মহাকাশে নারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ট্রাসি ক্ল্যাডওয়েল ডাইসন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন কুপোলা থেকে পৃথিবী প্রদর্শন করছেন, ২০১০
এসটিএস-৪৭ স্পেসল্যাবে মায়ে জেমিসন, ১৯৯২
ক্যাথেরিন কোলম্যান আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বাঁশরী বাজাচ্ছেন, ২০১১

বিভিন্ন দেশ তথা জাতির নারীগণ মহাকাশ অভিযানে সামিল হয়েছেন। মহাকাশে বিশ্বের প্রথম নারী সোভিয়েত মহাকাশচারী ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জুন মহাকাশ যাত্রা করেন। এরপর মহাকাশযাত্রায় নারীদের যোগদানে বিলম্ব হয়েছিল, এবং ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের দশকে আবার নারীদের মহাকাশ অভিযান শুরু হয়।[১] মহাকাশে নারীদের বেশির ভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, যাঁরা স্পেস শাটল অভিযানে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সফর করেছেন। গণচিন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - এই তিনটে দেশ নারীদের নিয়ে মহাকাশ প্রকল্পের কাজ জারি রেখেছে। এছাড়াও, অন্য অনেক দেশ যেমন, — কানাডা, ফ্রান্স, ভারত, ইরান, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাজ্য — রাশিয়া কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ মিশনে নারীদের কক্ষপথ অথবা মহাকাশে পাঠিয়েছে।

পুরুষদের মতো নারীদেরও মহাকাশে সমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল: পৃথিবীর বাইরের অবস্থায় শারীরিক অসুবিধে দেখা দিয়েছিল এবং অন্তরণ ও বিচ্ছেদের ফলে মানসিক চাপ বেড়েছিল। স্বল্প পরিসরের মহাকাশ অভিযানে স্ত্রীজাতীয় উভচর এবং মনুষ্যেতর স্তন্যপায়ীদের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মহাকাশ কার্যক্রমে নারীগণ[সম্পাদনা]

মহাকাশে প্রথম নারী ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা, ১৯৬৯

যদিও ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে নারী প্রথম মহাকাশে উড্ডয়ন করে, এটা ছিল অনেক আগের মানব মহাকাশ যাত্রা, ঠিক তার পরবর্তী উড্ডয়ন সংঘটিত করতে আরো প্রায় ২০ বছর লেগে গিয়েছিল।

১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের দশকের প্রথমদিকে যখন একাধিক মার্কিন নারী মহাকাশচারী মনোনয়নের পদ্ধতিতে যোগ দিয়েছিলেন - এবং সফল হয়েছিলেন - তাঁরা মহাকাশচারী হিসেবে যোগ্য ছিলেননা: সকল মহাকাশচারীর মিলিটারি টেস্ট পাইলটের যোগ্যতা থাকতে হোত, যে পেশা সেই সময় নারীদের কাছে সহজলভ্য ছিলনা।[২]

১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে সেই সময়কার নতুন নারীদের প্রতি বৈষম্যবিরোধী আইনের নিরিখে নাসা নারী আবেদনকারীদের কাছে মহাকাশ কার্যক্রমের সুযোগ দিয়েছিল। যখন স্যালি রাইড প্রথম মার্কিন মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে যাবেন, সাংবাদিকরা তাঁকে তাঁর প্রজনন অঙ্গসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন এবং এই কাজে কোনো অসুবিধে হলে তিনি কষ্ট পাবেন কিনা।[৩]

সন্তানের মায়েদেরও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় কী করে তাঁরা মাতৃত্বের ঐতিহ্যবাহী প্রত্যাশার সঙ্গে তুলনা করবেন।[৪] আমেরিকান নারী মহাকাশচারীদের প্রথম গোষ্ঠীতে থাকা শ্যানন লুসিডের স্মরণে আছে যে, সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যখন তিনি মহাকাশে থাকেন তাঁর সন্তানরা কেমন থাকবে।[৫] নারীরা প্রায়ই প্রধানত সন্তান-পালনের জন্যে দায়বদ্ধ, যেটা তাদের পেশায় প্রভাব ফেলতে পরে।[৬]

সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়াসহ)[সম্পাদনা]

একজন সোভিয়েত মহাকাশচারী হলেন মহাকাশে প্রথম নারী। ভ্যালেন্তিনা নিকোলায়েভা তেরেশকোভা ১৯৬৩ খ্রস্টাব্দের ১৬ জুন ভোস্তক ৬ উড্ডয়নে মহাকাশ অভিযান করেন।

মহাকাশে দ্বিতীয় নারীও হলেন একজন সোভিয়েত মহাকাশচারী; স্ভেৎলানা সাভিৎস্কায়া, যিনি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে সোইয়ুজ টি-৭ অভিযানে মহাকাশে সফর করেন। সাভিৎস্কায়া ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুলাই সোইয়ুজ টি-১২ অভিযানে মহাকাশে দ্বিতীয় বার উড্ডয়নকারী প্রথম নারী এবং সোইয়ুজ টি-১২ অভিযানে স্যালিউৎ ৭ মহাকাশ স্টেশনের বাইরে এক্সট্রা ভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ইভিএ) প্রদর্শনকারী হিসেবে মহাকাশে পদচারণা করা প্রথম নারী।[৭]

সোভিয়েত-পরবর্তী রাশিয়া[সম্পাদনা]

রাশিয়ার ইয়েলেনা ভি কোন্দাকোভা হলেন প্রথম নারী যিনি সোইয়ুজ কার্যক্রমে এবং স্পেস শাটলে সওয়ারি হয়ে মহাকাশ সফর করেছেন। ইয়েলেনা সেরোভা ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম রাশিয়ান নারী মহাকাশচারী হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে ভ্রমণ করেছিলেন।[৮]

