মনুষ্যলয়া চন্দ্রিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মনুষ্যলয়া চন্দ্রিকা (मनुष्यालय चन्द्रिका) ১৬শ শতকে গার্হস্থ্য স্থাপত্যের বিষয়ে সংস্কৃত ভাষায় লিখিত একটি গ্রন্থ। বইটির লেখক থিরুমঙ্গলা নীলকন্ঠ মুসাথ। বইটি গার্হস্থ্য স্থাপত্যের মূল বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ যা তৎকালীন সময়ে আজকে যা ভারতের কেরালা নামে পরিচিত সেই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল।[১] কেরালার ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের মৌলিক নিদর্শন হিসেবে এই রচনাটির জনপ্রিয়তা আধুনিক সময়েও অব্যাহত রয়েছে। প্রাচীন এ গ্রন্থটির শুরুতেই প্রশস্তিমূলক আবাহন অংশে ত্রিপ্রাঙ্গোড়, ত্রিক্কাণ্ডিয়ূর, আলাথিয়ূর প্রভৃতি মন্দিরের দেবদেবির উল্লেখ দেখে গ্রন্থটির প্রণেতা যে এসব মন্দিরের কাছাকাছি কোন স্থানের বাসিন্দা ছিলেন তা দৃঢ়ভাবেই অনুমান করা যায়। এছাড়াও হস্তিতত্ত্ব বিষয়ে লেখক মাথাঙ্গালীলা নামের এক গ্রন্থ রচনা করেছেন – এতদ্ভিন্ন তাঁর জীবন সম্পর্কে আর কিছুই জানা যায়নি।[২]

বইটির দুইটি সংস্করণ রয়েছে। প্রথম সংস্করণটি কোচি ভাষাপরিষ্করণ কমিটি কর্তৃক ১৯২৮ সালে অধ্যায়ভিত্তিক কোন বিভাজন না করেই প্রকাশিত হয় যাতে ছিল ১৭০ টি শ্লোক।[৩] অপর সংস্করণটি ১৯৯৮ সালে কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি থিসিসের অতিরিক্ত অংশ হিসেব জমা পড়ে যেখানে একে মোট ২৪৬টি শ্লোকের সাতটি অধ্যায়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।[৪] প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় ভাষ্যকার ১০৮০ মালয়ালম বর্ষে পালোলি চোই বৈদিয়ারকৃত ভাষ্য সহকারে একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

বিষয়বস্তুর সারাংশ[সম্পাদনা]

মনুষ্যলয়া চন্দ্রিকা পুস্তকটিতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বর্ণিত হয়েছে —

ক. গৃহ নির্মাণে উদ্দেশ্য ভূমি নির্বাচনে ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়াবলী

খ. মৌলিক অভিমুখ নির্ণয়ের কৌশল

গ. পরিমাপের বিভিন্ন একক

ঘ. নির্মিতব্য গৃহের মাত্রা গণনার পদ্ধতিসমূহ

ঙ. বিভিন্ন প্রকার গৃহের বর্ণনা (chathussalas)

চ. কড়িবর্গা ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী তৈরির ব্যবহারিক নির্দেশনাবলী।

অনুবাদসমূহ[সম্পাদনা]

১. কে. পরমেশভর মেনন  (১৯২৮)। মনুষ্যলয়া চন্দ্রিকা থ্রিশুরঃ কচি ভাষা পরিষ্করণ কমিটি। ২৯ আগস্ট, ২০১৬। (লেখা ও কথিত ভাষা মালায়ালাম)

২. সমগ্র বইটির ইংরেজি অনুবাদ একটি পিএইচডি থিসিস আকারে রয়েছে যা পি. রামকৃষ্ণান কর্তৃক ১৯৯৮ সালে কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। থিসিসটির শিরোনাম ছিল "কেরালার বিশেষ উল্লেখসহ গার্হস্থ্য ও অন্যান্য এলাকা সম্পর্কিত ভারতীয় গণিত।" থিসিসটি এখানে পাওয়া যাবে।

৩. ২০১১ সালে মালায়ালাম ভাষায় আরেকটি অনুবাদ প্রকাশ করে ডি.সি বুকস। অনুবাদক ছিলেন চেরুবালি নারায়ন নামবুথিরি। [৫]

৪. মনুষ্যলয়া চন্দ্রিকার হিন্দি অনুবাদ করেন শ্রী কৃষ্ণা যুগ্নু যা ভারানসীর চৌখাম্বা কৃষ্ণাদাস একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়৷


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Balagopal T. S .Prabhu। "Kerala Architecture"। Kerala Council for Historical Research। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৬ 
  2. "Mathangaleela"indulekha.com। indulekha.com, Kerala's Online Bookstore। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬ 
  3. K. Paramesvara Menon (Commentator) (১৯২৮)। Manushyalaya Chandrika। Thrissur: Kochi Bhasha Parishkarana Committee। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬ 
  4. >P. Ramakrishnan (১৯৯৮)। Indian mathematics related to architecture and other areas with special reference to Kerala। Kochi, Kerala, India: Cochin University of Science and Technology। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৬  (Thesis submitted for the award of PhD degree.)
  5. "Manushyalaya Chandrika"indulekha.com। indulekha.com, Kerala's Online Bookstore। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৬