মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৩°০০′৫৭″ উত্তর ৮৯°১৪′০১″ পূর্ব / ২৩.০১৫৭° উত্তর ৮৯.২৩৩৫° পূর্ব / 23.0157; 89.2335
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
মানচিত্র


বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°০০′৫৭″ উত্তর ৮৯°১৪′০১″ পূর্ব / ২৩.০১৫৭° উত্তর ৮৯.২৩৩৫° পূর্ব / 23.0157; 89.2335
তথ্য
ধরনসরকারী বালিকা বিদ্যালয়
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
(Knowledge is Power)
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৫ (1965)
প্রতিষ্ঠাতামোসলেম উদ্দিন গাজী


মোঃ জালাল উদ্দিন,
বাবু দুলাল চন্দ্র দাস,
বাবু গিরিন্দ্র নাথ ঘোষ,
ডাক্তার মহিউদ্দিন,
জনাব রইছউদ্দিন (চেয়ারম্যানঃ মনিরামপুর থানা),

সাঈদ নাবিরুজ্জামান (বিদ্যালয় পরিদর্শক).
ইআইআইএন১১৬১১৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
শ্রেণী৬-১০
লিঙ্গবালিকা
ভাষাবাংলা
ক্যাম্পাসশহুরে
শিক্ষায়তন৩ একর
রং         
সাদা এবং নেভী ব্লু
ক্রীড়াফুটবল


হ্যান্ডবল
ভলিবল

ব্যাডমিন্টন
স্বীকৃতিBoard of Intermediate and Secondary Education, Jessore
বর্ষপুস্তককুঁড়ি
ওয়েবসাইটmanirampurgovtsecondarygirlsschool.jessoreboard.gov.bd

মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের যশোর জেলার অন্তর্গত মনিরামপুর উপজেলার একটি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়।[১] এটি যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিমে, মোহনপুর বটতলার কাছাকাছি অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মোহনপুর গ্রামের এই বিদ্যালয়টি ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন আমলে "গুরু ট্রেনিং স্কুল" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখানে জুনিয়র ট্রেনিং দেওয়া হতো অর্থাৎ অষ্টম শ্রেনী পাস করা ছাত্রদের শিক্ষক হবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। পরবর্তীতে সার্কুলার অফিসার জনাব মোশারফ হোসেন প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১লা এপ্রিল ১৯৬৫ [২] স্থানীয় কিছু প্রসিদ্ধ ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মোসলেম উদ্দিন গাজী, মোঃ জালাল উদ্দিন, বাবু দুলাল চন্দ্র দাস, বাবু গিরিন্দ্র নাথ ঘোষ, ডাঃ মহিউদ্দিন, মনিরামপুর থানার সার্কেল অফিসার, জনাব রইছ উদ্দিন, বিদ্যালয়ের পরিদর্শক সাঈদ মনিরুজ্জামান এবং আরো কিছু স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। দুইটি টিন সেড ঘর ও ১৫-২০ জন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে জনাবা নুরুজ্জামান বেগম প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আই এ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক সাঈদ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্য্যক্রম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে সীমাবদ্ধ ছিল। ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, নবম শ্রেনীর পাঠদানের অনুমোদন পায়। অগাস্ট ২১, ১৯৭২ অনুমোদিত দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে এর যাত্রা শুরু করে। একইসাথে, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম (১ম - ৫ম শ্রেনী) পাঠদান বন্দ করে দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৮৭ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বালিকা বিদ্যালয়টিকে সরকারীকরনের আওতায় আনার অনুমোদন প্রদান করেন। এবং বিদ্যালয়টির নাম মণিরামপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সরকারীকরণ পদক্ষেপে তৎকালীন যশোর জেলার জেলা প্রশাসক মোক্তাদার চৌধুরীর যথেষ্ট ভুমিকা ছিল, তিনি ১.০৪ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে নিবন্ধিত করে দেন। [৩][৪]

মনিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের জমি দলিলের অনুলিপি

স্কুল প্রাঙ্গণ[সম্পাদনা]

এটি মোহনপুর উপজেলার মোহনপুর (বটতলা) এ ৩ একর জমির উপর অবস্থিত যার পূর্ব পাশ দিয়ে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক, উত্তরে অঘোরনাথ সড়ক এবং দক্ষিণে পুলিন বিহারী সড়ক বেষ্টন করে আছে। বিদ্যালয়টিতে দুইটি দোতলা ভবন রয়েছে। ভবনগুলিতে একটি মিলনায়তন, একটি লাইব্রেরী ও একটি কম্পিউটার ল্যাব এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি পুকুর রয়েছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আওতায় বাংলা মাধ্যমে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট শিক্ষাক্রম অনুসরন করছে।[১] এখানে বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ চালু রয়েছে। ২০১০ সালে শিক্ষাব্যবস্থা অনুসারে, প্রতিটি বিষয় মানসম্মত শিক্ষকদ্বারা পাঠদান করা হয়। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্যে বিদ্যালয়ে নিম্ম বিধিগুলি অনুসরণ করা হয়ঃ

  • বাৎসরিক, মাসিক এবং দৈনিক পাঠ্যসূচী অনুসারে পাঠদান করা হয় এবং পাঠদানের জন্যে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় শিক্ষাবিষক যন্ত্রাবলী ব্যবহার করা হয়।
  • শ্রেনীকক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহৃত হয় এবং পাঠদানের এই পদ্ধতি ধারণকৃত হিসাবে ৩০ অক্টোবর ২০১১, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এ "সম্ভবনার বাংলাদেশ" শিরোনামে সম্পচার করা হয়।
  • ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্যে এসবিএ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
  • শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে মানউন্নয়ন প্রতিবেদন এবং অভিভাবকদের সাথে পত্র যোগাযোগকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করা হয়।

শ্রেণীসূচী[সম্পাদনা]

সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ৪.০০ টা পর্যন্ত এর মাঝে টিফিনের জন্যে ৩০ মিনিট খাবার বিরতী থাকে।

কম্পিউটার ল্যাব[সম্পাদনা]

ছাত্রীদের তথ্য প্রযুক্তির সাথে পরিচিত রাখতে বিদ্যালয়টির কম্পিউটার ল্যাবে বেশকিছু কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর রয়েছে। ইন্টারনেট সেবার জন্যে ব্রডব্যান্ড লাইন সংযোগ রয়েছে।

প্রশাসনিক ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

শিক্ষা মন্ত্রালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা বিদ্যালয়টির প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হয়। খুলনার জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিষয় তদারকির দায়িত্বে পালন করেন একইসাথে সহায়তার জন্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ৫ সদস্যের পরিচালনা পরিষধ রয়েছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

খেলাধুলা[সম্পাদনা]

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

স্কাউটে মেয়েরা[সম্পাদনা]

রেড ক্রিসেন্ট[সম্পাদনা]

ধর্মীয় অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

পত্রিকা[সম্পাদনা]

টিফিন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তালিকা" (XLS)Ministry of Education। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "মনিরামপুর উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-০৮ 
  3. "Manirampur Govt. Secondary Girls High School"Jessore Board। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৬ 
  4. কুঁড়ি। মণিরামপুর সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।