রাশিয়ান মহাকাশ কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক নারী মহাকাশচারীদেরও সামিল করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্য থেকে হেলেন শারম্যান (১৯৯১), ফ্রান্স থেকে ক্লডি হেইগনার (১৯৯৬ ও ২০০১), ইরান থেকে অনউশেহ্ আনসারি (২০০৬), দক্ষিণ কোরিয়া থেকে য়েই সো-ইয়েন (২০০৮) এবং ইতালি থেকে সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি (২০১৪) এই গোষ্ঠীতে ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]

১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে কক্ষপথে স্পেস শাটল ডিসকভারি মহাকাশযানে মিশন স্পেশালিস্ট হিসেবে জুডিথ রেসনিক। পরবর্তীকালে দেড় বছরের আগে চ্যালেঞ্জার মহাকাশযানে সওয়ারি হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো নারীকে মহাকাশে পাঠানো হয়নি, যখন কিনা মহাকাশচারী স্যালি রাইড সেভেন্থ স্পেস স্যাটেলাইট মিশন মহাকাশযানে সওয়ারি হয়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন। তখন থেকে ৪০ জনের বেশি মার্কিন নারী মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। এঁদের বেশির ভাগই ১৯৮৩ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন স্পেস শাটল উড়ানের মাধ্যমে অভিযান করেছেন।

স্যালি রাইড পৃথিবীর তৃতীয় নারী হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন।[৯] রাইড ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৮ থেকে ২৪ জুন এসটিএস-৭ মিশনে কাজ করেন।[৯] জুডিথ রেসনিক দ্বিতীয় মার্কিন এবং বিশ্বের চতুর্থ নারী মহাকাশচারী, যিনি ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর ডিসকভারি|ডিসকভারির মেইডেন ভয়েজ যানের মিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন,[১০] পরবর্তীতে বছর দেড়েকের কম সময়ের মধ্যে যখন স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল সেই সময় তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। ক্যাথরিন ("ক্যাথি") সুলিভান একটা এসটিএস-৪১-জি ইভিএ যানে প্রথম নারী ছিলেন, যে মহাকাশযান ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১১ অক্টোবর উৎক্ষিপ্ত হয়েছিল।[১১] আইলীন কলিন্স স্পেস শাটল চালনার প্রথম নারী পাইলট ছিলেন যিনি এসটিএস-৬৩ যানে ডিসকভারি এবং এসটিএস-৮৪ যানে আটল্যান্টিস চালনা করেছিলেন এবং এসটিএস-৯৩ যানে তিনি প্রথম নারী শাটল কম্যান্ডার হয়েছিলেন।

২০০১ খ্রিস্টাব্দের মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত সচল থাকা এক্সপেডিশন ২ কার্যক্রমে সুসান হেল্মস একজন আইএসএস এক্সপেডিশন ক্রু হিসেবে প্রথম নারী ছিলেন।[১২] যুক্তরাষ্ট্রের নাসা মহাকাশচারী ক্যাথলিন রুবিন্স হলেন মহাকাশে উড্ডয়ন করা ৬০তম নারী যিনি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুলাই এক্সপেডিশন ৪৮ এবং এক্সপেডিশন ৪৯ কার্যক্রমে একজন ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে সফর করেন।[১৩] এইসব অভিযানের অঙ্গ হিসেবে মহাকাশে ইভিএ-তে ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট এবং মহাকাশে ১১৫ দিন, ১২ ঘণ্টা ও ৪৬ মিনিট অবস্থান করে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন।[১৪] ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অবস্থানকালে তিনি জীবনবিজ্ঞানের কিছু ক্ষেত্র সমেত একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষাও পরিচালনা করেছিলেন।[১৫] প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশে তিনি ডিএনএ অনুক্রম করেন।[১৬]

নাসা ফটো পোর্ট্রেট কমলা পোশাকে কল্পনা চাওলা

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছাড়াও এই দেশের রকেটের সাহায্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। কানাডা থেকে রোবার্তা বন্ডার (১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে) এবং জুলি পায়েটি (১৯৯৯ ও ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে); ভারতের কল্পনা চাওলা (১৯৯৭ ও ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে) ( কল্পনা চাওলা মোট ৩১ দিন, ১৪ ঘণ্টা, ৫৪ মিনিট মহাকাশে অবস্থান করেছিলেন।[১৭]) এবং জাপানের চিয়াকি মুকাই (১৯৯৪ ও ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে) এবং নায়োকো ইয়ামাজাকি (২০১০ খ্রিস্টাব্দে) যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উড্ডয়ন করেছিলেন।

সুনীতা পাণ্ড্য লিন উইলিয়ামস হলেন মহকাশ স্টেশন থেকে ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেওয়া প্রথম ব্যক্তি, এপ্রিল ১৬, ২০০৭

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা পাণ্ড্য লিন উইলিয়ামস সাতবার মিলিয়ে সাকুল্যে ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট মহাকাশে পদচারণা করেছিলেন।[১৮] ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ এপ্রিল তিনি বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশেই ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছিলেন।[১৯] এছাড়া নারী মহাকাশচারী হিসেবে সুনীতার আরো রেকর্ড হল: সবচেয়ে বেশি চার বার মহাকাশে গিয়েছেন এবং একটানা সবচেয়ে বেশি ১৯৫ দিন মহাকাশে অবস্থান করেছেন।[২০]

