মধুমিতা(অভিনেত্রী)
মধুমিতা | |
---|---|
জন্ম | স্বপ্না মাধুরী |
অন্যান্য নাম | মধু |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ২০০২–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | শিব বালাজী (বি. ২০০৯) |
সন্তান | ২ |
মধুমিতা (জন্মনামঃ স্বপ্না মাধুরী) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মুলত তেলুগু এবং তামিল ছবিতে অভিনয় করেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মধুমিতার জন্ম নাম স্বপ্না মাধুরী। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু চলচ্চিত্র সান্দাদে সান্দাদি -তে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তিনি নাগার্জুন এবং সোনালি বেন্দ্রের সাথে অভিনয় করেছেন। মধুমিতার অভিনীত উল্লেখযোগ্য তেলেগু চলচ্চিত্র প্রকল্প হল, মনমাধুডু (২০০২), আম্মায়িলু আববায়েলু (২০০৩) এবং পুত্তিন্টিকি রা চেল্লি (২০০৪)। তেলেগু চলচ্চিত্র জগতে মধুমিতা ধীরে ধীরে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন এবং অভিনেত্রী মীনার সাথে বেশ কয়েকটি তেলেগু চলচ্চিত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন। [১] মধুমিতা আর. পার্থিবানের কুদাইকুল মাঝাই (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তামিল চলচ্চিত্র জগতের সাথে পরিচিত হন। এই ছবিতে তিনি প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন এবং এই চলচ্চিত্রের পরই তিনি তার মঞ্চ নাম রাখেন মধুমিতা।
মধুমিতা তামিল পরিচালকদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রকল্পে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।[১] তিনি সত্যরাজ এবং নমিতার সাথে অমুধা (২০০৫৬), ইংলিশকরণ (২০০৫) এর মতো বেশ কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এইসকল ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। ইন্ডিয়াগ্লিটজের তরফ থেকে একটি পর্যালোচনায় মধুমিতার প্রসংশা করে তার প্রথম চলচ্চিত্র কুদাইকুল মাঝাই -এর উল্লেখ করা হয়েছে।[২]
মধুমিতার পরবর্তী মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল নালাই (২০০৬), এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি কোনও স্বীকৃতি পাননি। [১] এরপর তিনি ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের উপর নির্মিত তামিল স্বাধীন চলচ্চিত্র আনিভার -এ একজন সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেন। যেহেতু এই ছবিটি পশ্চিমা বিশ্বের তামিল প্রবাসী অনেক অঞ্চলে মুক্তি পেয়েছিল, তাই তিনি প্রবাসী তামিল দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন এবং তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসা অর্জন করেন। [১] ২০০৮ সালে, তিনি সিম্বুদেবন পরিচালিত তামিল কমেডি ফিল্ম আরাই এন ৩০৫-ইল কাদুভাল -এ উপস্থিত হন যেখানে তিনি কৌতুক অভিনেতা সানথানাম এবং গাঞ্জা কারুপ্পু -এর সাথে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে মধুমিতা যোগী চলচ্চিত্রে পরিচালক-অভিনেতা আমির সুলতানের সাথে কাজ করে। এই চলচ্চিত্রে মধুমিতার ভূমিকা সর্বসম্মতভাবে প্রশংসিত হয়। রেডিফ ডট কম -এর একজন সমালোচক চেন্নাইয়ের বস্তিতে বসবাসকারী একজন তরুণী মায়ের ভূমিকায় মধুমিতার অভিনয়ের প্রশংসা করেন। [৩][৪] এই চরিত্রের জন্য তিনি বিজয় পুরষ্কারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
মধুমিতার বিয়ের পর তার অভিনীত সোল্লা সোল্লা ইনিকুম চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়, যা বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। বিয়ের পর, তিনি ভেঙ্কট প্রভুর বিরিয়ানি এবং কিছু তেলেগু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন যাদের মধ্যে উল্লেক্ষ্য; উ কোডথারা? উলিক্কি পদথারা?, ম্যায়নে প্যার কিয়া এবং ভালে ভালে মাগদিভয়।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]মধুমিতা তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক, অভিনেতা শিব বালাজিকে ১ মার্চ ২০০৯ তারিখে তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে বিয়ে করেন। [৫] শিবা বালাজি মুধুমিতার সাথে ইংলিশকরণ ছবিতে সহ অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। [৬] তাদের দুই ছেলে, ধনভিন কাঙ্গুলা এবং গগন কাঙ্গুলা। [৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ "Having a ball"। The Hindu। Chennai, India। ১৮ এপ্রিল ২০০৮। ৯ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "Tamil Cinema News | Tamil Movie Reviews | Tamil Movie Trailers - IndiaGlitz Tamil"। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Movie Review : Yogi"। Sify। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৩।
- ↑ "Yogi: Not original, but not bad either"। ২৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Siva Balaji and Madhumita's Marriage Ceremony"। IndiaGlitz.com। ৬ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "Madhumitha Betrothal Function"। IndiaGlitz.com। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০০৯।
- ↑ "Siva Balaji family, childhood photos – Shiva | Celebrity family wiki"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Sivabalaji news"। ৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৫।