মধ্য এশিয়ায় রুশ বিজয়াভিযান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মধ্য এশিয়ায় রুশ বিজয়াভিযান

রুশ তুর্কিস্তান
তারিখ১৮৩৯–১৮৯৫
অবস্থান
ফলাফল

রুশ বিজয়

অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
রাশিয়া মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ স্থান দখল করে নেয়[২][৩]
বিবাদমান পক্ষ

রুশ সাম্রাজ্য রুশ সাম্রাজ্য

  • রুশ সাম্রাজ্য রুশপন্থী গোত্রসমূহ
কাজাখ খানাত
বুখারা আমিরাত
খিভা খানাত
কোকান্দ খানাত
তুর্কমেন গোত্রসমূহ
কিরগিজ গোত্রসমূহ
আফগানিস্তান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
রুশ সাম্রাজ্য প্রথম নিকোলাস
রুশ সাম্রাজ্য দ্বিতীয় আলেকজান্ডার
রুশ সাম্রাজ্য তৃতীয় আলেকজান্ডার
রুশ সাম্রাজ্য দ্বিতীয় নিকোলাস
রুশ সাম্রাজ্য ভ্যাসিলি পেরোভস্কি
রুশ সাম্রাজ্য কনস্ট্যান্টিন ভন কাউফম্যান
রুশ সাম্রাজ্য আইভান লাজারেভ
রুশ সাম্রাজ্য নিকোলাই লোমাকিন
রুশ সাম্রাজ্য মিখাইল স্কবেলেভ
রুশ সাম্রাজ্য ওরমন খান
কেনেসারি খান 
নাসরুল্লাহ খান
মুজাফফরউদ্দিন বাহাদুর খান
আল্লাহ কুলি বাহাদুর
আবুল গাজী মোহাম্মদ আমিন বাহাদুর
কুতলুঘ মোহাম্মদ মুরাদ বাহাদুর
সাঈদ মোহাম্মদ
দ্বিতীয় মোহাম্মদ রহিম বাহাদুর
মোহাম্মদ মাল্লা বেগ খান
মোহাম্মদ সুলতান খান
আলিমকুল 
মোহাম্মদ খুদায়ের খান
তুর্কমেন গোত্রসমূহ:
বেরদি মুরাদ খান 
কারা বাতির 
আব্দুর রহমান খান
শক্তি
রুশ সাম্রাজ্য ১৮৩৯:
৫,০০০ সৈন্য
১০,০০০ উট
১৮৫৩:
২,০০০+ সৈন্য
১৮৬৪:
২,৫০০ সৈন্য
১৮৭৩:
১৩,০০০ সৈন্য
১৮৭৯:
৩,৫০০ সৈন্য
১৮৮১:
৭,১০০ সৈন্য
১৮৮৩–১৮৮৫:
১,৫০০ সৈন্য
১৮৫৩:
~১২,০০০ সৈন্য
১৮৬৫:
~৩৬,০০০ সৈন্য
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
রুশ সাম্রাজ্য ১৮৩৯:
১,০৫৪ সৈন্য নিহত অথবা রোগের কারণে মৃত
১৮৭৯:
২০০+ সৈন্য নিহত
~২৫০ সৈন্য আহত
১৮৮১:
৫৯–২৬৮ সৈন্য নিহত
২৫৪–৬৬৯ সৈন্য আহত
৬৪৫ সৈন্য রোগের কারণে মৃত
১৮৮৫:
১১ সৈন্য নিহত অথবা আহত
১৮৫৩:
২৩০+ সৈন্য নিহত
তুর্কমেন গোত্রসমূহ:
১৮৭৯:
২,০০০+ সৈন্য নিহত
২,০০০+ সৈন্য আহত
১৮৮১:
~৮,০০০ সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত
১৮৮৫:
~৯০০ সৈন্য নিহত অথবা আহত