মহাকাশ কার্যক্রমে আগ্রহ নিয়ে উচ্চস্তরের অন্য একাধিক মহিলা অবদান রেখেছেন। ২০০০ খ্রিস্টাব্দের দশকের গোড়ার দিকে লরি গারভার ব্যবসায়িক মহাকাশ উড্ডয়ন কার্যক্রমের দৃশ্যমানতা এবং কার্যকরতা বৃদ্ধির জন্যে "অ্যাস্ট্রোমম" প্রকল্পের সঙ্গে একটা প্রকল্পে উদ্যোগী হন। তাঁর লক্ষ্য ছিল অব্যবহৃত সোয়ুজ মহাকাশযানকে কাজে লাগিয়ে ইন্টরন্যাশনাল স্পেস ক্র্যাফট প্রকল্প ব্যবহার করা; কারণ "...আমরা আমাদের জীবৎকালে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে অবশ্যই মহাকাশ-ভাড়ার সভ্যতা গড়ে তুলব।"[২১]

২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ অক্টোবর জেসিকা মেয়ার এবং ক্রিস্টিনা কোচ কেবলমাত্র নারী পরিচালিত প্রথম মহাকাশ পদচারণা সংঘটিত করেন।

২০২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নাসা আর্টেমিস কার্যক্রমে চাঁদে নারী মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।

কানাডা[সম্পাদনা]

২০০৯ খ্রিস্টাব্দে মহাকাশে কানাডিয়ান মহাকাশচারী জুলি পায়েটি (STS-127)

রোবার্তা বন্ডার ছিলেন মহাকাশে প্রথম কানাডিয়ান নারী এবং দ্বিতীয় কানাডিয়ান। তিনি ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে স্পেস শাটল ডিসকভারি মহাকাশযানে উড্ডয়ন করেছিলেন।[২২]

মন্ট্রিয়াল থেকে আরেকজন কানাডিয়ান নারী মহাকাশচারী হলেন জুলি পায়েটি। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত স্পেস শাটল ডিসকভারি-এর ওপর এসটিএস-৯৬ চালকের একজন ছিলেন। চালক হস্তচালিত ডকিংয়ের সাহায্যে স্পেস শাটলকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে সংস্থাপন করেন এবং ওই স্টেশনে চার টন ওজনের বিভিন্ন সরবরাহ হাজির করেছিলেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে এসটিএস-১২৭ অভিযানের এন্ডিভার মহাকাশযানে পায়েটি মিশন স্পেশালিস্টের কাজ করেছিলেন। তাঁর প্রধান দায়িত্ব ছিল মহাকাশ স্টেশন থেকে কানাডার্ম রোবোটিক আর্ম পরিচালনা করা।[২৩] পায়েটি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর ২৯তম কানাডার গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন।

জাপান[সম্পাদনা]

নাসা জনসন স্পেস সেন্টারে নোয়াকো ইয়ামাজাকি,২০০৯

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ফার্স্ট মেটিরিয়াল টেস্ট (স্পেসল্যাব-জে) কাজের জন্যে যে এসটিএস-৪৭ মহাকাশ উড্ডয়ন হয়েছিল সেখানে তিনজন জাপানি পেলোড স্পেশালিস্ট প্রার্থীর মধ্যে থেকে ১৯৮৫-তে মনোনীত হয়েছিলেন চিয়াকি মুকাই। তিনি নিউরোল্যাব (এসটিএস-৯০) মিশনের জন্যে ব্যাক-আপ পেলোড স্পেশালিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। মুকাই মহাকাশে ৫৬৬ ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করেছেন। তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে এসটিএস-৬৫ এবং ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে এসটিএস-৯৫ উড়ানেও উড্ডয়ন করেছেন। তিনি মহাকাশে উড্ডয়নকারী প্রথম জাপানি নারী এবং প্রথম জাপানি নাগরিক হিসেবে দ্বিতীয় বার মহাকাশে গিয়েছেন।[২৪]

২০১০ খ্রিস্টাব্দের ৫ এপ্রিল মহাকাশে উড্ডয়নকারী নোয়াকো ইয়ামাজাকি হলেন দ্বিতীয় জাপানি নারী। শাটল ডিসকভারি মহাকাশযানে এসটিএস-131 অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি মহাকাশে প্রবেশ করেছিলেন। ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২০ এপ্রিল তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন।[২৫][২৬][২৭][২৮] ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের দশকে ইয়ামাজাকি আইএসএস হার্ডওয়্যার উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। তিনি একজন এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়র এবং এই বিষয়ে তিনি মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।[২৯] তিনি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে মহাকাশচারী ট্রেনিংয়ে মনোনীত হন এবং ২০০১ খ্রিস্টাব্দে প্রশংসিত হয়েছিলেন।[৩০] তিনি ২০১০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর স্পেস শাটল উড্ডয়নে মিশন স্পেশালিস্ট ছিলেন এবং ৩৬২ ঘণ্টা মহাকাশে অবস্থান করেছিলেন।[৩০] ইয়ামাজাকি রোবোটিক্সের ওপর কাজ করেছিলেন এবং ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে যখন এনএএসডিএ (ন্যাশনাল স্পেস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) (ইন্সটিটিউট অফ স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সায়েন্স) এবং এনএএল (ন্যাশনাল এয়ারোস্পেস ল্যাবরেটরি অফ জাপান)-এর সঙ্গ মিলিত হয় তখন জাপানি মহাকাশ উড্ডয়ন সংস্থার পুনর্গঠনের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।[৩০] নতুন সংস্থার নাম হয় জেএএক্সএ (জাপান এয়ারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি)।[৩০]

