীর ওপর মারাইমালাই আদিগল উড়ালপুর (পূর্ব নাম মার্মালং ব্রিজ) তৈরীর স্মৃতিচারণ করে, এটি সর্ব পুরাতন প্রমাণ যেখানে মাম্বলম নামের উল্লেখ রয়েছে। এই উড়ালপুলের মার্মালং ব্রিজ নামটি এসেছে মাম্বলম থেকেই। মহাবিল্বম গ্রাম ওই সময়ে ছিল এক তেলুগু ভাষী রেড্ডি পদবী বিশিষ্ট পরিবারের জমিদারির অংশ।
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ-কাঞ্চীপুরম রেলরোডের পথে মাম্বলম রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের পর থেকে মহাবিল্বমের নগরায়ন শুরু হয়। [৩] ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে মাদ্রাজ শহরের পশ্চিম দিক থেকে "লং ট্যাংক" নামে একটি নালা খনন করা হয়।[৩] ওই বছরই পূর্বোক্ত তেলুগুভাষী জমিদার ব্রিটিশ কোম্পানিকে তার জমিদারি অর্পণ করে।[৪] ১৯২৩-২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বৃহত্তর মহাবিল্বম থেকে ফোন করা হয় নতুন শহরতলী ত্যাগরায়নগর। এরপর মহাবিল্বম ও ত্যাগরায়নগরের ১.০০৮ বর্গমাইল এলাকা মাদ্রাজ শহরের মহাবিল্বম বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫] যথেষ্ট বাস পরিষেবার মাধ্যমে মহাবিল্বম চেন্নাইয়ের একাধিক স্থানের সঙ্গে যুক্ত৷[৫] এলাকার চতুর্দিকে রয়েছে আর্য গৌড়া রোড, যা জনপ্রিয় বডাগা জাতির নেতা ও রাজনীতিবিদ এইচ বি অরি গৌড়ার নামে নামাঙ্কিত৷ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে মহাবিল্বম চেন্নার পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়৷
পরিবহন
[সম্পাদনা]এই লোকালয়ে রয়েছে মাম্বলম রেলওয়ে স্টেশন, যা চেন্নাই সেন্ট্রাল, এগমোর ও তাম্বরমের পর চেন্নাইয়ের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন৷ নিকটতম বাস টার্মিনাসটি ত্যাগরায়নগরে অবস্থিত৷ বাস পরিষেবার মাধ্যমে মহাবিল্বম কে কে নগর, বড়পালনি, আইয়াপ্পানতাঙ্গল, পুন্তমল্লী, ব্রডওয়ে, ময়িলাপুর, রঙ্গরাজাপুরম, শালিগ্রামম, বেসান্তনগর, তারামণি, গিণ্ডি, পট্টাবিরাম, কুন্দ্রতুর প্রভৃতি অঞ্চলের সাথে যুক্ত৷ চেন্নাই মেট্রোর সবুজ লাইনের অশোকনগর মেট্রো স্টেশন মহাবিল্বমের নিকটতম৷
বিশিষ্ট ব্যক্তি
[সম্পাদনা]- রবিচন্দ্রন অশ্বিন: ভারতীয় ক্রীড়াবিদ ক্রিকেটর
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "When the postman knocked…"। The Hindu। ২৬ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ Alphabetical list of villages in taluks and districts of Madras Presidency। ১৯৩০। পৃষ্ঠা 103।
- ↑ ক খ Varghese, Nina (২৯ আগস্ট ২০০৬)। "T.Nagar: Shop till you drop, and then shop some more"। The Hindu Business Line।
- ↑ The Journal of Asian studies, Volume 58। Association of Asian Studies। ১৯৯৯। পৃষ্ঠা 658।
- ↑ ক খ Srinivasachari, C. S.; Runganadhan, S. E. (১৯৩৯)। History of the City of Madras: Written for the Tercentenary Celebration Committee। Madras: P. Varadachary and Co। পৃষ্ঠা 287।