মধ্য এশিয়ায় রুশ বিজয়াভিযান ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে পরিচালিত হয়েছিল। যে ভূখণ্ড রুশ তুর্কিস্তান এবং পরবর্তীতে সোভিয়েত মধ্য এশিয়ার রূপ লাভ করেছিল সেটি এখন উত্তরে কাজাখস্তান, কেন্দ্রে উজবেকিস্তান, পূর্বে কিরগিজস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে তাজিকিস্তান এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে তুর্কমেনিস্তানে বিভক্ত। রুশদের আগমনের আগে এই ভূখণ্ডের উত্তরাংশ কাজাখ স্তেপভূমির যাযাবরদের এবং দক্ষিণাংশ বৃহত্তর ইরানের অংশ ছিল। এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অধিবাসী তুর্কি ভাষাগোষ্ঠির বিভিন্ন ভাষায় কথা বলত। এজন্য ভূখণ্ডটি তুর্কিস্তান নামে পরিচিত ছিল।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে রুশরা কাজাখ স্তেপভূমিতে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে। ১৮৩৯ সালে তারা খিভা আক্রমণ করে, কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পরাজিত হয়। ১৮৪৭–১৮৫৩ সালে রুশরা আরল সাগরের উত্তরে সিরদরিয়া নদীর পূর্বতীর পর্যন্ত অনেকগুলো দুর্গ নির্মাণ করে। ১৮৪৭–১৮৬৪ সালে তারা পূর্ব কাজাখ স্তেপভূমি অতিক্রম করে এবং কিরগিজস্তানের উত্তর সীমান্ত বরাবর অনেকগুলো দুর্গ নির্মাণ করে। ১৮৬৪–১৮৬৮ সালে তারা কিরগিজস্তান থেকে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়, তাসখন্দসমরকন্দ দখল করে নেয়[৪], এবং কোকান্দ খানাতবুখারা আমিরাতকে আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করে। ১৮৭৩ সালে তারা খিভা এবং ১৮৮১ সালে পশ্চিম তুর্কমেনিস্তান দখল করে।[২] ১৮৮৪ সালে তারা মার্ভ মরূদ্যান এবং পূর্ব তুর্কমেনিস্তান অধিকার করে নেয়। ১৮৮৫ সালে রুশরা আফগানিস্তানের কাছ থেকে পাঞ্জদেহ দখল করে নেয়, কিন্তু ব্রিটিশ হস্তক্ষেপের ফলে তাদের দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণ বন্ধ হয়। ১৮৯৩–১৮৯৫ সালে তারা দক্ষিণপূর্বে পামির উচ্চভূমি অধিকার করে এবং এর মধ্য দিয়ে মধ্য এশিয়ায় রুশ বিজয়াভিযানের সমাপ্তি ঘটে।

ভূগোল[সম্পাদনা]

প্রাথমিক যোগাযোগ[সম্পাদনা]

১৮৩৯: ব্যর্থ খিভা অভিযান[সম্পাদনা]

১৮৪৭–১৮৫৩: সিরদরিয়া রেখা[সম্পাদনা]

১৮৪৭–১৮৬৪: পূর্বদিকে অগ্রাভিযান[সম্পাদনা]

১৮৬৪–১৮৬৮: কোকান্দ ও বুখারার পরাজয়[সম্পাদনা]

কাস্পিয়ান অঞ্চলে অভিযান[সম্পাদনা]

১৮৭৩: খিভা বিজয়[সম্পাদনা]

১৮৭৯–১৮৮৫: তুর্কমেনিস্তান অভিযান[সম্পাদনা]

১৮৭২–১৮৯৫: পূর্বাঞ্চলীয় পর্বতসমূহে অভিযান[সম্পাদনা]

গ্রেট গেম[সম্পাদনা]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Russo-Bukharan War 1868, Armed Conflict Events Database, OnWar.com
  2. Lansdell, Henry (1885) Russian Central Asia: Including Kuldja, Bokhara, Khiva and Merv S. Low, Marston, Searle and Rivington, London, pp. 464–465
  3. The legal historian Sir Henry Maine discussed the incident in his last lectures. Maine, Henry (১৮৮৮)। International Law: A Series of Lectures Delivered Before the University of Cambridge, 1887 (1 সংস্করণ)। London: John Murray। পৃষ্ঠা 143–144। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. Daniel Brower (১২ নভেম্বর ২০১২)। Turkestan and the Fate of the Russian Empire। Routledge। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 978-1-135-14501-9