চিন[সম্পাদনা]

মূল প্রবন্ধ: মহাকাশে চিনা নারী

চিনা মহাকাশ কার্যক্রম ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মহাকাশে তাদের প্রথম নারী প্রেরণ করেছিল।

লিউ ইয়াং, মহাকাশে প্রথম চিনা নারী

২০১০ খ্রিস্টাব্দে ফাইটার পাইলট পদধিকারী, প্রয়োজনীয় বিবাহিত মায়েদের মধ্যে থেকে চিনের প্রথম নারী মহাকাশচারী প্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছিল।[৩১] চিনারা বলে যে, বিবহিত নারীগণ "শারীরিক এবং মানসিকভাবে অধিক পরিপক্ব", কেননা, নিয়মমতো তাদের সন্তান ছিল বলে মহাকাশ উড্ডয়নে (ভ্রূণ সহ) তাদের প্রজনন অঙ্গের ক্ষতিতেও কিছু হয়না।[৩২] মহাকাশ উড্ডয়নের কারণে নারীদের ওপর ফলিত অজানা প্রকৃতি তারা লক্ষ করেছিল।[৩২] যাই হোক, চায়না অ্যাস্ট্রোনট সেন্টারের নির্দেশক বলেছিলেন যে, বিবাহ একটা পছন্দের বিষয়, কিন্তু কঠোর সীমাবদ্ধতা নয়।[৩৩] তারা এব্যাপারে এমনই কঠোর ছিল যে কারণে তাদের এই প্রথম মহাকাশচারী বাছাইপর্বে তারা "অতিরিক্ত সতর্ক" হয়েছিল।[৩২] চিনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং বিবাহিত ছিলেন কিন্তু উড্ডয়নের সময়ে ২০১২ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে তাঁর কোনো সন্তান ছিলনা।[৩৪][৩৫]

অতিরিক্ত জাতীয়তা[সম্পাদনা]

মহাকাশ পর্যটক নারী[সম্পাদনা]

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন-এর জভেজদা সার্ভিস মডিউলে আনসারি একটা বাড়ন্ত গাছ ধরে আছেন

অনউশেহ আনসারি সাকুল্যে নিজ-খরচে চতুর্থ মহাকাশ পর্যটক ছিলেন, এবং প্রথম নিজ-খরচে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন উড্ডয়ন করা প্রথম নারী। তিনি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে সোয়ুজ টিএমএ-৯ মহাকাশযানে উড্ডয়ন করে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন।[৩৬] বাইকোনুর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তাঁর মিশন চালু হয় সেপ্টেম্বর ১৮, ২০০৬ এমএসডি ০৮:০৯ ঘণ্টায় (০৪:০৯ ঘণ্টা ইউটিসি), আইএসএস-এ পৌঁছিয়েছিলেন এমএসডি ০৯:২১ ঘণ্টা (০৫:২১ ইউটিসি) ২০ সেপ্টেম্বরে, এবং পৃথিবীতে ফিরে আসেন ২১ এপ্রিল, ২০০৭। সোয়ুজ টিএমএ আইএসএস এক্সপেডিশন ১৪ আনসারিসহ অভিযানের দুই-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিকে মহাকাশ স্টেশনে পরিবাহিত করেছিল।[৩৭] আনসারি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পক্ষে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন।[৩৮]

২০১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চারজন নারী স্পেস ফ্লাইট পার্টিসিপ্যান্টস শ্রেণিভুক্ত হয়েছিলেন: হেলেন শারম্যান, ক্লডি হেইগনার (বর্ন আন্দ্রে-দেশায়স), অনউশেহ আনসারি, এবং য়েই সো-ইয়েন[৩৯]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

এসটিএস-৫১-এল চালকদ্বয় জুডিথ এ রেসনিক এবং ক্রিস্টা ম্যাকঅলিফ চ্যালেঞ্জার বিপর্যয়ের আগে

উৎক্ষেপণের দু-মিনিটের কম সময়ের পর যখন স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার বিস্ফোরিত হয়েছিল তখন সব দিক থেকে ক্ষতি হয়ে পেলোড স্পেশালিস্ট ক্রিস্টা ম্যাকঅলিফ এবং মিশন স্পেশালিস্ট জুডিথ রেসনিক মহাকাশ অভিযানে প্রথম নারীদ্বয় যাঁরা মৃত্যুমুখে পতিত হন।[৪০][৪১][৪২][৪৩][৪৪]

২০০৩ খ্রিস্টাব্দে স্পেস শাটল কলম্বিয়া বিপর্যয় হলে মিশন স্পেশালিস্ট কল্পনা চাওলা এবং লরেল ক্লার্কসহ চালকদের প্রত্যাবর্তনের সময় হারাতে হয়েছিল।[৪৫]

নারীদের ওপর মহাকাশের প্রভাব[সম্পাদনা]

মূল প্রবন্ধ: মানব শরীরে মহাকাশ উড্ডয়নের প্রভাব

মহাকাশচারী মার্শা আইভিন্স মহাকাশে তাঁর চুলে জিরো-জিয়ের প্রভাব দেখাচ্ছেন

পুরুষদের মতো নারী মহাকাশচারীদেরও মহাকাশ সফরে সমান শারীরিক প্রভাব দেখা যায়। এর মধ্যে থাকে ভরশূন্যতার জন্যে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন যেমন হাড় এবং পেশির ভর কম, মহাজাগতিক রশ্মি থেকে স্বাস্থ্যহানি, শূন্যস্থান এবং তাপ থেকে বিপদসমূহ, এবং মানসিক চাপ।

