মশিউর রহমান জুয়েল
মশিউর রহমান জুয়েল হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও ডেথ স্কোয়াড নামে পরিচিতি পাওয়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান।[১][২][৩][৪] তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭-এর সাবেক কমান্ডার ছিলেন।[৫][৬]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মশিউর রহমান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি এই পদে লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[৭] মশিউর রহমানের পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসূফ র্যাব-৭-এর কমান্ডার পদে নিয়োগ পান।[৮] মশিউর রহমানের অধীনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায়, বাংলাদেশের কিছু নিখোঁজ তরুণ জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে যোগদানের পর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।[১][৯][১০] গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে যেকেউ বলতে পারবে, এই জঙ্গিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও শারীরিক প্রশিক্ষণে সিদ্ধহস্ত। তারা সমতলে ফিরে এসে হামলা করলে বড় কিছু হতে পারত।”[১১]
মশিউর রহমান জুয়েল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।[১২]
২০২৩ সালের ২০ জুন মশিউর রহমান জুয়েল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক পদে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমনের স্থলাভিষিক্ত হন।[১৩]
২০২৪ সালের জুন মাসে মশিউর রহমান জুয়েল এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সাবেক সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যাওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়।[১৪] এর পূর্বে ডয়চে ভেলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে “ডেথ স্কোয়াড” আখ্যা দিয়ে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।[১৪] ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মশিউর রহমান জুয়েলের অধীন র্যাব-৭-এর হেফাজতে থাকা এক তরুণের ভোঁতা কোনো জিনিসের আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়।[১৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Video released by Rab: Families trace missing ones"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'Death squad': Inside Bangladesh's Rapid Action Battalion"। ডয়চে ভেলে (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ হির্টেন, কেভিন; ইয়ার্নো রিৎজেন। "UK refusal to sanction Bangladesh 'death squad' revealed"। আল জাজিরা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "UK training Bangladesh 'death squad'"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Six dacoits arrested in Chattogram"। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Jamaat expresses concern over rape, violence against women and children"। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Lt Col Mashiur Rahman Jewel new chief of RAB intelligence wing"। ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ অক্টোবর। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Lt Col Mashiur Rahman made chief of RAB Intelligence Wing"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'Disappears as HSC examinee, reappears as trained militant'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "7 Missing youths: Drawn into extremism by some professionals"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'Biggest militant threat' country has ever faced"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "RAB arrests Hifazat leader Harun Izhar for links to violence"। বিডিনিউজ২৪.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Key positions in RAB reshuffled"। নিউ এজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ ক খ "Two army officers assigned to RAB were pulled from the UN peacekeeping mission at the eleventh hour"। বাংলা আউটলুক (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "Death in Rab Custody: Akram died due to 'blunt force trauma'"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২৫।