নাসার প্রাথমিক প্রতিবেদনে যুক্তি ছিল যে, ঋতুস্রাব হলে ভয়ানক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং কর্মদক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যদিও বর্তমানে এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গিয়েছে।[৪৬][৪৭]

বিকিরণের দ্বারা পুরুষ এবং নারী উভয়েই প্রভাবিত হয়। যাইহোক, সাম্প্রতিক এন্ডোমেট্রিয়াল, জরায়ু এবং স্তন ক্যান্সরের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ মডেল ব্যবহারের ফলে, নাসাতে বিভিন্ন অভিযানে পুরুষদের চেয়ে নারীরা মাত্র অর্ধেক সময় যাপন করতে পারে, যে কারণে পুরুষদের তুলনায় নারীদের পেশাগত বিকল্পে সীমাবদ্ধতা থেকে যায়।[৪৮]

মহাকাশে গর্ভাবস্থার বৈজ্ঞানিক গবেষণা[সম্পাদনা]

এমএসএলতে পৃথিবী থেকে মঙ্গলে অভিযানকালে রাড দ্বারা নির্ধারণ করা পরিমাণ সহ বিকিরণের মাত্রার তুলনা, ২০১১-২০১৩।[৪৯][৫০][৫১][৫২]

গর্ভাবস্থা[সম্পাদনা]

নাসা গর্ভবতী কোনো মহাকাশচারীকে মহাকাশ উড্ডয়নে অনুমতি দেয়না,[৫৩] এবং মশাকাশে কোনো গর্ভবতী নারী ছিলনা। [৫৪] যাইহোক, গর্ভাবস্থার কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে নানারকম বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়েছে।[৫৪]

বিকিরণের প্রকাশ চিন্তার বিষয়। আকাশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গর্ভাবস্থার জন্যে মোট ১ mSv সীমার সুপারিশ করে, এবং এটা মাসে ০.৫ mSv-এর বেশি নয়।[৫৫] অ্যাপোলো এবং স্কাইল্যাব মিশনের মহাকাশচরীগণ প্রতিদিন গড়ে যথাক্রমে ১.২ mSv এবং ১.৪ mSv গ্রহণ করেছিলেন।[৫৬] আইএসএস পর্যন্ত দৈনিক গড় বিকিরণ ০.৪ mSv[৫৭] (বছরে ১৫০ mSv), যদিও লাগাতার চালক আবর্তনে ব্যক্তিগত ঝুঁকি কম থাকে।[৫৮] ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইম্পোটেন্স রিসার্চ এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, স্বল্পকালীন মিশনে (ন-দিনের বেশি মেয়াদের না) "মহাকাশচারীদের 'গর্ভধারণ এবং যথাসময়ে সুস্থ সন্তান সহ্য করার ক্ষমতা' ক্ষতিগ্রস্ত হোতনা।"[৫৯] অন্য এক পরীক্ষায় একটা ব্যাং জেনোপাস লেভিস মহাকাশে সফলভাবে ডিম্বাণু উৎপাদন করেছিল।[৬০]

বিকিরণ থেকে সুরক্ষিত রাখা একটা বিশেষ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, কেননা, যে সমস্ত নারী মহাকাশচারী গর্ভাবস্থার শেষ ধাপে অত্যধিক আয়নীকৃত বিকিরণের সামনে পড়বেন তাঁদের সন্তানরা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।[৬১] আয়নীকৃত বিকিরণ গর্ভবতী নারীদের মধ্যে স্ত্রী-ভ্রূণের ডিম্বাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যেতে পারে, এমনকি বাড়ন্ত অবস্থায় বংশধর অনুর্বর প্রতিপাদিত হতে পারে।[৬২]

গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত জ্ঞানের অভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী মহাকাশ অভিযান করার সময়ে সূক্ষ্ম মাধ্যাকর্ষণের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর রাখা দরকার।[৬৩]

যখন কোনো মানুষ গর্ভধারণ অবস্থায় মহাকাশে অবস্থান করেননি ২০০৩-এর হিসাব অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা মনুষ্যেতর স্তন্যপায়ীদের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা পরিচালনা করেছেন।[৬৪] কসমস ১১২৯ এবং ১১৫৪ সহ মহাকাশ স্পেস মিশনগুলো "উৎপাদনশীল এবং বাড়ন্ত স্তন্যপায়ী"দের ওপর গবেষণা করেছিল, যেরকম করেছিল এসটিএস-৬৬, ৭০, ৭২ এবং এসটিএস-৯০ শাটল মিশন।[৬৫] ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে এক সোভিয়েত গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে, একটা ইঁদুরকে গর্ভাবস্থায় কক্ষপথে পাঠানোর পরবর্তীকালে সেখানে সুস্থ বাচ্চাদের জন্ম দিয়েছে; সেই বাচ্চাগুলো "পৃথিবীতে জন্মানো অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় রোগা ও দুর্বল হয়েছিল এবং তাদের মানসিক উন্নয়নের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল" যদিও এটা পরে ধরা পড়ে।[৬৬]

সন্তান জন্মদান[সম্পাদনা]

একটা ১৯৯৮ স্পেস স্যাটেলাইট মিশন প্রমাণ করেছিল যে, বীবর রটাস মায়েরা মহাকাশে তাদের বংশধরদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুধ তৈরি করতে অথবা তাদের খাওয়াতে পারেনি।[৬৭] যাইহোক, পরবর্তীকালে গর্ভবতী ইঁদুরদের ওপর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, প্রাণীরা সফলভাবে বাচ্চার জন্ম দিতে এবং তাদের স্বাভাবকভাবে দুধ খাওয়াতে সক্ষম হয়েছিল।[৬৮]

আজ পর্যন্ত মহাকাশে কোনো মনুষ্য সন্তানের জন্ম হয়নি এবং কোনো শিশু মহাকাশে যায়নি।[৬৬] তা সত্ত্বেও, শিশুদের মহাকাশে পাঠানোর ভাবনা যথেষ্ট গম্ভীর, কেননা, অনেকে আলোচনা করেন মহাকাশে যাতায়াতকারী পরিবারগুলোর শিশুদের জন্যে কীভাবে কার্যক্রম লেখা হবে।[৬৯]

বিকিরণ[সম্পাদনা]

বার্নাল স্পেস উপনিবেশে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় পুরুষ এবং নারীরা; বার্নাল গোলকের একটা চক্রাকার অবস্থান, যার মধ্যে অভিপ্রেত বাতাসের ভর এবং বাহির স্পেস কলোনিতে একজন মানুষের জন্যে বিকিরণরোধী সর্বোত্তম দক্ষতার সংস্থান আছে।[৭০]

আধুনিক মহাকাশ সফরের মতো সাগরতলের তুলনায় আকাশ ভ্রমণে মানুষের ওপর মহাজাগতিক রশ্মি এবং সৌর শিখাসহ মহাকাশ থেকে বিমানে বিকিরণ বৃদ্ধি করে।[৭১]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ বিমান পরিবহন সংস্থায় মহাজাগতিক রশ্মি সম্বন্ধে তথ্যসহ উড়ান পরিচালক এবং ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন রেডিয়োলজিক্যাল প্রোটেকশন সুপারিশকৃত সাধারণ জনগণের জন্যে বছরে অনধিক 1 mSv সংস্থান রাখা যায়।[৭২] উপরন্তু, অনেক বিমান পরিবহন সংস্থা ইউরোপীয় নির্দেশিকা মেনে গর্ভবতী উড়ান পরিচালক সদস্যদের অনুমোদন দেয়না।[৭২] এফএএ একজন গর্ভবতী নারীর জন্যে সর্বমোট 1 mSv সীমা বেঁধে দিয়েছে, এবং প্রতি মাসে অনধিক 0.5 mSv।[৭২]

পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের বাইরে মহাকাশযাত্রীদের কাছে বৃহদায়তন কণা চিন্তার কারণ হয় যাঁরা মহাজাগতিক উৎস থেকে সৌর প্রোটন ঘটনাগুলো (এসপিই) সৌর কণা এবং ছায়াপথ সংক্রান্ত মহাজাগতিক রশ্মি পেয়ে থাকে। মহাকাশচারীরা যখন চাঁদ কিংবা পৃথিবীর কক্ষপথের সুদূর অবস্থানে সফর করেন তখন এসব উচ্চশক্তির আধান নিউক্লিয়াসগুলো পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আটকে যায় কিন্তু প্রধান স্বাস্থ্য উদ্বেগ দেখা দেয়। বিশেষত উচ্চ আধানযুক্ত এইচজেডই আয়নগুলো বলা হয় চরমভাবে বিপজ্জনক, যদিও বিশাল আকারের ছায়াপথ সম্পর্কিত মহাজাগতিক রশ্মিগুলো প্রোটন মেকাপ করে। ফলিত প্রমাণে দেখা গিয়েছে যে, সৌর প্রোটন ঘটনা (এসপিই) বিকিরণ মাত্রা যেটা অরক্ষিত মহাকাশচারীদের জন্যে মারাত্মক হতে পারে।[৭৩]

মঙ্গলগ্রহে অভিযানের জন্যে বর্তমান কারিগরিতে মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরি কর্তৃক ১৮০ দিনের সফরে সংশ্লিষ্ট পরিমাপের আনুমানিক প্রকাশ হল ৩০০ mSv, যেটা ২৪টা সিটি স্ক্যান অথবা একটা নিউক্লয়ার শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের একজন কর্মীর জন্যে বার্ষিক বিকিরণ সীমার ১৫ গুণের সমান।[৭৪] গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে জার্মান মানের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ডিম্বাশয় (ভ্রূণকোশ) ও জরায়ুর জন্যে বার্ষিক ৫০ mSv এবং স্তনের জন্যে বার্ষিক ১৫০ mSv।[৭৫] গর্ভবতী নারীর জন্যে বিকিরণের বৃদ্ধি ভ্রূণ থেকে শিশুকালে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকতে পারে।[৭৬]

গর্ভবতী মহিলাদের মহাকাশ উড়ানে বিকিরণ প্রকাশের সঙ্গে সমস্যাগুলোর একটা হল, যে সন্তান তাঁরা ধারণ করে আছেন সম্ভবত তাদের সন্তান না-ও হতে পারে।[৬১] যদি একটা শিশু তখনো জরায়ুতে থাকে, সেই বাচ্চার জনন অঙ্গগুলো বিকিরণে সংবেদনশীল হয়; যে লিঙ্গেরই হোক-না-কেন একটা ভ্রূণ বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।[৬১] স্ত্রী ভ্রূণ এক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে যায় কেননা, তার মা যখন গর্ভবতী ছিল ডিম্বাণু বৃদ্ধির সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সুতরাং যদি তার সন্তান হয়, তবে তার মায়ের জরায়ুতে বিকিরণের কারণে সে বন্ধ্যা হতে পারে।[৬১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মহাকাশে ভ্যালেন্তিনা
  2. Weitekamp, Margaret A.; Garber, Steve। "Lovelace's Woman in Space Program"। NASA। 
  3. Ryan, Michael। "A Ride in Space – NASA, Sally Ride"People। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৫, ২০১৩ 
  4. "Astronaut Mom Karen Nyberg Prepares for Mission and Motherhood 255 Miles Up"International Space Station। NASA। মে ৯, ২০১৩। জুন ১৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২০, ২০১৯ 
  5. Foster, Amy E. (ডিসেম্বর ২০১১)। Integrating Women Into the Astronaut Corps: Politics and Logistics at NASA, 1972-2004। The Johns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 146। আইএসবিএন 978-1-4214-0195-9 
  6. Kramer, A. (জুলাই ২, ২০১৩)। "Parenting From Earth's Orbit"The New York Times 
  7. name="WomenInSpace-NASA">Garber, Stephen (জুলাই ২০১৭) [July 6, 2015]। "Women in Space"NASA History Program Office। National Aeronautics and Space Administration। ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৮ 
  8. "First Russian woman in International Space Station mission"BBC News। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৪ 
  9. name=WomenInSpace-NASA
  10. Wade, Mark। "Resnik"। ২০০৯-১০-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২১ 
  11. name="name=WomenInSpace-NASA"
  12. name=WomenInSpace-NASA
  13. name="Pearlman">"Station-Bound NASA Astronaut is the 60th Woman to Fly into Space"। SPACE.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৬ 
  14. name=bio-KathleenRubins>Dunbar, Brian (ডিসেম্বর ৫, ২০১৬)। Whiting, Melanie, সম্পাদক। "Kathleen "Kate" Rubins (PH.D.) NASA Astronaut"NASA। National Aeronautics and Space Administration। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৬ 
  15. name=bio-KathleenRubins
  16. Robbins, Gary (আগস্ট ২৯, ২০১৬)। "UCSD alumna first to sequence DNA in space"The San Diego Union-Tribune। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৬, ২০১৬ 
  17. name="nasahsf">"সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  18. NASA (সেপ্টেম্বর ৬, ২০১২)। "Williams, Hoshide Complete MBSU Installation"। nasa.gov। নভেম্বর ১০, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৭, ২০১২ 
  19. Eldora Valentine (২০০৭-০৪-০৬)। "Race From Space Coincides with Race on Earth"। NASA। ২০১৬-০৩-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮ 
  20. "Ham-astronauts setting records in space"ARRLWeb। The American Radio Relay League। ২০০৭-০২-০৫। অক্টোবর ১১, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৬-০৮ 
  21. name=foust>Foust, Jeff (নভেম্বর ১৯, ২০০৭)। "AstroMom and Basstronaut, revisited"। The Space Review। 
  22. "Dr. Roberta Lynn Bondar: Canada's First Female Astronaut"Sault History Online। Sault Ste. Marie Public Library। ২০০৮। ২০১১-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭ 
  23. name="inventive">"Inventive Women Biographies: Julie Payette"Inventive Women। Inventive Women Inc.। ২০০৬। ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  24. name="NASA-bio">"Astronaut Bio: Chiaki Mukai"। NASA। অক্টোবর ২০০৩। 
  25. Harwood, William. "Shuttle Lifts Off for Space Station", The New York Times, New York City, April 5, 2010. Retrieved on 2010-04-05.
  26. name="Japan1">Reuters (নভেম্বর ১১, ২০০৮)। "Astronaut set to become Japan's first mum in space"। Reuters UK। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৮, ২০০৮ 
  27. name="jaxa">JAXA (নভেম্বর ১১, ২০০৮)। "Naoko Yamazaki to become second Japanese female astronaut to fly to space"। Japan Aerospace Exploration Agency। ডিসেম্বর ১৩, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-১৮  অজানা প্যারামিটার |url status= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  28. name="manifest">NASA (২০০৮)। "Consolidated Launch Manifest"। NASA। মার্চ ৭, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০০৮ 
  29. name=bio-NaokoYamazaki>"Naoko Yamazaki, JAXA Astronaut"। National Aeronautics and Space Administration। এপ্রিল ২০১০। জুলাই ২৬, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  30. name=bio-NaokoYamazaki
  31. name=china>Brenhouse, Hillary (মার্চ ২৫, ২০১০)। "China: Female Astronauts Must Be Married with Children"। TIME। 
  32. name=china
  33. name="Wu Bin interview ">"Exclusive interview: Astronauts selection process"CCTV News। CNTV। জুন ১৬, ২০১২। ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৭, ২০১২ 
  34. 孙兰兰 贾磊 (২০১২-০৬-১৩)। "女航天员刘洋婆婆:希望媳妇能尽快生个孩子_资讯频道_凤凰网" [Mother-in-law of female astronaut Liu Yang: I hope daughter-in-law gives birth to a child as soon as possible]। News.ifeng.com। ২০১২-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৬-১৮ 
  35. name="BBC">Amos, Jonathan (জুন ১৬, ২০১২)। "China launches space mission with first woman astronaut"। BBC। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৬, ২০১২ 
  36. Ansari, Anousheh; Hickam, Homer (মার্চ ২, ২০১০)। My Dream of Stars: From Daughter of Iran to Space Pioneer। St. Martin's Press। আইএসবিএন 9780230105799। মার্চ ৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬ 
  37. name=Ansari-ESA>"ESA experiments with spaceflight participant Ansari to ISS"International Space Center। European Space Agency। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২২ 
  38. name=Ansari-ESA
  39. name="ReferenceA"
  40. name=lathers>Lathers, Marie (২০১০)। Space Oddities: Women and Outer Space in Popular Film and Culture, 1960-2000। The Continuum International Publishing Group। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 978-1-4411-9049-9 
  41. Corrigan, Grace George (২০০০)। A Journal for Christa: Christa McAuliffe, Teacher in Space। Lincoln, NE: University of Nebraska Press। পৃষ্ঠা 123। আইএসবিএন 9780803264113 
  42. name="NASABio">"The Crew of the Challenger Shuttle Mission in 1986"। NASA। ২০০৪-১০-২২। ২০০৮-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৭ 
  43. name="Corrigan40">Corrigan 2000, পৃ. 40
  44. Burgess, Colin; Corrigan, Grace George (২০০০)। Teacher in space: Christa McAuliffe and the Challenger legacy। Lincoln, NE: University of Nebraska Press। আইএসবিএন 978-0-8032-6182-2 
  45. "Reflections on the Loss of STS-107, the Space Shuttle Columbia: Ten Years Ago"। ফেব্রুয়ারি ২০১৩। 
  46. name="popsci.com">Teitel, Amy Shira (জুন ১০, ২০১৬)। "A Brief History Of Menstruating In Space: Before women started flying in space, NASA was a little worried they might die having their periods"Popular Science। Bonnier Corporation। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  47. name="theatlantic.com">Beck, Julie (এপ্রিল ২১, ২০১৬)। "Women Astronauts: To Menstruate or Not to Menstruate"The Atlantic। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৬ 
  48. Kramer, Miriam (আগস্ট ২৭, ২০১৩)। "Female Astronauts Face Discrimination from Space Radiation Concerns, Astronauts Say"Space.com। Purch। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  49. name="SCI-20130531a">Kerr, Richard (৩১ মে ২০১৩)। "Radiation Will Make Astronauts' Trip to Mars Even Riskier"Science340 (6136): 1031। ডিওআই:10.1126/science.340.6136.1031পিএমআইডি 23723213 
  50. Zeitlin, C.; ও অন্যান্য (৩১ মে ২০১৩)। "Measurements of Energetic Particle Radiation in Transit to Mars on the Mars Science Laboratory"Science340 (6136): 1080–1084। ডিওআই:10.1126/science.1235989পিএমআইডি 23723233বিবকোড:2013Sci...340.1080Z 
  51. name="NYT-20130530">Chang, Kenneth (৩০ মে ২০১৩)। "Data Point to Radiation Risk for Travelers to Mars"New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৩ 
  52. name="SN-20130629">Gelling, Cristy (জুন ২৯, ২০১৩)। "Mars trip would deliver big radiation dose; Curiosity instrument confirms expectation of major exposures"Science News183 (13): 8। ডিওআই:10.1002/scin.5591831304। জুলাই ১৫, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৮, ২০১৩ 
  53. name=Foster-139>Foster, p. 139.
  54. name=stier
  55. name=davis>Davis, Jeffrey R.; Johnson, Robert; Stepanek, Jan; Fogarty, Jennifer A., সম্পাদকগণ (২০০৮)। Fundamentals of Aerospace Medicine (Fourth সংস্করণ)। পৃষ্ঠা 221–230। আইএসবিএন 9780781774666। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  56. name = historicalexposure
  57. name = historicalexposure>Cucinotta, Francis A., "Table-4. Average dose (D) or dose-rate recorded by dosimetry badge and estimates of the effective doses, E received by crews in NASA programs through 2004" (পিডিএফ), Space Radiation Organ Doses for Astronauts on Past and Future Missions, পৃষ্ঠা 22, সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  58. W., Anderson, Rupert। The cosmic compendium : space medicine.। [printer not identified]। [Place of publication not identified]। আইএসবিএন 9781329052000ওসিএলসি 935213314 
  59. name=china
  60. Ronca, p. 218.
  61. name=tay
  62. name=tay>Taylor, Jerome (ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১)। "Why infertility will stop humans colonising space"The Independent। সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ 
  63. name=Foster-139
  64. Ronca, April E. (জুলাই ১৫, ২০০৩), "Mammalian Development in Space", Cogoli, Augusto, Advances in Space Biology and Medicine, 9, Elsevier Science B.V., পৃষ্ঠা 219, আইএসবিএন 978-0-444-51353-3 
  65. Ronca, p. 222.
  66. name="name=stier"
  67. "Nasa To Probe The Deaths Of 51 Baby Rats In Space"Chicago Tribune। এপ্রিল ২৯, ১৯৯৮। 
  68. name=stier>Stierwalt, Sabrina (মে ২০০৬)। "Can a human give birth in space?"Ask an Astronomer। Cornell University। 
  69. Britton, Alan (২০১০-১১-০৪), "A school curriculum for the children of stace settlers", Landfester, Ulrike; Remuss, Nina-Louisa; Schrogl, Kai-Uwe; Worms, Jean-Claude, Humans in Outer Space: Interdisciplinary Perspectives, পৃষ্ঠা 65, আইএসবিএন 9783709102800 
  70. name="ONeill" >O'Neill, Gerard K. The High Frontier: Human Colonies in Space, third edition. Apogee Books, 2000.
  71. name=davis
  72. name="name=davis"
  73. Battersby, Stephen (২১ মার্চ ২০০৫)। "Superflares could kill unprotected astronauts"New Scientist। Reed Business Information Ltd.। 
  74. Gifford, Sheyna E. (ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪)। "Calculated Risks: How Radiation Rules Manned Mars Exploration"Astrobiology Magazine। National Aeronautics and Space Administration। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  75. Koelzer, Winfried (জানুয়ারি ২০১১)। "Radiation exposure, dose limits, Germany"Glossary of nuclear terms। European Nuclear Society। নভেম্বর ১৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭ 
  76. Radiology Clinician Fact Sheet: Radiation Information (পিডিএফ), NSW Agency for Clinical Innovation, সেপ্টেম্বর ২০১২, জানুয়ারি ১৮, ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৭, ২০১৭